Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জোসেফিন ম্যাকলিওড (১৮৫৮-১৯৪৯) ভারত সন্ন্যাসী খ্যাত স্বামী বিবেকানন্দের একজন মার্কিন বন্ধু এবং ভক্ত।[1][2] তিনি ভারত বর্ষের সাথে জোরালো আত্মিক বন্ধন অনুভব করতেন এবং রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী।[3] স্বামী বিবেকানন্দ তাকে ‘তন্তিনি’ ও ‘জো জো’ নামে ডাকতেন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে নিজের বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দেন এমনকি স্বামীজীকে অনেক সময় আর্থিক ভাবেও সাহায্য করেছেন। তার সাথে ভগিনী নিবেদিতার পত্র আদান-প্রদান হত এবং তারা পরস্পর স্বামীজির আদর্শের প্রতি অনুরক্তি প্রকাশ করেছিলেন।[2] জোসেফিন ভগিনী নিবেদিতা বা ভগিনী ক্রিস্টিনের মত ব্রহ্মচারী ছিলেন না।[4] তিনি পাশ্চাত্যে বেদান্ত দর্শন প্রচারে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন।[5] তিনি শুরুতে এবং পরেও রামকৃষ্ণ এবং বিবেকানন্দের শিশ্যের ক্রম তৈরিতে ভুমিকা পালন করণ। তিনি ভগ্নি নিবেদিতার অনেক কাজে সাহায্য ও সমর্থন দান করেছিলেন। এমনকি তিনি বাংলা এবং ভারতের অন্যান্য জায়গাতে ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বিকাশের জন্য আর্থিক সাহায্যও দিয়েছিলেন। [6]
জোসেফাইন ১৮৫৮ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা-মাতার নাম ছিল জন ডেভিড ম্যাকলিওড ও ম্যারি এন লেনন। এই দম্পতির তিন ছেলে এবং তিন মেয়ে ছিল।জোসেফাইনের আরেক বোন ব্রেটিও স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ব্রেটি ১৮৭৬ সালে উইলিয়াম স্টারজেস কে বিয়ে করেন যিনি রামকৃষ্ণ মিশন ও বেদান্ত সোসাইটির সাথে যুক্ত ছিলেন। জোসেফাইন তার বোন ব্রেটির সংসারে থাকতেন।
১৮৯৫ সালের ২৯ জানুয়ারি জোসেফাইন ও তার বোন ব্রেটি নিউইয়র্কে প্রথমবারের মত স্বামী বিবেকানন্দের বেদান্ত দর্শনের উপর ভাষণ শোনেন।তাদের বন্ধু R. Dora Roetheslesberger স্বামীজীর কথা তাদেরকে বলেন। স্বামীজীর ভাষণ তাদেরকে মুগ্ধ করে এবং বেদান্ত দর্শন সম্পর্কে তাদের আগ্রহ বাড়ে।তিনি বিবেকানন্দের বেদান্ত সোসাইটির একজন সদস্য হন। বিবেকানন্দ তার সম্পর্কে বলেছেন, "I simply adore Joe (Josephine MacLeod) in her tact and quiet way. She is a feminine statesman or woman. She can wield a kingdom. I have seldom seen such strong yet good common sense in a human being. Josephine considered the propagation of Swamiji's message of Indian spirituality in the West as a responsibility. জোসেফাইনের বয়স যখন ৩৫ ছিল তিনি তখন বিবেকানন্দের সাথে পরিচিত হন।১৮৯৫ সালের ২৯ জানুয়ারি তারিখকে তিনি তাঁর জীবনের ‘আধ্যাত্মিক জন্মদিন’ হিসেবে অবিহিত করেন।স্বামীজীর বেদান্ত দর্শন শিক্ষা তার জীবনে এত গভীর ভাবে প্রভাব ফেলেছিল যে তিনি বিবেকানন্দকে ‘নতুন বুদ্ধ’ হিসেবে বিবেচনা করতেন।[7]
১৯০২ সালে স্বামী বিবেকানন্দের মৃত্যুর পর জোসেফাইনের জীবনে বিষণ্ণতা শুরু হয়। পরবর্তী চার দশক তিনি স্বামীজীর প্রচারিত বেদান্ত দর্শন প্রচারে ব্রতী ছিলেন। স্বামীজী তার শেষ চিঠিতে তাকে লিখেছিলেন[8], "You have been a good angel to me".[In a previous letter, he had written, "and to you, dear Joe, Pranams । তিনি ভগিনী নিবেদিতারও খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ১৯৪৯ সালে শরৎকালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়াতে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যু কালে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডের বেদান্ত সোসাইটিতে ছিলেন।[8]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.