Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইয়েহুদ ছিলো যিহূদার বিদ্রোহ দমনের পর নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের নবগঠিত একটি প্রদেশ। এটি প্রথমে ছিলো গদলিয়ের অধীনে নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর প্রদেশটি হাখমানেশি সাম্রাজ্যে বিলীন হয়ে যায়।
যিহূদা ইয়েহুদ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের প্রদেশ | |||||||||
আনু. ৫৮৬ খ্রিস্টপূর্ব–আনু. ৫৩৯ খ্রিস্টপূর্ব | |||||||||
রাজধানী | মিসপাহ | ||||||||
আয়তন | |||||||||
• স্থানাঙ্ক | ৩১°৪৭′ উত্তর ৩৫°১৩′ পূর্ব | ||||||||
ঐতিহাসিক যুগ | নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্য | ||||||||
আনু. ৫৮৬ খ্রিস্টপূর্ব | |||||||||
আনু. ৫৩৯ খ্রিস্টপূর্ব | |||||||||
|
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর শেষের দিকে যিহূদা নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের একটি করদ রাজ্যে পরিণত হয়; তবে সেই সময় জেরুসালেমের দরবারে প্রতিদ্বন্দ্বী দল থাকলেও, কিছু দল ব্যাবিলনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে সমর্থন দিয়ে আসছিলো এবং বাকিরা বিদ্রোহের আহ্বান করতে চাইছিলো। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর প্রথমদিকে নবী যিরমিয় ও বাকিদের কড়া আপত্তি সত্ত্বেও রাজা যিহোয়াকিম নেবুচাদনেজারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং মিশরের ফারাও হফরার সাথে হাত মিলায়। বিদ্রোহ ব্যর্থ হয় এবং ৫৯৭ খ্রিস্টপূর্ব সালে অনেক যিহূদার বাসিন্দা যেমন নবী যিহিষ্কেল ইত্যাদিদের ব্যাবিলনে নির্বাসনে পাঠানো হয়। এর কয়েক বছর পর যিহূদা আবার বিদ্রোহ করে। ৫৮৯ খ্রিস্টপূর্ব সালে নেবুচাদনেজার আবার জেরুসালেম অবরোধ করে এবং অনেক ইহুদি মোয়াব, অম্মোন, ইদোম সহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যায়। আঠারো মাসব্যাপী অবরোধের পর শহরের পতন হয় এবং নেবুচাদনেজার আবার জেরুসালেম লুন্ঠন ও ধ্বংস করে এবং শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির পুড়িয়ে দেয়। এইভাবে ৫৮৬ খ্রিস্টপূর্বের মধ্যে যিহূদার অধিকাংশ অঞ্চলের অবস্থা শোচনীয় হয় এবং এর রাজকীয় পরিবার, পুরোহিত এবং অভিজাত ব্যক্তিদের ব্যাবিলনে নির্বাসন দেওয়া হয় যখন দেশটির অধিকাংশ জনসাধারণ প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছিলো। প্রাক্তন রাজ্যটির অর্থনীতি ও জনসংখ্যা শোচনীয় পর্যায়ে নেমে আসে।[1]
প্রাক্তন যিহূদা রাজ্য পরে ব্যাবিলনীয় প্রদেশে পরিনত হয় যেখানে স্থানীয় যিহূদীয়, দায়ূদের রাজবংশের বহির্ভূত, গদলিয় ছিলো এর প্রদেশপতি (অথবা সম্ভবত পুতুল রাজা)। মিলার এবং হেইস এর মতে এই প্রদেশে ছিলো উত্তরের বেথেল, মিসপাহ, পূর্বের জেরিকো, জেরুসালেম, পশ্চিমের বেথ-জুর এবং দক্ষিণের এন-গেদি।[2] এই প্রদেশের প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিলো মিসপাহ, জেরুসালেম নয়।[3] প্রদেশপতি নিয়োগের খবর জানার পর, প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া ইহুদিরা যিহূদায় ফিরে আসে।[4]
যদিও, গদলিয়কে প্রাক্তন রাজকীয় পরিবারের এক সদস্য হত্যা করে, এবং তার ব্যাবিলনীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা হয়, যার ফলে প্রদেশের ইহুদিরা মিশরে গিয়ে আশ্রয় নেয়।[2][5] মিশরে, ইহুদি উদ্বাস্তুরা মিগদল, তাহপানহেস, নফ এবং পাথরোসে বসতি স্থাপন করে,[6] এবং যিরমিয় তাদের সাথে সেখানে নৈতিক অভিভাবক হিসেবে চলে যান।
যদিও বাইবেলে এই ঘটনার তারিখ উল্লেখ নেই, তবে সম্ভবত এই ঘটনাটি ঘটেছিলো ৫৮২/১ খ্রিস্টপূর্ব সালে,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন][7] ৫৮৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জেরুসালেম ও প্রথম মন্দির ধ্বংসের চার বা পাঁচ বছর তিন মাস পরে।
ব্যাবিলনে গন্তব্যকারী বা মিশরে পৌঁছানো ইহুদি এবং ইহুদি প্রদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে থেকে যাওয়া ইহুদিদের সংখ্যার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মাঝে বিতর্ক রয়েছে। যিরমিয়ের পুস্তক অনুসারে ৪,৬০০ জনকে ব্যাবিলন নির্বাসনে পাঠানো হয়। এই সংখ্যার সাথে নিশ্চয়ই ৫৯৭ খ্রিস্টপূর্বে নেবুচাদনেজারের প্রথম জেরুসালেম অবরোধে পাঠানো ব্যক্তিদের সংখ্যা যুক্ত করতে হবে যখন যিহূদার রাজা যিহূদীয়া, তার দরবার ও রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক, কারিগর সহ অন্যান্য আনুমানিক ১০,০০০ ইহুদিদের ব্যাবিলনে বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো। রাজাবলিও বলে যে সংখ্যাটি ছিলো আট হাজার।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ ইসরায়েল ফিঙ্কেলস্টাইন বলেন যে ৪,৬০০ জন পরিবারের কর্তাদের নির্দেশ করে এবং এবং ৮,০০০ সম্পূর্ণ সংখ্যা ছিলো, অন্যদিকে ১০,০০০ হচ্ছে দ্বিতীয় সংখ্যাটির চেয়ে বেশি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যিরমিয় পর্যন্ত আমাদের ধারণা প্রদান করেন যে এর সমতুল্য সংখ্যা মিশরে পালিয়ে থাকতে পারে। এসব হিসাব অনুসারে ফিঙ্কেলস্টাইন ধারণা করেন যে জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ যিহূদায় থেকে গিয়েছিলো।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.