ইস্কিলাস (EES-ki-ləs; গ্রিক ভাষায়: Αἰσχύλος; ইংরেজি ভাষায়: Aeschylus) (জন্ম: ৫২৫ খ্রিস্টপূর্ব — মৃত্যু: ৪৫৬ খ্রিস্টপূর্ব) একজন প্রাচীন গ্রিক নাট্যকার। তিনি প্রাচীনতম তিনজন গ্রিক ট্র্যাজেডি রচয়িতাদের মধ্যে একজন, যাদের লেখা সম্পূর্ণ হারিয়ে যায়নি। অন্য দুইজন হলেন সফোক্লেস এবং ইউরিপিদেস।[1][2]
জন্ম
ইস্কিলাস জন্মেছিলেন এথেন্সের কাছাকাছি একটা ছোট্ট জনপদে, খ্রিস্টপূর্ব ৫২৫ অব্দে। তার পিতা ইউফেরিয়ান ছিলেন এথেন্সের প্রাচীন অভিজাতবর্গের মধ্যে একজন।
জীবন
ইস্কিলুস প্রথমে ম্যারাথন ও পরবর্তীকালে সালামিসে পারস্যবাহিনীর সাথে গ্রীকদের যুদ্ধে গ্রীকদের হয়ে লড়াই করেন বলে মনে করা হয়। যুদ্ধে গ্রীকদের বিপর্যয় ও দুঃখবোধ তাকে ট্র্যাজেডি রচনাতে অণুপ্রাণিত করে। মানব জীবনের দুঃখ হতাশা তার মনের মধ্যে এক গভীর বেদনাবোধ জাগিয়ে তোলে,যা তিনি তার নাট্যঙ্গাগিকের মাধ্যমে উন্মোচিত করেছেন আর পেয়েছেন ট্র্যাজেডির প্রথম স্রষ্টার আসন।
নাট্যচর্চা
ইস্কিলুস দীর্ঘ ৪০ বছর নাট্য চর্চায় নিমগ্ন ছিলেন। মৃত্যুর ৩ বছর আগে তার সুবিখ্যাত ত্রয়ী নাটক ওরেস্টিয়া (খ্রি.পূ. ৪৫৮) রচনার আগ পর্যন্ত নাটক রচনাতে তিনি ছিলেন ক্ষান্তিহীন। অভিধান লেখক সুইদাদের মতে ইস্কিলুস তার জীবনকালে ৯০ টির মত নাটক রচনা করে গিয়েছেন,যার মধ্যে সাতটি নাটক অখণ্ডিত অবস্থায় আমাদের প্রজন্মের হাতে পৌছে। নাট্যজগতে তার প্রবেশের আগেই মূলত প্রোটিনাসের হাতে সূচিত হয়েছিল স্যাটায়ার নাটকের সমৃদ্ধ ধারা। তখনকার নাটক ছিল কোরাস সমৃদ্ধ। কোরাসের কাজ হল নাটিকের সূচনা ও কাহিনী দীর্ঘ ভাষনের মাধ্যমে আবৃত্তি করা। ইস্কিলুস প্রথম নাটকে অভিনেতা যুক্ত করেন এবং নাটককে একটা প্রাণবন্ত রূপ উপহার দেন। এছাড়া নাটকে কুশীলবদের সংখ্যা বাড়ানো ও পোশাকে বৈচিত্র আনা তার অনবদ্য অবদান।
তার রচিত নাটক গুলার মধ্যে রয়েছে "দ্য ওরেস্টিয়া”,"প্রমিথিউস বাউন্ড”,"আনবাউন্ড প্রমিথিউস””দ্য পার্সিয়ান”, “সেভেন এগেনেস্ট থিবস”,”দ্য সাপ্লিয়ান্ট” প্রভূতি।
মৃত্যু
খ্রিস্টপূর্ব ৪৫৬ অব্দে ৬৯ বছর বয়সে তিনি পরলোক গমন করেন। তবে তার নিজের লেখা সমাধি ফলকে তিনি নিজেকে একজন যোদ্ধা বলেই পরিচয় দিয়েছেন আর আড়াল করে গেছেন নিজের সাহিত্য প্রতিভাকে। তার সমাধি ফলকে লেখা হয়-
- "এই পাথরের নিচে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছে ইউফেরিয়ান এর পুত্র এথেন্সবাসী এসকিলাস,গম সমৃদ্ধ গেলায় যে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছিল। তার শক্তিমত্তার কাহীনি বলতে পারবে ম্যারাথনের যুদ্ধক্ষেত্র অথবা সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দীর্ঘকেশ পারস্যবাসীরা যারা জেনেছিল তার বীর্যবত্তার পরিচয়”।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.