গণতন্ত্রী পার্টি

বাংলাদেশি রাজনৈতিক দল উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

[]অফিস ঠিকানা. 6 পুরানা পল্টন ,ইশরাত টাওয়ার, ঢাকা 1000

দ্রুত তথ্য গণতন্ত্রী পার্টি, পূর্ববর্তী ...
গণতন্ত্রী পার্টি
পূর্ববর্তীসভাপতি ডা; শাহাদাত হোসেন, সাধিরন সম্পাদক প্রকৌশলী কামরুল আহসান খান ।
ছাত্র শাখাজাতীয় ছাত্র ঐক্য
ভাবাদর্শর্্যডিকাল ডেমোক্র্যাট
নির্বাচনী প্রতীক
কবুতর
দলীয় পতাকা
Thumb
বাংলাদেশের রাজনীতি
রাজনৈতিক দল
নির্বাচন
বন্ধ

ইতিহাস

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৫৭ সালের ২৭ জুলাই ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) পূর্ব বাংলায় গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দল হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

১৯৬৮ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মূল অংশকে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নামে নাম করন করা হয়। অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ সভাপতি ও সৈয়দ আলতাফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

পাকিস্থান সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্থান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি স্বাধীকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সংগঠিত করে এবং ৬ দফা সম্বলিত ১১ দফা কর্মসূচীভিত্তিক গণঅভ্যুত্থানকে সফল পরিণতির দিকে অগ্রসর করে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতৃপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো।

১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি দেশের সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে এবং ২৬ শে মার্চ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রীয় ভাবে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পূর্ব পাকিস্থান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গৌরবজনক আবদান রাখে। এফ.এফ. নিয়মিত বাহিনী এবং “ ন্যাপ বিশেষ গেরিলা বাহিনী”, ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন করে নেতা কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সর্ববৃহৎ বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে অবিচল ও সংকল্পবদ্ধ পার্টি জনগণের আস্থা অর্জন করলেও পার্টিতে বার বার ভাঙ্গনের কারণে সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই ১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, একতা পার্টি ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (মোজাফ্ফর) মিলে মূলধারায় সবাই আবার একত্রিত হয়ে সৈয়দ আলতাফ হোসেন, পীর হবিবুর রহমান ও চৌধুরী হারুনর রশিদকে আহ্বায়ক করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ঐক্য ন্যাপ) নামে পূর্বের প্রধান দলে একত্রিত হয়ে সম্মিলিত বাবে কার্যক্রম শুরু করলেও ১৯৮৭ সালে পার্টি আবার দ্বিখন্ডিত হয়।

নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ব্যাপক আকারে বৃহত্তর পরিসরে গড়ে তোলার জন্য বিভেদ ভুলে সবাই একত্র হয়ে ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ঐক্য ‘ন্যাপ’) পুনরুজ্জীবিত করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করতে থাকেন। স্বৈরাচার পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এই মন্ত্র নিয়ে নেতা কর্মীরা একত্র হয়ে ১৯৯০ সালের ৩০ আগস্ট ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির বিশেষ সম্মেলন করেন এবং ৩১ আগস্ট বিশেষ সম্মেলনেই ঘোষণা করা হয় “মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নাম পরিবর্তন করে গণতন্ত্রী পার্টি নামকরণ করা হয় এবং সৈয়দ আলতাফ হোসেন পার্টির সভাপতি এবং আজিজুল ইসলাম খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

গণতন্ত্রী পার্টি ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের সাথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নুরুল ইসলাম ২০০৮ [] সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের মহাজোটের প্রার্থী হওয়ার আগে তার বাড়িতে আগুনে লাগলে তিনি এবং তাঁর ছেলে আগুনে পুড়ে মারা যান।[][][]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.