কল্যাণীর কলচুরি রাজবংশ ছিল অধুনা উত্তর কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র অঞ্চলে রাজত্বকারী একটি মধ্যযুগীয় রাজবংশ। খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীতে এই রাজবংশ রাজত্ব করত। ১১৫৬ থেকে ১১৮১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ২৫ বছর এই রাজবংশ দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল।
কল্যাণীর কলচুরি রাজবংশ | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১১৬৪ খ্রিস্টাব্দ–১১৮১ খ্রিস্টাব্দ | |||||||||||
রাজধানী | কল্যাণী (বাসবকল্যাণ) | ||||||||||
প্রচলিত ভাষা | কন্নড় | ||||||||||
ধর্ম | প্রথমে জৈনধর্ম, পরে শৈবধর্ম | ||||||||||
সরকার | নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র | ||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||
• প্রতিষ্ঠা | ১১৬৪ খ্রিস্টাব্দ | ||||||||||
• বিলুপ্ত | ১১৮১ খ্রিস্টাব্দ | ||||||||||
|
কলচুরি রাজবংশের শাসকেরা নিজেদের জনৈক কৃষ্ণের বংশধর বলে দাবি করত। কথিত আছে, এই কৃষ্ণ অধুনা মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্গত কালিঞ্জর ও দহল জয় করেছিলেন (ত্রিপুরীর কলচুরি রাজবংশ দেখুন)। বলা হয় যে, এই রাজবংশের সামন্ত শাসক বিজ্জল চালুক্য রাজা তৃতীয় তৈলের সঙ্গে যুদ্ধের পর কর্ণাটক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। বিজ্জলের পর তাঁর দুই পুত্র সোমেশ্বর ও সঙ্গম সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। কিন্তু ১১৮১ খ্রিস্টাব্দের পরে চালুক্যেরা নিজ অঞ্চল পুনরুদ্ধার করে। তাঁদের শাসন ছিল স্বল্পকালীন এবং যুদ্ধবিগ্রহে অশান্ত।[1] কিন্তু সামাজিক-ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই শাসনকালটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ২৫ বছরের শাসনকালের মধ্যেই লিঙ্গায়েত বা বীরশৈব নামক সম্প্রদায়টির উদ্ভব ঘটেছিল।[2]
কন্নড় কাব্যসাহিত্যে বচন নামে পরিচিত একটি স্বতন্ত্র ও বিশুদ্ধভাবে আখ্যানমূলক ধারার উদ্ভবও এই সময়ে ঘটেছিল। বচন সাহিত্যের রচয়িতাদের বলা হত বচনকার বা কবি। এই সাহিত্যধারায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা হল বিরুপাক্ষ পণ্ডিতের চেন্নবাসবপুরাণ, ধরণী পণ্ডিতের বিজ্জলরায়চরিতে ও চন্দ্রসাগর বর্ণির বিজ্জলরায়পুরাণ।
পাদটীকা
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.