চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরmap

চৌধরী চরন সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (আইএটিএ: এলকেও, আইসিএও: ভিআইএলকে) হল ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী শহর লখনউতে বিমান পরিষেবা প্রদানকারী একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর[৫] এটি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ১৪ কিমি (৮.৭ মাইল) দূরে অমৌসিতে অবস্থিত, এবং পূর্বে "অমৌসি বিমানবন্দর" নামে পরিচিত ছিল। পরে ২০০৮ সালে, বিমানবন্দরটির নামকরণ ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং-এর নামানুসারে করা হয়েছিল।[৬] এটি আদানি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে একটি সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব লখনউ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এলআইএএল) দ্বারা মালিকানাধীন ও পরিচালিত।

দ্রুত তথ্য চৌধরী চরন সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সংক্ষিপ্ত বিবরণ ...
চৌধরী চরন সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
Thumb
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিমানবন্দরের ধরনসরকারি
পরিচালকলখনউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (এলআইএএল)[১]
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকালখনউ
অবস্থানঅমৌসি, লখনউ, উত্তরপ্রদেশ, ভারত
এএমএসএল উচ্চতা১২৩ মিটার / ৪০৪ ফুট
স্থানাঙ্ক২৬°৪৫′৪৩″ উত্তর ০৮০°৫৩′০০″ পূর্ব
ওয়েবসাইটসিসিএসআইএ লখনউ
মানচিত্র
Thumb
এলকেও
এলকেও
উত্তরপ্রদেশের মানচিত্রে অবস্থান
রানওয়ে
দিক দৈর্ঘ্য পৃষ্ঠতল
মি ফুট
০৯/২৭ ২,৭৪৪ ৯,০০৩ পিইএম
পরিসংখ্যান (এপ্রিল ২০২১ – মার্চ ২০২২)
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ
যাত্রী সংখ্যা৩৩,০৩,৯৬০ (বৃদ্ধি৩৫.৪℅)
উড়ান সংখ্যা৩০,০০৫(বৃদ্ধি৩০.৭%)
পণ্য (টন)১৪,৯৪২ (বৃদ্ধি৪৯.৯%)
সূত্র: এএআই থেকে এআইপি[২][৩][৪]
বন্ধ

বিমানবন্দরটি যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ভারতের ১১তম ব্যস্ত বিমানবন্দর। এটি ২০২১–২০২২ অর্থবছরে ৩৩ লাখের বেশি যাত্রী ও ৩০ হাজারের বেশি উড়ান পরিচালনা এবং ১৪ হাজার টনের বেশি পণ্য পরিবহন করেছিল।

বিমানবন্দরের দুটি কার্যগত টার্মিনাল (১ ও ২), এবং একটি নির্মাণাধীন যাত্রী টার্মিনাল (৩) রয়েছে যা ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ হবে।

ইতিহাস

বিমানবন্দরটি কর্পোরেট ও সরকারি কর্মকর্তাদের পরিষেবার সুবিধার্থে ১৯৮৬ সালে নির্মিত হয়েছিল। যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সঙ্গে, এএআই ১৯৯৬ সালে বর্ধিত যাত্রী সংখ্যা ও খাতে বেসরকারি বিমানসংস্থাসমূহের প্রবর্তনের কারণে বিমানবন্দরের আধুনিকিকরণ ও সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।[৭]

ভারত সরকার ২০০৮ সালের ১৭ই জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে অমৌসি বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছিল।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত দ্বিতীয় টার্মিনাল (টার্মিনাল ২) ২০১২ সালে ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বিমান পরিচালনার জন্য নির্মিত হয়েছিল।[৭] টার্মিনাল ২ ২০১২ সালের ১৯শে মে উদ্বোধন করা হয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা প্রদান করা হয়।[৮]

ক্রমবর্ধমান যাত্রী পরিবহনের জন্য ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের জন্য একটি তৃতীয় টার্মিনাল (টার্মিনাল ৩) নির্মাণের ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারত সরকার ২০১৮ সালে নতুন টার্মিনাল ৩-এর অনুমোদন করেছিল, যা ১,৩৮৩ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে।[৯]

আদানি এন্টারপ্রাইজের নেতৃত্বে লখনউ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (এলআইএএল) সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) মডেলের অধীনে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিমানবন্দরের পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের অধিকার জিতেছিল।[১০]

রানওয়ে

রানওয়ের আইএলএস সিএটি আইআইআইবি ক্ষমতা রয়েছে, যা বিমানকে কম দৃশ্যমান অবস্থায় অবতরণ করতে সক্ষম করে।

দিল্লি, বেঙ্গালুরু, কলকাতা, জয়পুরঅমৃতসর সহ লখনউ হল ভারতের একমাত্র আইএলএস সিএটি আইআইআইবি বিশিষ্ট ৬ টি বিমানবন্দর, যা বিমানগুলিকে ৫০ মিটারের কম দৃশ্যমানতার মধ্যেও নিরাপদে অবতরণ করতে সহায়তা করে।

বিমানসংস্থা ও গন্তব্য

আরও তথ্য বিমান সংস্থা, গন্তব্যস্থল ...
বিমান সংস্থাগন্তব্যস্থল
এয়ার ইন্ডিয়া দিল্লি, মুম্বই
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসদুবাই-আন্তর্জাতিক
এআইএক্স কানেক্টবেঙ্গালুরু, দিল্লি, গোয়া–দাবোলিম, কলকাতা, মুম্বই (বন্ধ ২০২৩ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি হবে)[১১]
আকাসা এয়ার বেঙ্গালুরু, মুম্বই[১২]
অ্যালায়েন্স এয়ার দেরাদুন,[১৩] দিল্লি, গোরখপুর
ফ্লাইদুবাই দুবাই-আন্তর্জাতিক
ফ্লাইনাস দামাম, রিয়াদ
গো ফার্স্ট[১৪] বেঙ্গালুরু, গোয়া–মোপা (শুরু ২০২৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি হবে), মুম্বই
ইন্ডিগো আগ্রা, আহমেদাবাদ, এলাহাবাদ, অমৃতসর, বেঙ্গালুরু, ভুবনেশ্বর, চণ্ডীগড়, চেন্নাই, দেরাদুন, দিল্লি, দুবাই-আন্তর্জাতিক, গোয়া–দাবোলিম, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদ, ইন্দোর, জয়পুর, কলকাতা, মুম্বই, নাগপুর, পন্তনগর, পাটনা, পুনে, রায়পুর, রাঁচি,[১৫] শারজাহ
সালামএয়ার মাস্কাট
সৌদিয়া জেদ্দা, রিয়াদ
থাই এয়ারএশিয়াব্যাংকক–ডন মুয়াং[১৬]
ভিস্তারা দিল্লি
বন্ধ

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.