শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ

জর্জ ট্রাইব

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

জর্জ ট্রাইব
Remove ads

জর্জ এডওয়ার্ড ট্রাইব (ইংরেজি: George Tribe; জন্ম: ৪ অক্টোবর, ১৯২০ - মৃত্যু: ৫ এপ্রিল, ২০০৯) ভিক্টোরিয়ার ইয়ারাভিলে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবলার ছিলেন।[] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
Remove ads

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি চায়নাম্যান বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। পাশাপাশি বামহাতে ব্যাটিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন জর্জ ট্রাইব

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। পাশাপাশি ভিএফএলে ফুটসক্রে ফুটবল ক্লাবের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলে অংশগ্রহণ করেছেন জর্জ ট্রাইব।

Remove ads

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই ভিক্টোরিয়ার পক্ষে প্রভূতঃ সফলতা পান। মাত্র ১৩ খেলায় অংশ নিয়ে ১৯.২৫ গড়ে ৮৬ উইকেট দখল করেন তিনি। আদর্শ অল-রাউন্ডার হিসেবে ধীরগতিসম্পন্ন বামহাতি অর্থোডক্স ও চায়নাম্যান বোলিং করতেন। পাশাপাশি আক্রমণধর্মী বামহাতি ব্যাটিংয়ের অধিকারী ছিলেন। সচরাচর ছয় কিংবা সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামতেন। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটি শতরানের ইনিংস রয়েছে তার।

টেস্ট ক্রিকেট

১৯৪৬-৪৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল অ্যাশেজ সিরিজ খেলার লক্ষ্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে আসে। ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন জর্জ ট্রাইব। প্রথম-শ্রেণীর-ক্রিকেটে চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করলেও এ সিরিজে বেশ ব্যর্থতার পরিচয় দেন। সিডনিতে সিরিজের চূড়ান্ত ও পঞ্চম টেস্টে রে লিন্ডওয়াল ৯/১০৯ লাভ করলেও তিনি ১৫৩ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি।[] ২৯ নভেম্বর, ১৯৪৬ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে জর্জ ট্রাইবের।

Remove ads

ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশগ্রহণ

অস্ট্রেলিয়ায় উপেক্ষিত হবার ফলে ১৯৪৭ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলার জন্য ইংল্যান্ডে চলে যান। সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে খেলার জন্য মিলরো দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। প্রথম মৌসুমেই ১৩৬ উইকেট দখল করেন। পরেরবছর ১৪৮ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েন। ১৯৫০ সালে পান ১৫০ উইকেট। এ বছর তিনি রটেনস্টলে খেলার জন্য দুই বছর মেয়াদী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে বিদেশ সফরে যাবার সৌভাগ্য না হলেও ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে কমনওয়েলথ দলের সাথে ভারত সফরে যান। ঐ সফরে তিনি ৯৯ উইকেট লাভ করেন। পেশায় তিনি প্রকৌশলী ছিলেন। ১৯৫১ সালে নর্দাম্পটনশায়ারভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার ধারাবাহিক ক্রীড়াশৈলীর প্রেক্ষিতে নর্দাম্পটনশায়ার কর্তৃপক্ষ ঐ মৌসুমে খেলার জন্য প্রস্তাব দেয়। শুরুতেই তিনি সফলতার মুখ দেখেন। এরপর থেকে নয় মৌসুম কাউন্টি দলটির সাথে খেলেন। তন্মধ্যে সাত মৌসুমেই ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল লাভ করেন। অন্যতম দূর্বল দল থেকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে শক্তিধর প্রতিপক্ষের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৫৬ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের জন্য মনোনীত হন।

অর্জনসমূহ

২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়ার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন। ১৯৫৮ সালে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ৭/২২ ও ৮/৯ বোলিং পরিসংখ্যানসহ মোট ১৫/৩১ লাভ করেন।[] ১৯৫৫ সালে রেকর্ডসংখ্যক ১৭৫ উইকেট পান।

১৯৫৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন। মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত তিনি অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ও বৈশ্বিকভাবে একাদশ বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন।

Remove ads

অস্ট্রেলীয় রুলস ফুটবল

১৯৪০ সালে তৎকালীন ভিক্টোরিয়ান ফুটবল লীগে ফুটসক্রে ফুটবল ক্লাবের পক্ষে জর্জ ট্রাইবের অভিষেক ঘটে। ফরওয়ার্ড হিসেবে খেলতেন তিনি ও বিপজ্জ্বনক গোলকিকার হিসেবে স্বীকৃতি পান। ৬৬ খেলায় অংশগ্রহণ করেন তিনি ও ফুটসক্রের পক্ষে ৮০ গোল করেন। ১৯৪৬ সালে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন তিনি। এরপর তিনি ক্রিকেট খেলায় জড়িয়ে যান ও ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ার লীগে অংশ নেন।[]

৫ এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে ভিক্টোরিয়ার বারউড এলাকায় ৮৮ বছর বয়সে জর্জ ট্রাইবের দেহাবসান ঘটে।

Remove ads

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

Loading content...

বহিঃসংযোগ

Loading content...
Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Remove ads