জানলুকা ভিয়াল্লি

জানলুকা ভিয়াল্লি কোম্মেন্দাতোরে ওএমআরআই (ইতালীয় উচ্চারণ: [dʒanˈluːka ˈvjalli, viˈa-]; ৯ জুলাই ১৯৬৪ – ৬ জানুয়ারি ২০২৩) ছিলেন একজন ইতালীয় ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার, যিনি স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতেন। ভিয়াল্লি ১৯৮০ সালে ইতালির ক্রেমোনেসেতে তার ক্লাব কর্মজীবন শুরু করেন, সেখানে তিনি ১০৫টি খেলায় ২৩টি গোল করেন। তার পারদর্শিতায় মুগ্ধ হয়ে ১৯৮৪ সালে সাম্পদোরিয়া তার সাথে চুক্তি সাক্ষর করে এবং তিনি সাম্পদোরিয়ার হয়ে ৮৫টি গোল করেন, ৩টি কোপ্পা ইতালিয়া, সেরিয়ে আ ও ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ জিতেন।

জানলুকা ভিয়াল্লি

২০১৮ সালে ভিয়াল্লি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম	জানলুকা ভিয়াল্লি[১]
জন্ম	(১৯৬৪-০৭-০৯)৯ জুলাই ১৯৬৪[২]
জন্ম স্থান	ক্রেমোনা, ইতালি[২]
মৃত্যু	৬ জানুয়ারি ২০২৩(2023-01-06) (বয়স ৫৮)
মৃত্যুর স্থান	চেলসি, লন্ডন, যুক্তরাজ্য
উচ্চতা	১.৮০ মিটার[২]
মাঠে অবস্থান	স্ট্রাইকার
যুব পর্যায়
১৯৭৩-১৯৭৮	পিৎজিগেত্তোনে
১৯৭৮-১৯৮০	ক্রেমোনেসে
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর	দল	ম্যাচ	(গোল)
১৯৮০-১৯৮৪	ক্রেমোনেসে	১০৫	(২৩)
১৯৮৪-১৯৯২	সাম্পদোরিয়া	২২৩	(৮৫)
১৯৯২-১৯৯৬	ইয়ুভেন্তুস	১০২	(৩৮)
১৯৯৬-১৯৯৯	চেলসি	৫৮	(২১)
মোট		৪৮৮	(১৬৭)
জাতীয় দল
১৯৮৩-১৯৮৬	ইতালি অনূর্ধ্ব-২১	২০	(১১)
১৯৮৫-১৯৯২	ইতালি	৫৯	(১৬)
পরিচালিত দল
১৯৯৮-১৯৯৯	চেলসি (খেলোয়াড়-ম্যানেজার)
১৯৯৯-২০০০	চেলসি
২০০১-২০০২	ওয়াটফোর্ড
অর্জন ও সম্মাননা পুরুষদের ফুটবল  ইতালি-এর প্রতিনিধিত্বকারী ফিফা বিশ্বকাপ ১৯৯০ ইতালি
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে

১৯৯২ সালে ভিয়াল্লি তদানীন্তন বিশ্ব রেকর্ড ১২.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ইয়ুভেন্তুসে যোগ দেন। তুরিনের এই ক্লাবে থাকাকালীন তিনি কোপ্পা ইতালিয়া, সেরিয়ে আ, সুপেরকোপ্পা ইতালিয়ানা, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও উয়েফা কাপ জিতেন। ১৯৯৬ সালে ভিয়াল্লি চেলসিতে যোগ দেন এবং পরের মৌসুমে তাদের খেলোয়াড়-ম্যানেজার হন। ইংল্যান্ডে তিনি এফএ কাপ, লিগ কাপ, উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ ও উয়েফা সুপার কাপ জিতেন। তিনি তিনটি প্রধান ইউরোপীয় ক্লাব প্রতিযোগিতা জয়ী নয় জন ফুটবলার একজন এবং একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে এই কীর্তি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ইউরোপীয় ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় যিনি তিনটি প্রধান ইউরোপীয় ক্লাব প্রতিযোগিতার বিজয়ী ও রানার-আপ পদক অর্জন করেছেন, যার মধ্যে উয়েফা কাপ উইনার্স কাপের দুটি পদক রয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভিয়াল্লি ১৯৮৬ সালে ও ১৯৯০ সালে নিজ দেশে দুটি ফিফা বিশ্বকাপে ইতালি জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়া তিনি উয়েফা ইউরো ১৯৮৮-এ অংশগ্রহণ করেন এবং তার দলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান ও আসরের সেরা দলের অন্তর্ভুক্ত হন। দীর্ঘ ২০ বছরের পেশাদার ফুটবল জীবনে তিনি ক্লাব পর্যায়ে ২৫৯টি গোল, জাতীয় দলের হয়ে ১৬টি গোল এবং ইতালি জাতীয় অনূর্ধ্ব ২১ দলের হয়ে ১১টি গোল-সহ মোট ৫০০ ম্যাচে ২৮৬টি গোল করেন, যার ফলে তিনি সকল প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ইতালির দশম সর্বোচ্চ গোল স্কোরার।^[৩] খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসরের পর ভিয়াল্লি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্কাই ইতালিয়ার ধারাভাষ্যকার হিসেবেও কাজ করেন।^[৪]

কর্মজীবন পরিসংখ্যান

ক্লাব

ক্লাব, মৌসুম ও প্রতিযোগিতা অনুযায়ী ম্যাচ ও গোল^[৫]

ক্লাব	মৌসুম	লিগ			কাপ		এসসি/এলসি		মহাদেশীয়		মোট
		বিভাগ	ম্যাচ	গোল	ম্যাচ	গোল	ম্যাচ	গোল	ম্যাচ	গোল	ম্যাচ	গোল
ক্রেমোনেসে	১৯৮০-৮১	সেরিয়ে সিওয়ান	২	০	০	০	–		০	০	২	০
	১৯৮১-৮২	সেরিয়ে বি	৩১	৫	১	০	–		০	০	৩২	৫
	১৯৮২-৮৩		৩৫	৮	২	০	–		০	০	৩৭	৮
	১৯৮৩-৮৪		৩৭	১০	৫	২	–		০	০	৪২	১২
	মোট		১০৫	২৩	৮	২	০	০	০	০	১১৩	২৫
সাম্পদোরিয়া	১৯৮৪-৮৫	সেরিয়ে আ	২৮	৩	১৩	৬	–		০	০	৪১	৯
	১৯৮৫-৮৬		২৮	৬	৭	২	–		৪	০	৩৯	৮
	১৯৮৬-৮৭		২৮	১২	৫	৪	–		০	০	৩৩	১৬
	১৯৮৭-৮৮		৩০	১০	১৩	৩	–		০	০	৪৩	১৩
	১৯৮৮-৮৯		৩০	১৪	১৪	১৩	১	১	৭	৫	৫২	৩৩
	১৯৮৯-৯০		২২	১০	২	২	১	০	৮	৭	৩৩	১৯
	১৯৯০-৯১		২৬	১৯	৭	৩	০	০	৪	১	৩৭	২৩
	১৯৯১-৯২		৩১	১১	৬	৩	১	০	১১	৬	৪৯	২০
	মোট		২২৩	৮৫	৬৭	৩৬	৩	১	৩৪	১৯	৩২৭	১৪১
ইয়ুভেন্তুস	১৯৯২-৯৩	সেরিয়ে আ	৩২	৬	৭	২	০	০	১০	৫	৪৯	১৩
	১৯৯৩-৯৪		১০	৪	০	০	০	০	২	০	১২	৪
	১৯৯৪-৯৫		৩০	১৭	৭	৩	০	০	৯	২	৪৬	২২
	১৯৯৫-৯৬		৩০	১১	০	০	১	১	৭	২	৩৮	১৪
	মোট		১০২	৩৮	১৪	৫	১	১	২৮	৯	১৪৫	৫৩
চেলসি	১৯৯৬-৯৭	প্রিমিয়ার লিগ	২৮	৯	৫	২	১	০	০	০	৩৪	১১
	১৯৯৭-৯৮		২১	১১	১	২	৪[৬]	০	৮	৬	৩৪	১৯
	১৯৯৮-৯৯		৯	১	৩	২	৩	৬	৫	১	২০	১০
	মোট		৫৮	২১	৯	৬	৮	৬	১৩	৭	৮৮	৪০
সর্বমোট			৪৮৮	১৬৭	৯৮	৪৯	১২	৮	৭৫	৩৫	৬৭৩	২৫৯

আন্তর্জাতিক

জাতীয় দল ও বছর অনুযায়ী ম্যাচ ও গোল^[৭]

জাতীয় দল	বছর	ম্যাচ	গোল
ইতালি	১৯৮৫	১	০
	১৯৮৬	১০	০
	১৯৮৭	১০	৫
	১৯৮৮	১১	৫
	১৯৮৯	১০	১
	১৯৯০	৩	০
	১৯৯১	৮	৩
	১৯৯২	৬	২
মোট		৫৯	১৬