ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ২০১৩ সালে ঢাকা জেলায় প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি সংক্ষেপে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় নামেও পরিচিত।[1][2][3] এটি বাংলাদেশের অধিভুক্ত প্রথম আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করতে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।[4]
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ২০১৩ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. শামছুল আলম |
অবস্থান | বাড়ি নং-১২৪/৯০/০৩, ব্লক-বি, রোড নং -০২,অস্থায়ী ক্যাম্পাস ওয়েস্ট ধানমন্ডি হাউজিং, বসিলা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা -১২৩১ , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
সংক্ষিপ্ত নাম | আইএইউ |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | iau |
ইতিহাস
আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী-সহ দেশের অনেক ইসলামি পণ্ডিতদের দাবী অনুযায়ী ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পাস করা হয় এফিলিয়েটিং (স্বতন্ত্র) ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদরাসা শিক্ষাধারার ফাযিল/স্নাতক ও কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ডিগ্রী প্রদান করা হয়। মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, ফাযিল/স্নাতক, কামিল/স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষাক্রম/পাঠ্যপুস্তক অনুমোদন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন, মাদরাসা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষাঙ্গনগুলোর পরিবীক্ষণ ও পরীক্ষা পরিচালনা-সহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আইন প্রণয়ন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ৬ আগস্ট ২০১২ সালে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অনুমোদনকারী ক্ষমতাসম্পন্ন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়।[5][6][7]
শিক্ষাক্রম
কামিল স্তরে চারটি বিভাগ চালু আছে। কামিল হাদীস, কামিল তাফসির, কামিল আদব ও কামিল ফিকহ বিভাগ। ফাযিল (পাশ) স্তরে বিটিআইএস, বিটিএসএস চালু আছে। সরকার ২০১০ সালে দেশের নামকরা ৩১টি মাদ্রাসায় অনার্স (সম্মান) ও ১ বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়। শুরু থেকেই ৫টি বিষয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে:
- আল-হাদিস ও ইসলামি শিক্ষা
- আল-কুরআন ও ইসলামি শিক্ষা
- আদ-দাওয়া ও ইসলামি শিক্ষা
- আরবি ভাষা ও সাহিত্য
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
এই অনার্স ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় ফাযিল (পাস), ফাযিল(স্নাতক) এবং কামিল (স্নাতকোত্তর) শিক্ষা কার্যক্রম যেগুলো এযাবৎ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনে ছিল, এখন থেকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে। তবে সরকারি কারিকুলাম অনুযায়ী না-চলার কারণে দেশের কওমি মাদরাসাগুলো এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে না।[8]
উপাচার্যগণ
নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন:
ক্রম | নাম | দায়িত্ব গ্রহণ | দায়িত্ব হস্তান্তর |
---|---|---|---|
১ | ড. আ ন ম রইছ উদ্দিন[9] | ৩ এপ্রিল ২০১৪ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ |
২ | ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ[9] | ৫ জানুয়ারি ২০১৫ | ৪ জানুয়ারি ২০২৩ |
৩ | ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ[10] | ৫ এপ্রিল ২০২৩ | ১৫ আগস্ট ২০২৪ |
৪ | ড. মো. শামছুল আলম | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪[11] | বর্তমান |
অধিভুক্ত মাদ্রাসা
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ও প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত মাদরাসা সংক্রান্ত তথ্য :
+ কামিল (স্নাতকোত্তর) ২ বছর (মেয়াদি) মাদরাসা ৩২৩ টি
- কামিল (মাস্টার্স) ১ বছর (মেয়াদি) মাদরাসা ৫১ টি
- কামিল (স্নাতকোত্তর) ২ বছর (মেয়াদি) (প্রাইভেট) ৬৯ টি
- ফাজিল স্নাতক (সম্মান) মাদরাসা ৯২ টি
- ফাযিল স্নাতক (পাস) (প্রাইভেট) মাদরাসা ৭৩ টি
- ফাযিল স্নাতক (পাস) ১৩৭৮ টি
✡ সকল ফাজিল অনার্স এবং কামিল মাদরাসায় ফাজিল পাস কোর্স বিদ্যমান।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে এক লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৫ ছাত্রী, আর শিক্ষক রয়েছেন ২২ হাজার ৯২১ জন।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
Wikiwand in your browser!
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.