গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা বাংলা ভাষার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৮৬৩ সালে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার দ্বারা প্রকাশিত হতো।[১] প্রাথমিকভাবে এটি কলকাতার গিরিশ বিদ্যারত্ন প্রেসে ছাপা হতো। প্রকাশনাটি ১৮৬৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মথুরানাথ প্রেসে স্থানান্তরিত হয়।[২] এরপর কুষ্টিয়া থেকে সংবাদ পরিবেশন করা হতো। তবে বর্তমানে আর পত্রিকাটির অস্তিত্ব নেই।
ধরন | সাপ্তাহিক পত্রিকা |
---|---|
মালিক | মথুরানাথ মৈত্রেয় |
প্রকাশক | হরিনাথ মজুমদার |
প্রতিষ্ঠাকাল | এপ্রিল ১৮৬৩ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
সদর দপ্তর | কুমারখালী, কুষ্টিয়া, ব্রিটিশ ভারত |
ইতিহাস
হরিনাথ মজুমদার ব্রিটিশ মালিকানাধীন একটি নীল উৎপাদন কারখানার কর্মচারী ছিলেন।[৩] চাকরি ছেড়ে তিনি বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার একটি ছোট শহর কুমারখালীতে চলে আসেন।[৪] তিনি ছাত্রদের পড়াতে শুরু করেন এবং নিজের পত্রিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন।[৩] ১৮৬৩ সালে তিনি ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ মাসিক হিসেবে প্রকাশ করেন।[৫] ১৮৬৪ সালের জুন-জুলাই মাসের দিকে তিনি এটিকে পাক্ষিক এবং ১৮৭১ সালের এপ্রিল-মে মাসের দিকে এটিকে সাপ্তাহিক হিসেবে প্রকাশ করতে শুরু করেন। সাপ্তাহিক কাগজটির দাম ছিল ১ পয়সা। পত্রিকাটিতে প্রজাদের ওপর অত্যাচার ও নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা তুলে ধরা হতো।[১] ১৮৭৩ সালে, কুমারখালি প্রেসের মালিক মথুরানাথ মৈত্রেয়, মজুমদারকে প্রেসটি দান করেন।[২] প্রেসের মালিক মৈত্রেয় ছিলেন ইতিহাসবিদ অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়ের পিতা।
লেখক মীর মশাররফ হোসেন প্রেস বিল্ডিং-এর অভ্যন্তরে তার বিখ্যাত উপন্যাস বিষাদ সিন্ধুর কিছু অংশ লিখেছিলেন। এই উপন্যাস এবং কুষ্টিয়ার লালনের গান এখানেই প্রথম প্রকাশিত হয়।[৬]
বাংলাদেশ সরকার প্রেসটি সংরক্ষণের জন্য একটি জাদুঘর নির্মাণের জন্য ৬ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করেছিল।[৩] বর্তমানে ছাপাখানাটি কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে স্থান্তর করা হয়েছে।[৭]
তথ্যসূত্র
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.