গ্রিনহাউজ গ্যাস

গ্রিন হাউস ইফেক্টের জন্য দায়ী গ্যাসসমূহ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

গ্রিনহাউজ গ্যাস

বায়ুমণ্ডলের যে সকল গ্যাস তাপীয় অবলোহিত সীমার মধ্যে বিকিরিত শক্তি শোষণ ও নির্গত করে সে সকল গ্যাসকে গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। এটি গ্রিনহাউস প্রভাবের মৌলিক কারণ।[] পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রাথমিক গ্রিনহাউস গ্যাস গুলোর মধ্যে আছে জলীয় বাষ্প,কার্বন ডাই অক্সাইড,মিথেন,নাইট্রাস অক্সাইড এবং ওজোন। গ্রিনহাউস গ্যাস ছাড়া পৃথিবী পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা হতো -১৮ °C (0 °F),[] যা বর্তমানে ১৫ °C(৫৯ °F)[][][] সৌর জগতের বিভিন্ন গ্রহ যেমন শুক্র ,মঙ্গল ইত্যাদির বায়ুমণ্ডলেও বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস রয়েছে।

Thumb
শক্তির উৎস (সূর্য), পৃথিবীর উপরিভাগ, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলমহাশূন্যের মধ্যে শক্তির ক্রমসঞ্চালনের একটি উপস্থাপনা।

১৭৫০ সালের দিকে শিল্প বিপ্লবের পর ২০১৭ সাল পর্যন্ত মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বায়ুমণ্ডলে ৪০% কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বৃদ্ধি করেছে।[] কার্বন ডাই অক্সাইডেরর এই বৃদ্ধির বেশীর ভাগই ঘটেছে মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি ,কয়লা ,তেল ,প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে।[][] এছাড়াও বন ঊজার ,ভূমি ব্যবহারে পরিবর্তন ,ভূমিক্ষয় ও কৃষিও দ্বায়ি।[][১০] ধারণা করা হয় ,বর্তমানে যে হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হচ্ছে তা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ২০৪৭ সালের মধ্যে বাস্তু তন্ত্র(Ecosystem) ও জীববৈচিত্র সহ বিভিন্ন প্রাণি ও মানুষের উপড় এর মারাত্মক খারাপ প্রভাব পড়বে।[১১] সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে বর্তমান নিঃসরণ হার ২০৩৬ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ °C (ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত বাড়তে পারে।[১২]

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে গ্যাস সমূহ

সারাংশ
প্রসঙ্গ
refer to caption and adjacent text
তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের যে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যে বায়ুমণ্ডলিয় শোষণ ও বিচ্ছুরণ ঘটে.

গ্রিনহাউস গ্যাসগুলো

বায়ুমণ্ডলের যে সকল গ্যাস তাপীয় অবলোহিত সীমার মধ্যে বিকিরিত শক্তি শোষণ ও নির্গত করে সে সকল গ্যাসকে গ্রিনহাউস গ্যাস বলে।এটি গ্রিনহাউস প্রভাবের মৌলিক কারণ।[] যেসকল গ্রিনহাউস গ্যাস পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়:

বায়ুমণ্ডলো গ্রিনহাউস গ্যাস এর ঘনত্ব মূলত এর উৎস (প্রাকৃতিকভাবে এবং মানুষের কর্মকাণ্ডের দ্বারা নির্গত) ও ব্যবহৃত হয়ে যাওয়ার (বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক যৌগে রুপান্তরের) পরিমাণ এর উপর নির্ভর করে।[১৩] নির্গত গ্যাসের যে অংশ বায়ুমণ্ডলে থেকে যায় তাকে 'বায়ুবাহিত ভগ্নাংশ' বা "airborne fraction" (AF) বলে।২০০৬ সালে কার্বন ডাই অক্সাইডের জন্য এটি ছিল ০.৪৫। ১৯৫৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাৎসরিক 'বায়ুবাহিত ভগ্নাংশ' বা "airborne fraction" বৃদ্ধি পেয়েছিল প্রতিবছর ০.২৫ ± ০.২১%।.[১৪]

গ্রিনহাউস গ্যাস নয় যে গ্যাস সমূহ

বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান সমূহ যেমন-নাইট্রোজেন(N
2
),অক্সিজেন(O
2
),এবং আর্গন(Ar) গ্রিনহাউস গ্যাস নয়।কারণ তারা অবলোহিত রশ্মি শোষণ করেনা।আবার মনো অক্সাইড]] অথবা হাইড্রোজেন ক্লোরাইড অবলোহিত রশ্মি শোষণ করলেও তাদের সক্রিয়তা ও দ্রবণীয়তার জন্য তারা বায়ু মন্ডলে অতি স্বল্প সময়ের জন্য থাকতে পারে।সেজন্য,গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া তে তাদের তাৎপর্যপূর্ণ অংশগ্রহণ না থাকায় গ্রিনহাউস গ্যাস হিসাবে বিবেচনা করে থাকে না।

বিকিরণের পরোক্ষ প্রতিক্রিয়া

world map of carbon monoxide concentrations in the lower atmosphere
এই চিত্রের মেকি বর্ণ দ্বারা বায়ুমণ্ডলের নিম্ন স্তরের কার্বন মনো অক্সাইডের ঘনত্ব দেখানো হচ্ছে যার সীমা ৩৯০ পিপিবি(বাদা্মী কালো),থেকে ২২০ পিপিবি(লাল),থেকে ৫০ পিপিবি(নীল)।[১৫]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.