Remove ads

উড়িষ্যা প্রদেশ ছিল ব্রিটিশ ভারতের একটি প্রদেশ। ১৯৩৬ সালের এপ্রিল মাসে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশকে ভাগ করে এই প্রদেশটি গঠন করা হয়। এই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলটি বর্তমান ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

দ্রুত তথ্য উড়িষ্যা প্রদেশ, আয়তন ...
উড়িষ্যা প্রদেশ
ব্রিটিশ ভারতেরের প্রদেশ
১৯৩৬–১৯৪৭
Thumb
পতাকা
Thumb
১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে (প্রদেশ গঠনের পূর্বে) বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিতে উড়িষ্যা (দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে)।
আয়তন 
 ১৯০১
৩৫,৬৬৪ বর্গকিলোমিটার (১৩,৭৭০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা 
 ১৯০১
৫০,০৩,১২১
ইতিহাস 
১৯৩৬
১৯৪৭
পূর্বসূরী
উত্তরসূরী
বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ
ওড়িশা
বর্তমানে যার অংশওড়িশা রাজ্য
বন্ধ

এর পূর্বে ১৯১২ সালের ১ এপ্রিলে বঙ্গ প্রদেশের পশ্চিমাংশ পৃথক করে থেকে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ গঠন করা হয়। ঠিক ২৪ বছর পর ১৯৩৬ সালের ১ এপ্রিলে বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশ বিভক্ত করে পৃথক বিহার প্রদেশ এবং উড়িষ্যা প্রদেশ গঠন করা হয়। গঞ্জাম জেলা এবং মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ভাইজাপটম জেলার অংশগুলি ভিজাগাপতম পার্বত্য অঞ্চল এজেন্সি এবং গঞ্জাম পার্বত্য অঞ্চল সংস্থার অংশ সহ ওড়িশা প্রদেশে স্থানান্তরিত হয়েছিল। [১]

Remove ads

ইতিহাস

১৮০৩ সালের ১৪ অক্টোবরে ব্রিটিশ রাজ উড়িষ্যা দখল করে। ব্রিটিশ ভারতে এটি ছিল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির একটি বিভাগ। এর রাজধানী ছিল কটকে। ৩৫,৬৬৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই প্রদেশটিতে ১৯০১ সালে মোট বাসিন্দা ছিল ৫০,০৩,১২১ জন। উড়িষ্যার করদ রাজ্যগুলোও এই প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯১২ সালের ১ এপ্রিল বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশকে বাংলা থেকে পৃথক করা হয়। এরপর উড়িষ্যার করদ রাজ্যগুলো বিহার ও উড়িষ্যার গভর্নরের অধীনে ছিল। ১৯৩৬ সালে তৎকালীন বিহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের পাঁচটি জেলা পৃথক করে নতুন উড়িষ্যা প্রদেশ গঠন করা হয়। [২]

ভারত শাসন আইন প্রদেশটিতে একটি প্রাদেশিক আইনসভা ও দায়িত্বশীল সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল। ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও তারা সরকার গঠন করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরালক্ষেমুন্দির মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র গজপতিের অধীনে অস্থায়ী সংখ্যালঘু সরকার গঠন করা হয়। [৩]

আরও তথ্য মন্ত্রী, দপ্তর ...
মন্ত্রী দপ্তর
কৃষ্ণচন্দ্র গজপতি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাজ্য, অর্থ, আইন ও বাণিজ্য
মান্ধাতা গোরাচাঁদ পট্টনায়ক রাজস্ব, শিক্ষা ও বাণিজ্য
মৌলভী লতিফুর রহমান গণপূর্ত, স্থানীয় স্ব-সরকার এবং বন
বন্ধ

কিন্তু কংগ্রেস সিদ্ধান্তটি বদলে ১৯৩৭ সালের জুলাইয়ে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাই প্রদেশের গভর্নর বিশ্বনাথ দাসকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।

আরও তথ্য মন্ত্রী, দপ্তর ...
মন্ত্রী দপ্তর
বিশ্বনাথ দাস প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, অর্থ ও শিক্ষা
নিত্যানন্দ কানুনগো রাজস্ব এবং গণপূর্ত বিভাগসমূহ
বোধরাম দুবে স্থানীয় স্ব-সরকার, স্বাস্থ্য, আইন ও বাণিজ্য
বন্ধ

ভারতীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ না করেই জার্মানির বিরুদ্ধে গভর্নর-জেনারেলের যুদ্ধের ঘোষণার প্রতিবাদে ১৯৩৯ সালে অন্যান্য প্রদেশের কংগ্রেস মন্ত্রীদের পাশাপাশি বিশ্বনাথ দাস পদত্যাগ করেন। ফলে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত উড়িষ্যা প্রদেশ রাজ্যপালের শাসনাধীন থাকে। এরপর ১৯৪১ সালে কৃষ্ণচন্দ্র গজপতিকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।[৪] এই সরকার ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

আরও তথ্য মন্ত্রী, দপ্তর ...
মন্ত্রী দপ্তর
কৃষ্ণচন্দ্র গজপতি প্রধানমন্ত্রী
গোদাবরিশ মিশ্র অর্থ ও শিক্ষা
মৌলভী আবদুস সোবহান খান
বন্ধ

এরপর ১৯৪৬ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কংগ্রেস পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এই দফায় হরেকৃষ্ণ মাহাতাবের অধীনে সরকার গঠন করা হয়। [৪]

আরও তথ্য মন্ত্রী, দপ্তর ...
মন্ত্রী দপ্তর
হরেকৃষ্ণ মাহতাব প্রধানমন্ত্রী
এন কে চৌধুরী
নিত্যানন্দ কানুনগো
লিঙ্গরাজ মিশ্র
আর কে বিশ্বাস রায়
বন্ধ

গভর্নর

  • ১ এপ্রিল ১৯৩৬ — ১১ আগস্ট ১৯৩৮ স্যার জন অস্টিন হুব্যাক (প্রথমবার) (জ. ১৮৭৮ — মৃ. ১৯৬৮)
  • ১১ আগস্ট ১৯৩৮ — ৮ ডিসেম্বর ১৯৩৮ জিটি বোগ (ভারপ্রাপ্ত) (জ. ১৮৮৪ — মৃ. ১৯৬৯)
  • ৮ ডিসেম্বর ১৯৩৮ — ১ এপ্রিল ১৯৪১ স্যার জন অস্টিন হুব্যাক (দ্বিতীয়বার) (সা )
  • ১ এপ্রিল ১৯৪১ — ১ এপ্রিল ১৯৪৬ স্যার উইলিয়াম হাথর্ন লুইস (জ. ১৮৮৮ — মৃ. ১৯৭0)
  • ১ এপ্রিল ১৯৪৬ — ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ স্যার চান্দুলাল মাধবালাল ত্রিবেদী (জ. ১৮৯৩ — d। ১৯৮১)

উড়িষ্যার প্রধানমন্ত্রী

  • ১ এপ্রিল ১৯৩৭ — ১৯ জুলাই ১৯৩৭ মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র গজপতি নারায়ণ দেব (জ. ১৮৯২ — মৃ. ১৯৭৪) নির্দলীয় (প্রথমবার)
  • ১৯ জুলাই ১৯৩৭ — ৪ নভেম্বর ১৯৩৯ বিশ্বনাথ দাস (জ. ১৮৮৯ — মৃ. ১৯৮৪) আইএনসি
  • ৪ নভেম্বর ১৯৩৯ — ২৪ নভেম্বর ১৯৪১ গভর্নরের শাসন
  • ২৪ নভেম্বর ১৯৪১ — ২৯ জুন ১৯৪৪ মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র গজপতি নারায়ণ দেব (সা ) নির্দলীয় (দ্বিতীয়বার)
  • ২৯ জুন ১৯৪৪ — ২৩ এপ্রিল ১৯৪৬ গভর্নরের শাসন
  • ২৩ এপ্রিল ১৯৪৬ — ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ হরেকৃষ্ণ মাহাতাব (জ. ১৮৯৯ — মৃ. ১৯৮৭) INC
Remove ads

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

Remove ads

Wikiwand in your browser!

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.

Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.

Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.

Remove ads