গুপী বাঘা ফিরে এলো
১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
গুপী বাঘা ফিরে এলো (ইংরেজি: Goopy Bagha Phirey Elo) (১৯৯২) গুপী গাইন বাঘা বাইন সিরিজের তৃতীয় ছবি, সত্যজিৎ রায়ের লেখা এবং সন্দীপ রায় পরিচালিত। হীরক রাজার দেশে মুক্তির ১১ বছর এই ছবিটি মুক্তি পায়। এটি গুপী গাইন বাঘা বাইন সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ চলচ্চিত্র।
গুপী বাঘা ফিরে এলো | |
---|---|
![]() DVD cover art | |
পরিচালক | সন্দীপ রায় |
প্রযোজক | পশ্চিম বঙ্গ সরকার |
রচয়িতা | সত্যজিৎ রায় |
শ্রেষ্ঠাংশে | তপেন চট্টোপাধ্যায় রবি ঘোষ অজিত বন্দোপ্যাধায় কামু চ্যাটার্জি |
সুরকার | সত্যজিৎ রায় |
সম্পাদক | দুলাল দত্ত |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১৯ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
গল্পাংশ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
গুপী বাইন বাঘা বাইন শুন্ডী রাজ্য শাসন আর রাজকীয় বিলাসিতায় বিষণ্ণ হয়ে পড়ল। তারা তাদের পুরাতন আভিযানে বেড়িয়ে পড়তে চাইল কিন্ত অনেক বয়স হয়ে গেছে। নতুন অভিজ্ঞতার জন্য তারা রাজ্য ত্যাগ করল। অবশেষে তারা আনন্দগড় রাজ্যে পৌছালো এবং তাদের গান এবং বাদ্যযন্ত্রের ক্ষমতা দিয়ে রাজার মন জয় করল। বিচারকক্ষে তারা ব্রহ্মানন্দ আচার্য্যের সাথে দেখা হল, যে তাদের আনন্দগড় দুর্গে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। যখন তারা তার ঐ জায়গায় যান, তখন আচার্য্য তাদেরকে অলৌকিক ক্ষমতা (ভূত রাজা থেকে প্রাপ্ত) ব্যবহার করে, তাদের তিনটি মূল্যবান পাথর চুরি করার প্রস্তাব দেন, বিনিময়ে তাদের বয়স ২০ বছর কমিয়ে দিবেন।
যাইহোক, তাদের স্বপ্নে ভুতের রাজার আগমন ঘটে এবং অবিচার বন্ধ করার উপদেশ দেয়। তারা তার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হন এবং নিজ নিজ মালিকদের পাথর ফিরিয়ে দেন। ব্রহ্মানন্দ আচার্য, অপরিমেয় ক্ষমতা অর্জন করেছে, যখন তারা আদালতের সামনে গাওয়ার সময় আচার্য নিস্পন্দ ছিলেন। কিন্তু, বিরল ও মূল্যবান পাথরের লোভে তাকে অমরত্ব দেওয়া হয়না। এটা ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে, বিক্রম নামে ১২ বছরের ছেলে, ঐশ্বরিক ক্ষমতা বলে তাকে পরাজিত করবে। তার মৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য, আচার্য আনন্দগড়ের ১২ বছর বয়সী বিক্রম নামের সকল ছেলেদের তার সৈন্যরা অপহরণ করত। তিনি বাচ্চাদের সম্মোহিত ও দাস বানায়ে রাখতেন। শেষ পর্যন্ত, গুপী ও বাঘা কানু নামে এক ছেলে খুজে বের করল, পূর্বে যার নাম বিক্রম ছিল। সে ১২ বছর বয়সে ঐশ্বরিক ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছিল। সে, গুপী ও বাঘা আনন্দগড় দুর্গের দিকে যায়। যখন বিক্রম দুর্গ প্রবেশ করে এবং আচার্যের কাছে যায় তখন আচার্য মাটির তলদেশে ডুবে ছিল যার অর্থ আচার্য তিনি ধ্বংস হয়েছে। তার মূল্যবান পাথর উধাও হয়ে যায়। [১]
চরিত্রায়নে
- তপন চ্যাটার্জি
- রবি ঘোষ
- অজিত বন্দোপ্যাধায়
- কামু চ্যাটার্জি
- হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়
- প্রমোদ গাঙ্গুলী
- বিশ্ব গুহঠাকুরটা
- পুরব চ্যাটার্জি
পুরস্কার
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.