ভারতীয় অভিনেত্রী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
জয়া প্রদা (জন্ম ৩ এপ্রিল ১৯৬২)[৫] হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং রাজনীতিক।[৬]
জয়া প্রদা | |
---|---|
রামপুরের সাংসদ | |
কাজের মেয়াদ ১৩ মে ২০০৪[১] – ১৬ মে ২০১৪[২][৩] | |
পূর্বসূরী | নূর বানু |
উত্তরসূরী | নাইপল সিং |
নির্বাচনী এলাকা | রামপুর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ললিতা রানি রাবণম ৩ এপ্রিল ১৯৬২ রাজামুন্দ্রি, অন্ধ্র প্রদেশ, ভারত |
রাজনৈতিক দল | তেলুগু দেশম পর্টি(২০০৪ পর্যন্ত) রাষ্ট্রীয় লোকদল, উত্তর প্রদেশ[৪] |
পেশা | অভিনেত্রী, রাজনীতিক |
ধর্ম | হিন্দু ধর্ম |
জয়া প্রদা তিনটে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সাউথ পেয়েছিলেন এবং তিনি অসংখ্য তেলুগু, তামিল, হিন্দি, কন্নড়, মালয়ালম, বাংলা এবং মারাঠি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তেলুগু তথা হিন্দি উভয় চলচ্চিত্রের অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সফল অভিনেত্রী ছিলেন এবং রুপোলি পর্দায় ১৯৭০ খ্রিস্টা্দের দশকের শেষ দিকে, ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দ এবং ওই দশকের গোড়ায় হিন্দি ও দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে তার আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। তিনি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে তেলুগু দেশম পার্টিতে (টিডিপি) যোগদানের মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, যে কারণে চলচ্চিত্র শিল্পে তার কর্মজীবনে খ্যাতির শিখরে থাকাকালীন অবস্থায় অভিনয় ছেড়ে দিয়েছেন। ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি রামপুর কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন।
দর্শক-শ্রোতাদের মনে রাখার মতো জয়া প্রদার বেশ কিছু চলচ্চিত্রের মধ্যে আছে: অন্তুলেনি কথা (১৯৭৬), সীতা কল্যাণম (১৯৭৬), অদাবি রামুদু (১৯৭৭), য়ামাগোলা (১৯৭৭), সনাদি অপ্পন্না (১৯৭৭), সিরি সিরি মুব্বা (১৯৭৮), সরগম (১৯৭৯), কামচোর (১৯৮২), কবিরত্না কালিদাসা (১৯৮৩), সাগরা সঙ্গমম (১৯৮৩), তোফা (১৯৮৪), সরাবি (১৯৮৪), মকসদ (১৯৮৪), সংযোগ (১৯৮৫), আখরি রাস্তা (১৯৮৬), সিমহাসনম (১৯৮৬), মুদ্দাত (১৯৮৬) সিন্দুর (১৯৮৭), সমসারম (১৯৮৮), এলান-এ-জং (১৯৮৯), আজ কা অর্জুন (১৯৯০), থানেদার (১৯৯০), মা (১৯৯২), দেবদূতান (২০০০), প্রণয়ম (২০১১), এবং ক্রান্তিবীরা সংগোল্লি রায়ান্না (২০১২)। তিনি সাগরা সঙ্গমম চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী - তেলুগু ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি তার সিরি সিরি মুব্বা এবং অন্তুলেনি কথা (১৯৭৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে বিশেষ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।
ভারতীয় চলচ্চিত্রে মর্যাদাপূর্ণ অতি সুন্দর মুখশ্রীযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে জয়া প্রদাকে ধরা হয়। এমনকি ভারতীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মিতভাষী সত্যজিৎ রায় পর্যন্ত বলেছিলেন, "তিনি ভারতীয় রুপোলি পর্দার খুব সুন্দর মুখ।"[৭].
জয়া প্রদা অন্ধ্র প্রদেশের রাজামুন্দ্রিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন; ছোটোবেলায় তার নাম ছিল ললিতা রানি। তার পিতা কৃষ্ণ রাও ছিলেন তেলুগু চলচ্চিত্রের অর্থ বিনিয়োগকারী। তার মা নীলাবেণী ছিলেন একজন গৃহবধূ। ছোট্ট ললিতাকে রাজামুন্দ্রির এক তেলুগু মাধ্যম স্কুলে ভরতি করা হয়ছিল এবং ছোটোবেলাতেই তিনি সংগীত ও নৃত্য শিক্ষার ক্লাসগুলোতেও নথিভুক্ত হয়েছিলেন।
জয়া প্রদার যখন ১৩ বছর বয়স সেই সময় তার স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে একটা নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন। দর্শকদের মধ্যে একজন চলচ্চিত্র পরিচালক তাকে ভূমি কোসম নামে একটা তেলুগু চলচ্চিত্রে তিন মিনিটের এক নৃত্য প্রদর্শনের সুযোগ দেন। তিনি এব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, কিন্তু তার পরিবার তাকে এই সুযোগ নিতে সাহস যুগিয়েছিল। তিনি তার এই চলচ্চিত্রের কাজের জন্যে মাত্র ১০ টাকা পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই তিন মিনিটের রুপোলি পর্দার প্রদর্শন তাকে তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পে এক প্রতীক হিসেবে অগ্রগমনের রাস্তা দেখিয়েছিল। বেশির ভাগ চলচ্চিত্র নির্মাতা তাকে তারকা চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে সুযোগ দিয়েছিল এবং তিনি সেই সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তিনি বেশির ভাগ জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের একজন স্বনামধন্য তারকা হয়ে উঠেছিলেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.