শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
উপনিবেশক মানসিকতা
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
Remove ads
উপনিবেশক মানসিকতা বলতে উপনিবেশস্থাপনকারীর প্রভুত্বকামী মানসিকতা বোঝায়, যার ফলে উপনিবেশক উপনিবেশিতকে নিজের চেয়ে অনুন্নত ভাবে এবং উপনিবেশিতকে শাসনের অধিকার রাখে বলে মনে করে।[১][২] একে অনেকে ঔপনিবেশিক মানসিকতাও বলে থাকে।[১] বিউপনিবেশায়ন সম্পূর্ণ না হওয়ায় এখনও ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া রাষ্ট্রকাঠামোর উপর চলছে বাংলাদেশ নামক উত্তরউপনিবেশী রাষ্ট্র।[৩][৪] উপনিবেশক মানসিকতা থেকেই পাকিস্তানি শাসকরা ব্রিটিশদের মতো এদেশের মানুষদের উপনিবেশকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখত।[৪]
উপনিবেশক মানসিকতার কারণে বাংলাদেশে প্রশাসনিক কর্মকতারা জনসাধারণের কাছ থেকে 'স্যার' সম্বোধন দাবি করে, লিখেছেন আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।[১] ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রকাঠামো প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের "পাবলিক সার্ভেন্টের পরিবর্তে ‘লর্ড অব পাবলিক’" বানিয়ে ফেলে।[১] হাসানুল হক ইনুও বাংলাদেশের আমলাদের মানসিকতাকে উপনিবেশক মানসিকতা বলেছেন।[৫] জনগণের ভোটে নির্বাচিত অনেক জনপ্রতিনিধিকেও নিয়োগকর্তা জনগণ 'স্যার' না বললে বিরক্ত হতে দেখা যায়।[১] ২০১০ সালে বিসিএস ক্যাডারদের উদ্দেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে।[৬] ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে হাসিনা ঔপনিবেশিক মানসিকতা ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে লাল দালান আর নয় বলে এগুলো ভেঙে ফেলে নতুন ভবন নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।[৪] ২০১৮ সালের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপনিবেশক মানসিকতা বর্জন করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন।[৭][৮][৯] উপনিবেশক মানসিকতার বিপরীত মানসিকতা হল উপনিবেশী মানসিকতা। উপনিবেশী মানসিকতার ফলে উপনিবেশিত ব্যক্তি উপনিবেশকের উপনিবেশায়ন মেনে নেয় এবং প্রতিবাদ করে না।
Remove ads
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads