জুগিরকান্দি মায়াবন
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জুগিরকান্দি মায়াবন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আলীরগাঁও ইউনিয়নে জুগিরকান্দি হাওরে অবস্থিত একটি জলারবন।[১] স্থানীয়ভাবে বনটিকে মায়াবন হিসেবে ডাকা হয়।[২] মনে করা হয় প্রায় এক হাজার একর ভূমি জুড়ে বিস্তীর্ণ এ বন বাংলাদেশের সব থেকে বড় জলাবন।[৩] রাতারগুলের চেয়ে আয়তনে অন্তত তিনগুণ বড় মায়াবনটি রাতারগুল থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[৪] মায়াবনটির উত্তর দিকে সারি ও পিয়াইন নদী এসে এক হয়েছে।
উদ্ভিদবৈচিত্র্য
জুগিরকান্দি মায়বনে রয়েছে জলের উপর ভাসমান সারি সারি হিজল, জাম, বরুণ, করচ ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি। এটি একটি ঘন জলারণ্য হওয়ায় ভেতরের দিকটায় সূর্যের আলো গাছের পাতা ভেদ করে জল ছুতে পারে না।[৫] বনের দক্ষিন পাশে রয়েছে কাশবন। পূর্ব দিকে রয়েছে শাপলা ও পদ্ম ফুলের সমারোহে ভরপূর কুরুন্ডি ও রৌয়াসহ বিশাল বিশাল বিল। পশ্চিম দিকে রয়েছে হিদাইরখাল (সরকারি নথিপত্রে বাউলিখাল) নামে পরিচিত একটি নদী, যার তীরে বনবিভাগের মালিকানাধীন বাংলাদেশের অন্যতম একটি বড় মূর্তা বাগান।[৬][৭]
প্রাণিবৈচিত্র্য
জুগিরকান্দি মায়াবনে বিচরণ করে মাছরাঙ্গা, বিভিন্ন প্রজাতির বক, ডাহুক, ঘুঘু, সারি, দোয়েল-শ্যামা, ফিঙে, বালিহাঁস, পানকৌড়িসহ নানা প্রজাতির পাখি। বিভিন্ন প্রজাতির গুই সাপ ও নানা ধরনের সাপের অভয়াশ্রম এই জলারণ্যে বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে বানর, উদবিড়াল, কাঠবিড়ালী, মেছোবাঘ ইত্যাদি।[৮]
যাতায়াত
প্রথমে সিলেট-তামাবিল সড়ক দিয়ে প্রায় ৩৭ কি.মি. পশ্চিম দিকে যেতে হয় সারি-গোয়াইনঘাট সড়কে। সে সড়ক দিয়ে প্রায় ১০ কি.মি. গেলেই পাওয়া যায় বেখরা ব্রিজ। সেখান থেকে বেখরা খাল দিয়ে ছোট ছোট নৌকাতে প্রায় দেড় কি.মি.উত্তরেই জুগিরকান্দির অবস্থান।[৯]
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.