Remove ads
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
চার্লস আর্নেস্ট লিওয়েলিন জোন্স (ইংরেজি: Charles Jones; জন্ম: ৩ নভেম্বর, ১৯০২ - মৃত্যু: ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫৯) ডেমেরারার জর্জটাউন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | চার্লস আর্নেস্ট লিওয়েলিন জোন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ৩ নভেম্বর, ১৯০২ জর্জটাউন, ডেমেরারা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ ব্রিটিশ গায়ানা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৫) | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ব্রিটিশ গায়ানা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন চার্লস জোন্স।
১৯২৫-২৬ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত চার্লস জোন্সের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
অক্টোবর, ১৯২৫ সালে আন্তঃঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতায় বার্বাবাডোসের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষক ঘটে চার্লস জোন্সের। খেলায় তিনি ১৪ রান ও একটি উইকেট পেয়েছিলেন। ব্রিটিশ গায়ানা দল আট উইকেটে জয় তুলে নেয়।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন চার্লস জোন্স। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে জর্জটাউনে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৫ তারিখে একই মাঠে ও একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩০ সালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এফ.এস.জি. ক্যালথর্পের অধিনায়কত্বে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ গমন করে। ফেব্রুয়ারি মাসে তিনটি খেলায় অংশ নেন। ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে দুইটি ও টেস্ট অভিষক খেলা এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
চার টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের তৃতীয় টেস্ট খেলার জন্যে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জর্জটাউনের গয়ানায় অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আয়োজক দ্বীপ থেকে খেলোয়াড়দের ব্যয়ভার কমানোর উদ্দেশ্যে স্বল্পসংখ্যক খেলোয়াড়কে দলে নেয়া হতো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের ঐতিহাসিক জয়ে চার্লস জোন্স খুবই কম ভূমিকা রাখেন। ব্যাট হাতে নিয়ে তিনি মাত্র ৬ ও ২ রান তুলতে সক্ষম হন। দুইটি ক্যাচ তালুবন্দী করলেও বল হাতে কোন উইকেটের সন্ধান পাননি।
পরবর্তী পাঁচ বছরে কেবলমাত্র মাঝে-মধ্যেই তাকে খেলার জগতে দেখা যেতো। তবে, ঐ সময়ে ব্যাট হাতে তিনি কিছু কার্যকরী ইনিংস খেলেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের বাকী তিন টেস্টে অংশ নেন। ১৯৩৫ সালে আর.ই.এস. ওয়াটের নেতৃত্বে ইংরেজ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করে। ত্রিনিদাদের পোর্ট অব স্পেনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলেন। এ পর্যায়ে সি.এম. ক্রিস্টিয়ানি’র সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। উভয় ইনিংসেই ১৯ রান করে তুলেছিলেন। পরবর্তীতে এ সংগ্রহগুলোই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানে পরিণত হয়। কিন্তু, কোন উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি চার্লস জোন্স। খেলাগুলোয় কোন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি। এছাড়াও, ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটেও ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে তার খেলা আশানুরূপ ছিল না।
সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৪৪.১২ গড়ে ২৪ উইকেট পান ও ২১.৮৩ গড়ে ৯১৭ রান তুলেন। জানুয়ারি, ১৯৩৯ তারিখে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর গ্রহণকালে তিনি সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৯ রান তুলেছিলেন। নিজেদের মাঠে বার্বাডোসের বিপক্ষে জয়লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন।
১০ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে ৫৭ বছর বয়সে ব্রিটিশ গায়ানায় চার্লস জোন্সের দেহাবসান ঘটে। দেহাবসানের পর উইজডেনে তার স্মরণে কোন শোকসংবাদ প্রকাশ করা হয়নি।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.