জ্যাক শার্প
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জ্যাক শার্প (ইংরেজি: Jack Sharp; জন্ম: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৭৮ - মৃত্যু: ২৮ জানুয়ারি, ১৯৩৮) হিয়ারফোর্ডে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯০৯ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জ্যাক শার্প | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | হিয়ারফোর্ড, ইংল্যান্ড | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৮||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৮ জানুয়ারি ১৯৩৮ ৫৯) লিভারপুল, ইংল্যান্ড | (বয়স||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬১) | ১ জুলাই ১৯০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ আগস্ট ১৯০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ মে ২০১৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে পেশাদারী পর্যায়ে ল্যাঙ্কাশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করার পাশাপাশি বামহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন।
১৮৯৯ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত জ্যাক শার্পের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ক্রিকেট খেলায় চমৎকার অল-রাউন্ডারের স্বীকৃতি পান। হিয়ারফোর্ড থেকে তিনিই প্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলতে আসেন। ডানহাতি মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও বামহাতি বোলারের পাশাপাশি কভার অঞ্চলে অসাধারণ ফিল্ডিং করতেন।
১৮৯৯ সাল থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে নিয়মিতভাবে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতেন। ১৯০৪ সালে দলের পক্ষে প্রত্যেক খেলায় অংশ নেন। এ পর্যায়ে কোন খেলায় পরাজিত হয়নি তার দল ও কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জয় করে ল্যাঙ্কাশায়ার দল। ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে পনেরো মৌসুম অতিবাহিত করেন ও মহান যুদ্ধের পূর্ব-পর্যন্ত পেশাদারী পর্যায়ে খেলেন। যুদ্ধের পর আরও সাত মৌসুম খেলেন। তন্মধ্যে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন ও ১৯২৩ থেকে ১৯২৫ সময়কাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ার দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছিলেন জ্যাক শার্প। ১ জুলাই, ১৯০৯ তারিখে লিডসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। একই দলের বিপক্ষে ৯ আগস্ট, ১৯০৯ তারিখে ওভালে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
১৯০৯ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড গমন করে। অংশগ্রহণকৃত তিন টেস্টে তাকে মূলতঃ বোলারের দায়িত্ব পালনের জন্যে ইংল্যান্ড দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শুরুতে তিনি খুব কমই ভূমিকা রাখেন। কিন্তু ওভালের চূড়ান্ত টেস্টে ১৭০ মিনিটে ১০৫ রানের দূর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এছাড়াও, প্রথম ইনিংসে শীর্ষসারির তিন উইকেট লাভ করেন।
ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলার হিসেবেও সুনাম কুড়িয়েছেন। তরুণ বয়সে হিয়ারফোর্ড থিসটলের পক্ষে ফুটবল খেলেন। এরপর ১৮৯৭ থেকে ১৮৯৯ সময়কালে অ্যাস্টন ভিলার পক্ষে আউটসাইড-রাইট এলাকায় খেলেন। এ পর্যায়ে ২৩ খেলায় অংশ নিয়ে ১৫ গোল করেন। পরবর্তীতে ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সাল পর্যন্ত এভারটন ফুটবল ক্লাবের পক্ষে এগারো মৌসুম প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনবার এভারটনের রানার-আপের সাথে জড়িত থাকেন। সর্বমোট ৩০০ খেলা থেকে ৬৮ গোল করেন। ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি জাতীয় দলেও খেলেছেন তিনি। দুই খেলা থেকে এক গোল করেছিলেন জ্যাক শার্প।
১৯০৭ সালের এফএ কাপের চূড়ান্ত খেলায় শেফিল্ড ওয়েনসডে দলের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত করার ক্ষেত্রে এক গোল করেছিলেন তিনি। এর পূর্বের বছর এফএ কাপে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে শিরোপা জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন জ্যাক শার্প।[2] ঐ সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে চৌদ্দবার সিগারেট প্যাকেটে প্রতিচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ক্যাচ হাতছাড়া করলে দর্শকেরা তাকে ঘিরে ফেলে। এ মাঠে তিনি আর খেলবেন না বলে ঘোষণা করেন ও গ্রীষ্মের শেষে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ড দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর জ্যাক শার্প অনেকগুলো বছর এভারটনের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। হোয়াইটচ্যাপেল লিভারপুল এলাকায় ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠান গড়েন। ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত এটি চালু ছিল। জেজেবি স্পোর্টস এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বভার নেয় ও পরবর্তীতে বিলুপ্ত হয়ে যায়। চেস্টারে তার আরও একটি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ছিল। এভারটন ও লিভারপুলে অনেকগুলো বছর আনুষ্ঠানিকভাবে খেলোয়াড়ী সরঞ্জাম সরবরাহের দায়িত্ব পালন করতো।
জ্যাক শার্পের অপর ভ্রাতা বার্ট্রাম শার্প অ্যাস্টন ভিলা, এভারটন ও সাউদাম্পটনের সাথে ফুটবল খেলেছেন এবং পরবর্তীতে এভারটনের পরিচালকসহ হিয়ারফোর্ডশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে ক্রিকেট খেলতেন।[3]
২৮ জানুয়ারি, ১৯৩৮ তারিখে ৬০ বছর বয়সে লিভারপুলের ওয়াভারট্রি এলাকায় জ্যাক শার্পের দেহাবসান ঘটে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.