কনক কান্তি বড়ুয়া
বাংলাদেশী চিকিৎসক ও অধ্যাপক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কনক কান্তি বড়ুয়া একজন বাংলাদেশী স্নায়ুশল্যচিকিৎসক এবং অধ্যাপক। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর ১০ম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][২] চিকিৎসা বিদ্যায় অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।[৩]
কনক কান্তি বড়ুয়া | |
---|---|
![]() | |
১০ম উপাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় | |
কাজের মেয়াদ ২৪ মার্চ ২০১৮ – ২৩ মার্চ ২০২১ | |
নিয়োগদাতা | রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ |
পূর্বসূরী | কামরুল হাসান খান |
উত্তরসূরী | মো. শারফুদ্দিন আহমেদ |
সভাপতি | |
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এন্ড সার্জনস | |
কাজের মেয়াদ ২০১৭ – ২০১৯ | |
পূর্বসূরী | মোঃ সানোয়ার হোসেন |
উত্তরসূরী | কাজী দীন মোহাম্মদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৫৩ |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা মেডিকেল কলেজ |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (২০২২) |
জীবন ও শিক্ষা
কনক কান্তি বড়ুয়া ১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তিনি ১৯৬৮ সালে কুমিল্লা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এবং ১৯৭০ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পাস করেন। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস থেকে এফসিপিএস অর্জন করেন। তিনি ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউরোসার্জারিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কোবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
কর্মজীবন
অধ্যাপক বড়ুয়া ১৯৭৯ সালে তৎকালীন আইপিজিএমআরে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) যোগদান করেন। তিনি নিউরোসার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। টানা তিন মেয়াদে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএসএমএমইউ-এর ১০তম উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (BCPS)-এর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর বড়ুয়া ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিসিপিএসের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পরপর তিন মেয়াদে অনারারি সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫][৬][৭]
গবেষণা ও প্রকাশনা
এ পর্যন্ত তাঁর ১২২ টিরও বেশি গবেষণাপত্র দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়।[৪][৬][৮]
পেশাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্তি
বড়ুয়া পাঁচ মেয়াদে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস (বিএসএনএস)-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিবও ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিউরোলজিক্যাল সার্জনদের এশিয়ান কংগ্রেসের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন এবং ২০০০-২০২২ সালে কংগ্রেসের সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি সার্ক সোসাইটি অফ নিউরোসার্জনস এর সভাপতি ছিলেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
বড়ুয়া ১৯৯৩ সালে ইউএসএ থেকে ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ সার্জনস-এর ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। তিনি শ্রীলঙ্কা কলেজ অফ সার্জনস, শ্রীলঙ্কা থেকে সাম্মানিক এফএসএলসিএস এবং ২০১২ সালে কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস পাকিস্তান থেকে সম্মানসূচক এফসিপিএস পেয়েছিলেন।[৫][৬] তিনি ২০১৯ সালে অধ্যাপক পিএস রমানি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। নিউরোসার্জারি ক্ষেত্রে অসামান্য কর্মক্ষমতা এবং পরিষেবার জন্য ২৬ জুলাই ২০১৮ তারিখে নিউ অরলিন্সে বিএমএ উত্তর আমেরিকান চ্যাপ্টার তাকে পুরস্কৃত করা হয়।[৪][৯][১০] প্রফেসর বড়ুয়া ২০১৮ সালে অতীশ দীপঙ্কর শান্তি স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে উ গুন মেজু-কৃষ্ণ চন্দ্র চৌধুরী শর্ণপদকও পেয়েছিলেন। প্রফেসর বড়ুয়াকে ২০২২ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক (স্বাধীনতা পুরস্কার) প্রদান করা হয়েছিল।[১১]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.