Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার ও ফুটবলার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
উইলি ওয়াটসন[1][2] (ইংরেজি: Willie Watson; জন্ম: ৭ মার্চ, ১৯২০ - মৃত্যু: ২৪ এপ্রিল, ২০০৪) ইয়র্কশায়ারের বোল্টন অন ডিয়ার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও ফুটবলার ছিলেন।[4] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৯ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বোল্টন আপোন ডিয়ার্ন, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড | ৭ মার্চ ১৯২০||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৪ এপ্রিল ২০০৪ ৮৪) জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বিল, বিলি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৫৭) | ৭ জুন ১৯৫১ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ মার্চ ১৯৫৯ বনাম নিউজিল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৫ মে ২০১৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়র্কশায়ার ও লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ‘বিল’ কিংবা ‘বিলি’ ডাকনামে পরিচিত উইলি ওয়াটসন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দ্বৈত খেলায় অংশ নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের সদস্যরূপে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলেছেন।[5]
বোল্টন অন ডিয়ার্ন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী উইলি ওয়াটসন[5] বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। ১৯৩৯ সালে ইয়র্কশায়ারের পক্ষে অভিষেক ঘটে তার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আরও এক ডজন বছর দলে নিয়মিতভাবে খেলেছেন। ৩৯.৮৬ গড়ে ২৫,৬৭০ রান তুলেছেন। তন্মধ্যে, ৫৫টি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ করেন ২৫৭।
কিশোর বয়সের শেষ পাঁচ বছর ও ১৯২০-এর দশকের সূচনালগ্নে সেনাবাহিনীতে যুক্ত হন। ১৯৩০-এর দশকের শেষার্ধ্বে হাটন, কম্পটন ও এডরিচের ন্যায় বিখ্যাত ব্যাটসম্যানেরা নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। ১৯৩৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল উইলি ওয়াটসনের। ২৫ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনে ২৫,০০০-এর অধিক প্রথম-শ্রেণীর রান তুলেছেন। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়ায় একসাথে ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেললেও এসেক্সের সদস্যরূপে ট্রেভর বেইলি তার বিপক্ষে বোলিং করেছিলেন। রাতে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের পরও ক্রিকেট উৎসবকে ঘিরে স্কারবোরা ফুটবল মাঠে সকালের নাস্তা গ্রহণের পূর্বে উভয়েই অনুশীলনী কর্ম চালিয়ে গেছেন।
১৯৩৯ সালে ইয়র্কশায়ারের সদস্যরূপে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন। যুদ্ধ শেষ হবার পর ও সেনাবাহিনী থেকে অবমুক্তি পেলে নির্ভরযোগ্য, আকর্ষণীয় মাঝারীসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে জর্জটাউনে এমসিসি’র সদস্যরূপে ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে টম গ্রেভেনি’র (২৩১) সাথে ৪০২ রানের জুটি গড়েন। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল।
আধুনিককালের ফিল্ডিংয়ের সাথে তুলনান্তে ঐ সময়ের ফিল্ডিং বেশ দূর্বলমানের ছিল। তাসত্ত্বেও, তিনি অসাধারণ গতিমানব ফিল্ডাররূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। কাউন্টি দলের স্থায়ী সদস্যের মর্যাদা লাভ করলেও কখনো ইংল্যান্ড দলের নিয়মিত সদস্য হতে পারেননি। ২৩ টেস্টে তিনি মাত্র ২৫.৮৫ গড়ে রান তুলেছিলেন।
১৯৫৮ সালে ইয়র্কশায়ার ত্যাগ করে লিচেস্টারশায়ারে সহকারী সচিব হিসেবে যোগ দেন ও দলের নেতৃত্বে থাকেন।[5] এখানেও তিনি অতিমাত্রায় রান তোলার দিকে ধাবিত হয়েছিলেন। সাময়িকভাবে ইংল্যান্ড দলে নিজেকে ফিরিয়ে আনেন। লিচেস্টারশায়ারকেও সীমিত পর্যায়ে সফলতার মুখ দেখান।[5] ১৯৫৯ সালে গ্রেস রোডে সাবেক দল ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে দলীয় ১৩২ রানের মধ্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ঐ মৌসুমে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নিলেও নিজস্ব সেরা খেলা ঠিকই অব্যাহত রেখেছিলেন। প্রথমবারের মতো দুই সহস্রাধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। ৫৫.৩০ গড়ে ২২১২ রান তুলেছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যক্তিগত সেরা করেছিলেন অপরাজিত ২১৭ রান। ১৯৬১ সালে টানটনে লিচেস্টারশায়ারের সদস্যরূপে সমারসেটের বিপক্ষে এ রান তুলেছিলেন। অ্যালেন হোয়ারটনের সাথে তৃতীয় উইকেট জুটিতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ৩১৬ রান তুলেন। ২০০৩ সাল পর্যন্ত এ সংগ্রহটি কাউন্টি রেকর্ডরূপে বিবেচিত ছিল।
১৯৬৪ সালে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছিলেন তিনি।[6] ১৯৬৪ সালে অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত ছিল।
১৯৫১ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। বেশ ভালো খেলেছিলেন তিনি। অভিষেক টেস্টে ৫৭ ও পরের টেস্টে ৭৯ রান করেছিলেন। তবে, ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্বর্ণযুগে হাটন, কম্পটন, এডরিচ, মে, গ্রেভনি ও কাউড্রে’র ন্যায় তারকা খেলোয়াড়দের কারণে দলে স্থান পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
শুরুরদিকে ক্রিকেটারের চেয়ে ফুটবলার হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে, ১৯৫৩ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের মাধ্যমে এ ধারনার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল। ঐ সময়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মান যথেষ্ট উন্নততর ছিল। ফলশ্রুতিতে দলে নিয়মিত সদস্য হিসেবে খুব কমই অংশ নিতে পেরেছিলেন। আট বছরে মাত্র তেইশ টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ হয় তার। খেলার শেষদিনে দলের সংগ্রহ ৭৩/৪ থাকা অবস্থায় ট্রেভর বেইলি তার সাথে জুটি গড়েন। প্রায় চারঘণ্টা একত্রে কাটান। অন্যদিকে উইলি ওয়াটসন ৩৪৬ মিনিট ক্রিজে ছিলেন। তিনি সেঞ্চুরি করেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১০৯ রান তুলেন। এক সময় খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয় ও তিনি জাতীয় বীরে পরিণত হন। এ জুটির কল্যাণেই মধ্যাহ্নভোজনের পরও খেলাটি নিশ্চিত পরাজয়ের কবল থেকে উদ্ধার হয় ও ড্রয়ের দিকে নিয়ে যায়। সৌভাগ্যবশতঃ অ্যাশেজ পুণরুদ্ধার করলেও চূড়ান্ত টেস্টে তাকে ইংরেজ দলে রাখা হয়নি।[5] ১৯ বছর পর অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করেছিল স্বাগতিকরা।
ধ্রুপদী শৈলীর অধিকারী বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে তার যথেষ্ট সুনাম ছিল। তবে, টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে আসা-যাওয়ার পালায় সর্বদাই ব্যস্ত ছিলেন। এমনকি লর্ডসের চূড়ান্ত খেলায় অ্যাশেজ সিরিজ জয়ে সবিশেষ ভূমিকা রাখলেও তাকে বাদ দেয়া হয়েছিল।[5] তাসত্ত্বেও, ১৯৫৪ সালে উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন উইলি ওয়াটসন। জ্যামাইকায় নিজস্ব দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান। মার্চ, ১৯৫৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন।[4]
১৯৫৬ সালে স্বীয় আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ডাবল ইন্টারন্যাশনাল’ প্রকাশ করেন। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও দক্ষ ছিলেন উইলি ওয়াটসন। ১৯৬২ সাল থেকে তিন বছর মেয়াদে ইংল্যান্ড টেস্ট দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসিত হন। ঐ বছরই জোহেন্সবার্গভিত্তিক ওয়ান্ডারার্সের কোচ ও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[4] ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন তিনি। বারবারা ওয়াটসন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ২৪ এপ্রিল, ২০০৪ তারিখে ৮৪ বছর বয়সে জোহেন্সবার্গে উইলি ওয়াটসনের দেহাবসান ঘটে।[5]
হাডার্সফিল্ড টাউন, সান্ডারল্যান্ড ও হলিফ্যাক্স টাউনের পক্ষে উইং-হাফ অবস্থানে খেলতেন।[5] সাত মৌসুমে সান্ডারল্যান্ড দলের পক্ষে খেলেন। এ সময়ে ২১১টি লিগের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। চারবার ইংল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[5] নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রথম ক্যাপ পরিধান করেন। উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় ইংল্যান্ড দল ৯-২ গোলে জয়লাভ করেছিল। ১৯৫০ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ইংরেজ দলের সদস্যরূপে অংশ নেন। তবে কোন খেলায় তাকে মাঠে নামানো হয়নি।[4] খুব সম্ভবতঃ দলীয় ম্যানেজার আক্রমণধর্মী উইং-হাফের চেয়ে রক্ষণাত্মক ধাঁচে খেলায় নির্দেশনা প্রদানের কারণেই তাকে মাঠে নামাননি।
১৯৫৪ থেকে ১৯৫৬ সময়কালে দুইবার হলিফ্যাক্স দলকে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সময়কালে ব্রাডফোর্ডে সিটি দলকে পরিচালনা করেন। এ পর্যায়ে দলকে শিরোপা জয়ী দলে রূপান্তর করলেও ক্রিকেটেই তিনি সর্বাধিক সফলতা পেয়েছিলেন।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.