কার্ল রেকেম্যান

অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

কার্ল গ্রে রেকেম্যান, ওএএম (জন্ম: ৩ জুন, ১৯৬০) কুইন্সল্যান্ডের ওন্দাই এলাকায় জন্মগ্রহণকালী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১] ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে খেলতেন।[২] ১৯৭৯-৮০ থেকে ১৯৯৫-৯৬ সময়কাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন। মক্কা ডাকনামে পরিচিত কার্ল রেকেম্যান দলে মূলতঃ ফাস্ট বোলার ছিলেন।

দ্রুত তথ্য ব্যক্তিগত তথ্য, পূর্ণ নাম ...
কার্ল রেকেম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
কার্ল গ্রে রেকেম্যান
জন্ম (1960-06-03) ৩ জুন ১৯৬০ (বয়স ৬৪)
ওন্দাই, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামমক্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৯১৯৯৫কুইন্সল্যান্ড
১৯৯৫সারে
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১২ ৫২
রানের সংখ্যা ৫৩ ৩৪
ব্যাটিং গড় ৫.২৯ ২.৮৩
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ১৫* ৯*
বল করেছে ২৭১৯ ২৭৯১
উইকেট ৩৯ ৮২
বোলিং গড় ২৯.১৫ ২২.৩৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৬/৮৬ ৫/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ৬/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৮ এপ্রিল ২০১৭
বন্ধ

খেলোয়াড়ী জীবন

স্বভাবজাত ফাস্ট বোলার রেকেম্যানের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ১৯৮২ সালে ব্রিসবেনের গাব্বায়, ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে। এই ম্যাচের পর থেকেই তিনি ধারাবাহিকভাবে জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে খেলে আসছিলেন। যদিও টেস্টের তুলনায় একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় তার অংশগ্রহণ বেশি ছিল এবং এ ধারা ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বজায় ছিল। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ভারত সফরে দলের শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেন তিনি।

১৯৮৫-৮৬ এবং ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সফরে অংশগ্রহণের জন্য তিনি জাতীয় দলের বাইরে চলে যান।

তবে ১৯৮৯ সালে আবারও তিনি জাতীয় দলে ফিরে আসেন এবং ইংল্যান্ড সফরে অ্যাশেজ সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য অস্ট্রেলিয়ান দলের সদস্য হন। ওই বছরের পার্থের ওয়াকা গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩১ ওভারে ২১ মেইডেন ওভার দিয়ে মাত্র ২৩ রানে ১ উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে বিস্ময়কর বোলিং প্রদর্শন করেন।

যদিও বোলিংয়ে সাফল্য ছিল চোখে পড়ার মতো, ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকেম্যান বরাবরই দূর্বল ছিলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৪ ইনিংসে ব্যাটিং করে তিনি মোট ৫৩ রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন, যেখানে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল মাত্র ১৫ রান।

ঘরোয়া ক্রিকেট

কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটে তিনি সর্বমোট ৪২৫ উইকেট পান যা পরবর্তীতে তার গড়া এ রেকর্ড মাইকেল কাসপ্রোভিচ ভেঙ্গে ফেলেন। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডের ফাইনালে তার শেষ খেলায় অংশগ্রহণ করেন। কুইন্সল্যান্ড ঐ খেলায় জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো শেফিল্ড শিল্ড জয় করে। এরফলে চার-চারবার চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিয়ে পরাজিত হবার পর কুইন্সল্যান্ডকে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের করতে সক্ষম হন।

১৯৯৫ মৌসুমে সারে দলের পক্ষে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ফাস্ট বোলারদের আঘাতজনিত সমস্যায় জর্জরিত অস্ট্রেলীয় দলকে সংক্ষিপ্তকালের জন্য ডাক পেয়েছিলেন।

অবসর

খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিয়ে ২০০০ সাল থেকে দুই বছরের জন্য তিনি জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে কুইন্সল্যান্ডের ফিরে খামার দেখাশোনাসহ নৈশবক্তা হিসেবে রয়েছেন। লন্ডনে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলরূপে পরিচিত ‘কার্ল র‌েকেম্যান অল স্টার্স দলের’ উদ্যোক্তার দায়িত্বে রয়েছেন কার্ল রেকেম্যান।[৩]

রাজনৈতিক জীবন

সেপ্টেম্বর, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত কুইন্সল্যান্ড রাজ্য নির্বাচনে ক্যাটার্স অস্ট্রেলিয়ান পার্টির প্রার্থী হবার কথা ঘোষণা করেন। নানাঙ্গোর ইলেক্টোরাল ডিস্ট্রিক্টের ঐ নির্বাচনে তিনি অবশ্য জয়লাভ করতে পারেননি।[৪]

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.