জামিয়া নঈমীয়া লাহোর
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জামিয়া নঈমীয়া লাহোর হল সুন্নি বেরলভী আন্দোলনের সাথে যুক্ত লাহোরের একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।[১] এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সরফরাজ আহমেদ নঈমীর পিতা মুফতি মুহাম্মদ হোসাইন নঈমী। এটি পাকিস্তানে বেরলভী আন্দোলনের জন্য সবচেয়ে বড় সুন্নি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।[২]
دارالعلوم جامعہ نعیمیہ | |
অন্যান্য নাম | জামিয়া নঈমীয়া লাহোর |
---|---|
স্থাপিত | ১১ নভেম্বর, ১৯৮০ |
প্রতিষ্ঠাতা | মুফতি মুহাম্মদ হোসাইন নঈমী |
অধিভুক্তি | ধর্মীয় |
অধ্যক্ষ | ড. রাগিব হোসাইন নঈমী |
ঠিকানা | আল্লামা ইকবাল সড়ক, মুহাম্মদ নগর গারহি শাহু, লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান |
ওয়েবসাইট | www.naeemia.com |
"নঈমী" এবং "নঈমীয়া" শব্দটি নেওয়া হয়েছে নঈম উদ্দিন মুরাদাবাদীর নাম থেকে, যিনি আহমদ রেজা খান বেরলভীর একজন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী এবং ছাত্র ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অধ্যক্ষ ড. রাগিব হোসাইন নঈমী।[৩]
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন
২০০৯ সালে সালের মে মাসে, এই ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মুফতি সরফরাজ আহমেদ নঈমীর দ্বারা একটি ঘোষণা করা হয়েছিল যে, "সেনাবাহিনীকে অবশ্যই তালেবানদের একবারে এবং চিরকালের জন্য নির্মূল করতে হবে অন্যথায় তারা পুরো দেশ দখল করবে যা একটি বড় বিপর্যয় হবে"। ২০০৯ সালের মে মাসে, তিনি সরকার কর্তৃক আহ্বান করা ইসলামী পণ্ডিতদের একটি সম্মেলনেও অংশ নিয়েছিলেন যেখানে আত্মঘাতী হামলা এবং নিরপরাধ মুসলমানদের শিরশ্ছেদকে অনৈসলামিক বলে সমালোচনা করা হয়েছিল।[৪] তিনি তালেবানের ইসলামের কঠোর ব্যাখ্যার বিপরীতে মহিলাদের জন্য শিক্ষার সমান প্রবেশাধিকার এবং বিদ্যালয়ে কম্পিউটারের ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেন।[৫]
সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ
এই ইনস্টিটিউটটি বিশ্ব মিডিয়ায় হাইলাইট হয়েছিল যখন এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল যেখানে এর অধ্যক্ষ সরফরাজ আহমেদ নঈমী নিহত হন। নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, হামলাটি তালেবানদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জারি করা ফতোয়া (রায়) এর প্রতিশোধ হিসেবে হয়েছিল।[৬]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.