কিরান বালুচ

পাকিস্তানি মহিলা ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

কিরান মাকসুদ বালুচ (জন্ম: ১৯৭৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি) একজন পাকিস্তানি মহিলা ক্রিকেটার[] ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৪০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ (ওডিআই) এবং ৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার করা ২৪২ রান এখন পর্যন্ত মহিলা টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
কিরান বালুচ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কিরান মাকসুদ বালুচ
জন্ম (1978-02-23) ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ (বয়স ৪৭)
ব্যাটিংয়ের ধরনডান-হাতি
বোলিংয়ের ধরনডান হাতি অফব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১৭ এপ্রিল ১৯৯৮ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট১৫ মার্চ ২০০৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ )
২৮ জানুয়ারি ১৯৯৭ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২ এপ্রিল ২০০৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
বেলুচিস্তান ওম্যান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ৪০
রানের সংখ্যা ৩৬০ ৫৭০
ব্যাটিং গড় ৬০.০০ ১৪.২৫
১০০/৫০ ১/১ ০/১
সর্বোচ্চ রান ২৪২ ৬১
বল করেছে ৩০০ ১৩৭৭
উইকেট ২২
বোলিং গড় ৭৬.৫০ ৩৭.৮১
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৪১ ২/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/০ ৬/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ৭ নভেম্বর ২০১৩
বন্ধ

প্রাথমিক জীবন ও ক্রিকেটে হাতেখড়ি

পরিবারের সবচেয়ে বড় সন্তান হিসাবে জন্ম নেওয়া বালুচ অল্প বয়সেই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। এছাড়া, ছোটবেলায় তিনি বাস্কেটবল এবং ব্যাডমিন্টনও খেলতেন। কারণ, তাঁর স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলার সুযোগ ছিল না।[] তার বাবা ছিলেন পেশাদার ক্রিকেটার। তিনি কায়েদ-ই-আজম ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে পাকিস্তান টেলিভিশন এবং পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থার মতো দলের হয়ে খেলতেন। তিনিই সাধারণত বালুচকে বোলিং শেখাতেন। বালুচ নিয়মিত তার বাবা এবং তার ছোট ভাইয়ের সাথে ক্রিকেট খেলতেন।[]

জাতীয় দলে প্রবেশ

সারাংশ
প্রসঙ্গ

১৯৯৬ সালের অক্টোবর মাসে শাইজা খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান নারী ক্রিকেট কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার জন্য একটি দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেজন্য খেলোয়াড় খুঁজতে শুরু করে। এটি জানতে পেরে বালুচ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়ার জন্য শাইজা খানের সাথে যোগাযোগ করেন।[] অবশ্য, ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তার বড় কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি খেলা হয়ে ওঠেনি। তিনি সর্বপ্রথম যে বড় টুর্নামেন্টে অংশ নেন তার নাম ফাতেমা জিন্নাহ ট্রফি। এটি ছিল পাকিস্তানে মহিলাদের বার্ষিক ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে তিনি জাতীয় দলে খেলার জন্য নির্বাচিত হন এবং তিনটি ওয়ানডে এবং কয়েকটি ঘরোয়া ম্যাচ খেলতে জাতীয় দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফর করেন।[] ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা পাকিস্তানি নারী দলের ইতিহাসের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে বালুচ পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ খেলায় প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায়। দলের পক্ষে বালুচ সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন। ম্যাচে পাকিস্তান দশ উইকেটে পরাজিত হয়।[] পরের খেলায় তিনি শূন্য রানেই আউট হয়ে যান। এরপর অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিপক্ষে সিরিজগুলোতেও তিনি খারাপ পারফরমেন্স অব্যাহত রাখেন। সে মৌসুমেই, ডেনমার্কের বিপক্ষে ভারতে অনুষ্ঠিত একটি ম্যাচে তিনি ১৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন, যা ওয়ানডেতে তার সেরা বোলিংয় রেকর্ড।[]

এরপরে বালুচকে ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কা সফরকারী টেস্ট দলের জন্য নির্বাচিত করা হয়। পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল এ সিরিজেই। নিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটিতে বালুচ প্রথম ইনিংসে ৭৬ রান করেছিলেন যা ছিল দলের সর্বোচ্চ রান। অবশ্য, স্বাগতিকরা ৩০৯ রানে ম্যাচটি জিতে গিয়েছিল।[] ২০০০ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার পরের ম্যাচে তিনি শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। দলটি ২০০৪ সালে নিজ দেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি সিরিজের আয়োজন করে। সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বালুচ ২৪২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এটি ছিল তখন পর্যন্ত মহিলা টেস্ট ক্রিকেটে কোনও খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান।[][] তার ২৪২ রানের ইনিংসটি টেস্ট ক্রিকেটে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ টেস্ট ইনিংস।[] ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের সেরা টেস্ট বোলিং পারফরম্যান্সও প্রদর্শন করেছিলেন। এ ইনিংসে তিনি ৪১ রানে ২টি উইকেট নিয়েছিলেন।[]

আরো দেখুন

টীকা

  1. Baluch surpassed the previous record of 214 made by India's Mithali Raj.[]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.