Loading AI tools
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
অ্যাঙ্গুপ্পুলিগে গামিনি দয়ন্তা বিক্রমাসিংহে (সিংহলি: ගාමිණී වික්රමසිංහ; জন্ম: ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৬৫) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাঙ্গুপ্পুলিগে গামিনি দয়ন্তা বিক্রমাসিংহে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৪) | ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৬৮) | ৪ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৯ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন গামিনি বিক্রমাসিংহে।
১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত গামিনি বিক্রমাসিংহে’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ক্রিকেট দল নির্বাচকমণ্ডলীর দূরন্ত খেয়ালীপনার শিকারে পরিণত হয়েছিল গামিনি বিক্রমাসিংহে’র খেলোয়াড়ী জীবন। উইকেটের পিছনে খাঁটিমানের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। নিচেরসারিতে নামলেও বেশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল তার ব্যাটিংশৈলী। কিন্তু, জাতীয় দলে তাকে কখনো স্থায়ীভাবে খেলার সুযোগ দেয়া হয়নি। তার পরিবর্তে নন্দেস্ক্রিপ্টসের দলীয় সঙ্গী হাসান তিলকরত্নেকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছিল। অথচ, নন্দেস্ক্রিপ্টসে থাকাকালে তিলকরত্নেকে মূলতঃ ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ হিসেবে খেলানো হতো ও তাকে উইকেট-রক্ষণে থাকতে হতো।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন গামিনি বিক্রমাসিংহে। ৮ ডিসেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে ব্রিসবেনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
গাব্বায় অভিষেক টেস্টে তিনটি ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করেন ও দুই রান তুলেছিলেন। তবে, আঘাতের কারণে হোবার্টের দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তার পরিবর্তে হাসান তিলকরত্নেকে দায়িত্ব দেয়া হলে বেশ দূর্দান্ত খেলা উপহার দেন। এরপর থেকেই বিক্রমাসিংহেকে পর্দার অন্তরালে চলে যেতে হয় ও তিলকরত্নেকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উপেক্ষার শিকার হলেও ঘরোয়া পর্যায়ে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দিতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে, ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে তাকে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। শ্রীলঙ্কা দল সিরিজ জয় করে। এ পর্যায়ে স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন, জয়ানন্দ বর্ণবীরা ও ডন অনুরাসিরি’র বল বেশ ভালোভাবে গ্লাভসে করায়ত্ত্ব করতেন। কিন্তু, পরবর্তী কয়েকবছর দল নির্বাচকমণ্ডলী উন্নততর ব্যাটিংশৈলীর অধিকারীদেরকে দলে নিতে থাকেন। বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এ অবস্থানে থাকলেও সফলকাম হয়নি। তবে, ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে তিনি ঠিকই তার খেলার ধারা অব্যাহত রেখেছিলেন। এ অবস্থানটি মূলতঃ নিজের কারণেই হাতছাড়া করেছিলেন তিনি।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে গামিনি বিক্রমাসিংহেকে শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্যতম দল নির্বাচক হিসেবে মনোনীত করা হয়। প্রধান দল নির্বাচক গ্রেইম লেব্রয়ের সাথে তাকেসহ সাবেক দল নির্বাচক অশঙ্কা গুরুসিনহা ও নতুন তিনজন - জাতীয় দলের সাবেক ব্যবস্থাপক জেরিল ওটার্সজ ও সাবেক প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার সজিত ফার্নান্দোকে মনোনয়ন দেয়া হয়।[1]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.