উড়িষ্যা প্রদেশ
ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উড়িষ্যা প্রদেশ ছিল ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ। ১৯৩৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশকে ভাগ করে এই প্রদেশটি গঠন করা হয়। এই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলটি বর্তমান ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উড়িষ্যা প্রদেশ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের প্রদেশ | |||||||||
১৯৩৬–১৯৪৭ | |||||||||
পতাকা | |||||||||
১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে (প্রদেশ গঠনের পূর্বে) বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে উড়িষ্যা (দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে)। | |||||||||
আয়তন | |||||||||
• ১৯০১ | ৩৫,৬৬৪ বর্গকিলোমিটার (১৩,৭৭০ বর্গমাইল) | ||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||
• ১৯০১ | ৫০,০৩,১২১ | ||||||||
ইতিহাস | |||||||||
• বিহার এবং উড়িষ্যা প্রদেশের বিভাজন | ১৯৩৬ | ||||||||
১৯৪৭ | |||||||||
| |||||||||
বর্তমানে যার অংশ | ওড়িশা রাজ্য |
এর পূর্বে ১৯১২ সালের ১ এপ্রিলে বঙ্গ প্রদেশের পশ্চিমাংশ পৃথক করে থেকে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ গঠন করা হয়। ঠিক ২৪ বছর পর ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিলে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ বিভক্ত করে পৃথক বিহার প্রদেশ এবং উড়িষ্যা প্রদেশ গঠন করা হয়। গঞ্জাম জেলা এবং মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ভাইজাপটম জেলার অংশগুলি ভিজাগাপতম পার্বত্য অঞ্চল এজেন্সি এবং গঞ্জাম পার্বত্য অঞ্চল সংস্থার অংশ সহ ওড়িশা প্রদেশে স্থানান্তরিত হয়েছিল। [1]
১৮০৩ সালের ১৪ অক্টোবরে ব্রিটিশ রাজ উড়িষ্যা দখল করে। ব্রিটিশ ভারতে এটি ছিল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির একটি বিভাগ। এর রাজধানী ছিল কটকে। ৩৫,৬৬৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই প্রদেশটিতে ১৯০১ সালে মোট বাসিন্দা ছিল ৫০,০৩,১২১ জন। উড়িষ্যার করদ রাজ্যগুলোও এই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯১২ সালের ১ এপ্রিল বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশকে বাংলা থেকে পৃথক করা হয়। এরপর উড়িষ্যার করদ রাজ্যগুলো বিহার ও উড়িষ্যার গভর্নরের অধীনে ছিল। ১৯৩৬ সালে তৎকালীন বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের পাঁচটি জেলা পৃথক করে নতুন উড়িষ্যা প্রদেশ গঠন করা হয়। [2]
ভারত শাসন আইন প্রদেশটিতে একটি প্রাদেশিক আইনসভা ও দায়িত্বশীল সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও তারা সরকার গঠন করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরালক্ষেমুন্দির মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র গজপতিের অধীনে অস্থায়ী সংখ্যালঘু সরকার গঠন করা হয়। [3]
মন্ত্রী | দপ্তর |
---|---|
কৃষ্ণচন্দ্র গজপতি | প্রধানমন্ত্রী, স্বরাজ্য, অর্থ, আইন ও বাণিজ্য |
মান্ধাতা গোরাচাঁদ পট্টনায়ক | রাজস্ব, শিক্ষা ও বাণিজ্য |
মৌলভী লতিফুর রহমান | গণপূর্ত, স্থানীয় স্ব-সরকার এবং বন |
কিন্তু কংগ্রেস সিদ্ধান্তটি বদলে ১৯৩৭ সালের জুলাইয়ে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাই প্রদেশের গভর্নর বিশ্বনাথ দাসকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।
মন্ত্রী | দপ্তর |
---|---|
বিশ্বনাথ দাস | প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, অর্থ ও শিক্ষা |
নিত্যানন্দ কানুনগো | রাজস্ব এবং গণপূর্ত বিভাগসমূহ |
বোধরাম দুবে | স্থানীয় স্ব-সরকার, স্বাস্থ্য, আইন ও বাণিজ্য |
ভারতীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ না করেই জার্মানির বিরুদ্ধে গভর্নর-জেনারেলের যুদ্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে ১৯৩৯ সালে অন্যান্য প্রদেশের কংগ্রেস মন্ত্রীদের পাশাপাশি বিশ্বনাথ দাস পদত্যাগ করেন। ফলে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত উড়িষ্যা প্রদেশ রাজ্যপালের শাসনাধীন থাকে। এরপর ১৯৪১ সালে কৃষ্ণচন্দ্র গজপতিকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।[4] এই সরকার ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
মন্ত্রী | দপ্তর |
---|---|
কৃষ্ণচন্দ্র গজপতি | প্রধানমন্ত্রী |
গোদাবরিশ মিশ্র | অর্থ ও শিক্ষা |
মৌলভী আবদুস সোবহান খান |
এরপর ১৯৪৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কংগ্রেস পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এই দফায় হরেকৃষ্ণ মাহাতাবের অধীনে সরকার গঠন করা হয়। [4]
মন্ত্রী | দপ্তর |
---|---|
হরেকৃষ্ণ মাহতাব | প্রধানমন্ত্রী |
এন কে চৌধুরী | |
নিত্যানন্দ কানুনগো | |
লিঙ্গরাজ মিশ্র | |
আর কে বিশ্বাস রায় |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.