কাজিমা কর্পোরেশন (鹿島建設株式会社 Kajima Kensetsu Kabushiki-gaisha) হলো জাপানের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম নির্মাণ কোম্পানি। ১৮৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটির সদরদপ্তর টোকিওর মোতোআকাসাকা, মিনাতোয় অবস্থিত। কোম্পানিটি নিজের ডিআইবি-২০০ প্রস্তাবের জন্য পরিচিত।[4] এই কোম্পানির শেয়ার জাপানের চারটি নেতৃত্বাধীন শেয়ারবাজারে বিনিময়ের করা হয় ও নিক্কেই ২২৫ নামক শেয়ারবাজার সূচকে তালিকাভুক্ত।[5]
স্থানীয় নাম | 鹿島建設株式会社 |
---|---|
রোমানিকৃত নাম | Kajima Kensetsu kabushiki gaisha |
ধরন | পাবলিক (কে.কে) |
শিল্প | |
প্রতিষ্ঠাকাল | টোকিও, জাপান (১৮৪০ ) |
সদরদপ্তর | ৩-১, মোতোয়াকাসাকা ১-চোম, মিনাতো-কু, টোকিও ১০৭-৮৩৮৮, জাপান |
বাণিজ্য অঞ্চল | বিশ্বব্যাপী |
প্রধান ব্যক্তি | মোরিনোসুকে কাজিমা, চেয়ারম্যান (১৯৫৭-১৯৭৫), রোকুরো ইশিকাওয়া, চেয়ারম্যান (১৯৮৩-১৯৯৩) ও সম্মানসূচক চেয়ারম্যান |
পরিষেবাসমূহ |
|
আয় | $ ১৫.৭৯৮ বিলিয়ন ইউএসডি (এফওয়াই ২০১২) (¥ ১৪৮৫.০১ বিলিয়ন জেপিওয়াই) (এফওয়াই ২০১২) |
নীট আয় | $ ২৪৯.২৫৫৫ মিলিয়ন ইউএসডি (এফওয়াই ২০১২) (¥ ২৩.৪২ বিলিয়ন জেপিওয়াই) (এফওয়াই ২০১২) |
কর্মীসংখ্যা |
|
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
পাদটীকা / তথ্যসূত্র [1][2][3] |
কাজিমার পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে নকশা, প্রকৌশল, নির্মাণ ও আবাসন উন্নয়ন। কাজিমা উঁচু ভবন, রেলপথ, বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাঁধ এবং সেতু নির্মাণ করে। এর সহায়ক সংস্থা এশিয়া, ওশেনিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে অবস্থিত। ১৯৯০-এর দশকের শেষার্ধে নির্মাণ শিল্পের মন্দা কাজিমাকে পরিবেশগত খাতে বিশেষ করে বর্জ্য পরিশোধন, পানি শোধন, মাটি পুনর্বাসন ও পরিবেশগত পরামর্শে তার কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে প্ররোচিত করে।
ইতিহাস
- ১৮৪০ – বর্তমান কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইওয়াকিচি কাজিমা এডোতে (বর্তমান টোকিও) ছুতার ব্যবসা শুরু করেন।
- ১৮৬০ – কাজিমা পথপ্রদর্শক হিসেবে ইয়োকোহামায় প্রথম পশ্চিমা-শৈলীর ভবন (ই-ইচিবান কান) তৈরি শুরু করে।
- ১৮৮০ – কাজিমা গুমি প্রতিষ্ঠা করে
- ১৮৯৯ – কোরিয়া ও তাইওয়ানে রেলওয়ে নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়।
- ১৯২৩ – বড় কান্টো ভূমিকম্প - কাজিমা পুনর্গঠনের কাজে অংশগ্রহণ করে।
- ১৯৩০ – কোম্পানির অন্তর্ভুক্তি (স্টক ইস্যু, মূলধন ৩০ লাখ ইয়েন)।
- ১৯৪৫ – কাজিমার সহায়তায় যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন শুরু হয়।
- ১৯৪৯ – কাজিমা প্রযুক্তিগত গবেষণা ইনস্টিটিউট (জাপানে প্রথম নির্মাণ গবেষণা প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠা করে।
- ১৯৫০ – মরিসন–কুডসেনের সাথে অগ্রগামীদের প্রথম যৌথ উদ্যোগ।
- ১৯৫৭ – জাপানের প্রথম পারমাণবিক চুল্লি (জাপান পারমাণবিক শক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউটের টোকাই জেআরআর-১ চুল্লি) সম্পূর্ণ করে।
- ১৯৫৯ - তৌকাইদৌ শিনকানসেনের নির্মাণ শুরু হয়।
- ১৯৬১ – কোম্পানিটি টোকিও ও ওসাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।
- ১৯৬৩ – নির্মাণে বিশ্বের ১ নং হয় (মোট চুক্তি মূল্যের দিক থেকে)।
- ১৯৬৪ টোকিও অলিম্পিক গেমসের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে।
- ১৯৬৪ – লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজিমা ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেটেড (কেআইআই) প্রতিষ্ঠা।
- ১৯৬৮ – জাপানের প্রথম উঁচু ভবন কাসুমিগাসেকি ভবন সম্পন্ন হয়।
- ১৯৭৫ – ওয়াসকিতা কারয়ার সাথে যৌথ উদ্যোগে পিটি ওয়াসকিতা কাজিমা প্রতিষ্ঠা হয়।[6]
- ১৯৮৭ – নেদারল্যান্ডসে কাজিমা ইউরোপ বিভি (কেই) প্রতিষ্ঠা।
- ১৯৮৮ – সিঙ্গাপুরে কাজিমা ওভারসিজ এশিয়া পিটিই লিমিটেড (কেওএ) প্রতিষ্ঠা।
- বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ সেইকন সুড়ঙ্গ সম্পন্ন হয়।
- ১৯৯৪ – কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ সম্পন্ন হয়।
- ১৯৯৮ – আকাশি কাইকিও সেতু সম্পূর্ণ হয়
- ওয়াসকিতা কারয়ার সমস্ত শেয়ার ওয়াসকিতা কাজিমা কিনে নেয়, ফলে কাজিমা কোম্পানির সংখ্যাগরিষ্ঠ শেয়ারহোল্ডার হয়। এরপর কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে কাজিমা ইন্দোনেশিয়া রাখা হয়।[6]
- ২০০১ – সুয়েজ খাল সেতু সম্পন্ন হয়।
- ২০০২ – ডিলিংহাম কনস্ট্রাকশন থেকে হাওয়াইয়ান ড্রেজিং অধিগ্রহণ করা হয়।[7]
- ২০০৩ – কাজিমা (সাংহাই) কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেডের প্রতিষ্ঠা।
- ২০১০ – সিঙ্গাপুরে রিসোর্ট ওয়ার্ল্ড সেন্টোসার নির্মাণ সম্পন্ন হয়।
- ২০১১ – কোম্পানিটি দুবাই মেট্রোর (পর্যায় ১ ও ২) নির্মাণ সম্পন্ন করে।[8]
ধ্বংসকারী প্রযুক্তি
কাজিমা কর্পোরেশন ভবন ধ্বংস করার একটি কৌশল তৈরি করেছে যাতে হাইড্রোলিক জ্যাক ব্যবহার করে একটি ভবনের এক তলা ভেঙে ফেলা হয়। এই পদ্ধতিটি নিরাপদ ও আরও দক্ষ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রক্রিয়ার জন্য সুযোগ দেয়। ২০০৮ সালের বসন্তে, কাজিমা কর্পোরেশন একটি ১৭-তলা ও ২০-তলা ভবন ভেঙে ফেলার জন্য এই কৌশলটি ব্যবহার করে, এই প্রক্রিয়ায় ৯৯% ইস্পাত ও কংক্রিট এবং ৯২% অভ্যন্তরীণ উপকরণ পুনর্ব্যবহার করে।[9]
চলচ্চিত্রে সমর্থন
কাজিমা দ্বারা নির্মিত কাসুমিগাসেকি ভবন হলো চোকোসো নো আকেবোনো চলচ্চিত্রের প্রধান বিষয়, যা কাজিমা দ্বারা সমর্থিত ছিল।[10]
কেলেঙ্কারি
২ মার্চ, ২০১৮-এ কাজিমার একটি বিভাগের প্রধানকে টোকিও জেলা সরকারি অভিযোক্তা দপ্তরের একটি তদন্তকারী দল দ্বারা চুও শিনকানসেন ম্যাগলেভ লাইনের নিলামের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত একচেটিয়াকরণ ও ন্যায্য বাণিজ্য রক্ষণাবেক্ষণ নিষিদ্ধ করার আইন লঙ্ঘন করার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়।[11] ২৩ মার্চে ন্যায্য বাণিজ্য কমিশন বিভাগীয় প্রধান ও কাজিমা কর্পোরেশন উভয়ের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি অভিযোগ জারি করে।[12]
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.