Loading AI tools
বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (জন্ম ১৪ আগস্ট ১৯৫৯) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র।[1]
এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন | |
---|---|
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৯ম মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ৩০ আগস্ট ২০১৮ – ১৯ আগস্ট ২০২৪ | |
পূর্বসূরী | মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল |
উত্তরসূরী | শূন্য |
কাজের মেয়াদ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ – ৯ মে ২০১৩ | |
পূর্বসূরী | রেজাউন নবী দুদু (ভারপ্রাপ্ত) |
উত্তরসূরী | মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | রাজশাহী, পূর্ব পাকিস্তান | ১৪ আগস্ট ১৯৫৯
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
সম্পর্ক | আবদুল হামিদ মিয়া (পিতামহ) লালমোহাম্মদ সরদার (প্রপিতা-মহ) |
মাতা | জাহানারা বেগম |
পিতা | এএইচএম কামারুজ্জামান |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল |
পেশা | রাজনীতি, আইনজীবী |
খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৫৯ সালের ১৪ আগস্ট রাজশাহী জেলার কাদিরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।খায়রুজ্জামান লিটনের পিতার নাম আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং মাতা জাহানারা বেগম। আবুল হাসনাত বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন।[2][3][4] ছয় ভাই-বোনের মধ্যে লিটন চতুর্থ এবং ভাইদের জ্যেষ্ঠ। তার দাদা আবদুল হামিদ রাজশাহী অঞ্চলে মুসলিম লীগের সভাপতি ও পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য (এমএলএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আব্দুল হামিদের পিতার নাম হাজী লাল মোহাম্মাদ দুই মেয়াদে পূর্ববঙ্গ লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (এমএলসি) সদস্য ছিলেন। খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভের পর ১৯৭৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি বার কাউন্সিলের সদস্য হন।
খায়রুজ্জামান লিটন ১৯৮৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে সপ্তম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-২ (পবা-বোয়ালিয়া) আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
২০০৮ সালে তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালের ৯ মে পর্যন্ত মেয়র ছিলেন। ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট পুনরায় মেয়র নির্বাচন করে জয় লাভ করেন। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক গৃহীত "জিরো সয়েল প্রকল্প" নামক পরিবেশ রক্ষা প্রকল্পের বাস্তবায়নের কারণে ২০২০ সালে মেয়র হিসেবে "২০২০ সালের পরিবেশবান্ধব শহর " পদক[5][6] এবং ২০২১ সালে "প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২১"[7] গ্রহণ করেন। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি প্রেসিডিয়াম এর সদস্য হিসেবে অন্তৰ্ভুক্ত হন।[8]
৮ আগস্ট ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হওয়ার পর, ১৯ আগস্ট দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করায় তিনি পদচ্যুত হন।[9]
খায়রুজ্জামান লিটন ২০০৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩টি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ দেন তার ঘনিষ্ঠদের। পরবর্তীতে এসব কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় একযুগ লেগে যায়।[10]
রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী শাহীন আকতার রেনীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান উত্তরায়ণ আমানা সিটির বিরুদ্ধে অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে আবাসন প্রকল্পের নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।[11] এ বিষয়ে বাংলাদেশ ভোক্তা সমিতি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে।[12] এছাড়াও আমানা গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে।[13][14]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.