Remove ads
নামিবীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জোহানেস জোনাথন "জেজে" স্মিথ (জন্ম: ১০ নভেম্বর ১৯৯৫) একজন নামিবিয়ান ক্রিকেটার যিনি ফেব্রুয়ারিতে ২০১২ সালে ১৬ বছর বয়সে নামিবিয়ার জাতীয় দলের হয়ে সিনিয়র ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জোহানেস জনাথান স্মিথ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কিটমানশ্রুপ, ইকারাস অঞ্চল, নামিবিয়া | ১০ নভেম্বর ১৯৯৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডান-হাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বাম-হাতি মিডিয়াম ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৩) | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ বনাম ওমান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বনাম পাপুয়া নিউ গিনি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ১০) | ২০ মে ২০১৯ বনাম ঘানা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৩ অক্টোবর ২০১৯ বনাম বারমুডা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: Cricinfo, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ |
কেতিমানশুপের এ বাঁহাতি ফাস্ট বোলার স্মিথ ২০১১-১২ মৌসুমে নামিবিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের অভিষেক ঘটান। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সেই মৌসুমের খায়া মাজোলা সপ্তাহে নামিবিয়ার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাথে তিনি পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন।[১] মৌসুমের শেষ দিকে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে নামিবিয়ার সিনিয়র দলের হয়ে সে তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক করে। দক্ষিণ আফ্রিকার তিন দিনের প্রাদেশিক প্রতিযোগিতায় মুজাহিদ বেহারদিয়েনের পশ্চিম প্রদেশের বিপক্ষে অভিষেকের সময় তিনি একটি উইকেট নিয়েছিলেন।[২] পরের মৌসুমে স্মিথ আবারও পশ্চিম প্রদেশের বিপক্ষে আরো একটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে।[৩] তিনি আবার খায়া মাজোলা সপ্তাহে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ফিরে আসেন এবং নামিবিয়ার হয়ে কেবল ব্রডেল ওয়েসেলসের পিছনে সাতটি উইকেট নিয়েছিলেন। টুর্নামেন্টে তাঁর বারোটি মেইডেন ওভার নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ তৃতীয়, যেখানে প্রথম ও দ্বিতীয় ছিলেন যথাক্রেমকোয়াজুলু-নাটালের কাইল সিমন্ডস (১৭) এবং ইস্টার্নসের ভিনসেন্ট মুর (১৪)।[৪]
২০১৩ সালের মে মাসে উগান্ডায় অনুষ্ঠিত আইসিসি আফ্রিকা অনূর্ধ্ব -১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে স্মিত বারো উইকেট নিয়েছিল, যেখানে কেনিয়ার পরমবীর সিংয়ের পরেই ছিল তার স্থান।[৫] আট ওভারে ১৭ রান দিয়ে একটি হ্যাট্রিকসহ মোট ৪টি উইকেট নিয়ে নামিবিয়াকে ৫২ রানে পরাজিত করলে, তাকে প্লেয়ার অব দ্যা ফাইনাল নির্বাচিত করা হয় এবং ফলশ্রুতিতে নামিবিয়া ২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে নেয়।[৬] ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলে এবং তার অনূর্ধ্ব-১৯ একদিনের আন্তর্জাতিক (ওয়ানডে) ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন।[৭] টুর্নামেন্টে নামিবিয়ার ছয় ম্যাচেই তিনি নামিবিয়ার হয়ে ৮ উইকেট লাভ করেন যা ব্রাডেল ওয়েসেলস (১৪) এর পরেই তার স্থান পেয়েছিলেন।[৮] সাধারণত মরিয়াস ডেলপোর্ট বা কোবাস ব্র্যান্ডের যে কোনও একটি দিয়ে বোলিংয়ের উদ্বোধন, তার সেরা পরিসংখ্যান, ৩/৫৫, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এসেছিল।[৯]
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার বাইরেও স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এবং আন্তর্জাতিক উভয় প্রতিযোগিতায় নামিবিয়ার সিনিয়র দলের হয়ে নিয়মিত খেলে আসছে, ২০১৩ ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ২০১১-১৩ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ চ্যাম্পিয়নশীপ, ২০১৩ আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ বাছাইপর্ব এবং ২০১৪ ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।[৩][১০][১১] নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কেনিয়ার বিপক্ষে, লুইস ক্লায়জিংয়ের সাথে উদ্বোধন করে দশ ওভারের ২৩/৩ উইকেট নেয়ায় এবং কেনিয়া তাদের ৫০ ওভারে ১৮৬/৮-এ রোখে দেয়। নামিবিয়ার ইনিংসে নবম ব্যাটিং অর্ডারে যখন তিনি খেলতে আসেন তখন নামিবিয়ার স্কোর ছিল ১৪৪/৭। পরে সারেল বার্গার আউট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ২২ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। খেলায় নামিবিয়া ২ উইকেটে জয় লাভ করে এবং তাকে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়।[১২]
২০১৮ জানুয়ারিতে, ২০১৮ আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ টুর্নামেন্টের জন্য নামিবিয়ার স্কোয়াডে তাঁর নাম ছিল।[১৩] আগস্ট ২০১৮ এ, ২০১৮ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি কাপের জন্য নামিবিয়ার স্কোয়াডে তাঁর নাম ছিল।[১৪]
২০১৯ সালের মার্চ মাসে, ২০১৮ আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ দ্বিতীয় বিভাগ প্রতিযোগিতার জন্য তাকে নামিবিয়ার স্কোয়াডে রাখা হয়।[১৫] নামিবিয়া উক্ত প্রতিযোগিতায় শীর্ষ চারে অবস্থান করায় একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) মর্যাদা পেয়ে যায়।[১৬] টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওমানের বিপক্ষে ২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে নামিবিয়ার হয়ে ওডিআই ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে স্মিতের।[১৭] প্রতিযোগিতার সমাপ্তির পরে, স্মিথকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।[১৮]
২০১৯ সালের মে মাসে উগান্ডায় অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আফ্রিকা বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টের আঞ্চলিক ফাইনালের জন্য নামিবিয়ার স্কোয়াডে তাকে নাম দেওয়া হয়েছিল।[১৯][২০] তিনি ঘানা বিপরীতে ২০ মে ২০১৯ সালে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামিবিয়া হয়ে অভিষেক করেন।[২১]
২০১৯ সালের জুনে, তাকে ২০১৯ গ্লোবাল টি২০ কানাডা টুর্নামেন্টে ভ্যাঙ্কুবার নাইটস ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের হয়ে খেলতে নির্বাচিত করা হয়েছিল। [২২] এটি করতে গিয়ে তিনি নামিবিয়ার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আন্তর্জাতিক টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজের হয়ে খেলতে স্বাক্ষর করেন।[২৩] একই মাসের শেষের দিকে, তিনি ২০১৯-২০ আন্তর্জাতিক মৌসুমের আগে ক্রিকেট নামিবিয়ার ঘোষিত এলিট মেনস স্কোয়াডের পঁচিশজন ক্রিকেটারের মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন।[২৪][২৫] ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টের জন্য নামিবিয়ার স্কোয়াডে তার নাম দেওয়া হয়েছিল।[২৬]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.