Remove ads
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইয়ান ডেভিড কেনেথ সলসবারি (ইংরেজি: Ian Salisbury; জন্ম: ২১ জানুয়ারি, ১৯৭০) নর্দাম্পটনে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০০০ সময়কালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে সপ্রতিভ পদচারণ ছিল তার। ১৯৮৯ থেকে ২০০৮ সময়কালে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স, সারে ও ওয়ারউইকশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১] দলে তিনি মূলতঃ লেগ স্পিনার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাট হাতে প্রভূতঃ সফলতা পেয়েছেন ইয়ান সলসবারি।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইয়ান ডেভিড কেনেথ সলসবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | নর্দাম্পটন, ইংল্যান্ড | ২১ জানুয়ারি ১৯৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১০ আগস্ট ২০১৮ |
ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনে ইয়ান সলসবারির জন্ম। ১৯৮৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সাসেক্সের পক্ষে কাউন্টি ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। উভয় ইনিংসেই তিনি ইয়ান অস্টিনের উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। পরের বছর ৪২ উইকেট পেলেও ৪৯.৪০ গড়ে রান খরচ করতে হয়েছিল তাকে।
কিন্তু তার স্বতঃস্ফূর্ততা ইংল্যান্ড এ দলে যোগদানে বাঁধার কারণ হয়ে দাড়ায়নি। দলের সাথে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা গমন করেন তিনি। এর পরের শীতে ‘এ’ দলের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যান। সেখানে কিছুটা সফলতা পান। ২৭.৪২ গড়ে ১৪ উইকেট দখল করেন ইয়ান সলসবারি। ১৯৯২ সালে সলসবারি তার খেলার ছন্দে ফিরে আসেন। ২৯-এর কম রান খরচায় ৮৭টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান। তন্মধ্যে ছয়বার পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
ফলশ্রুতিতে পরবর্তী বছরে প্রকাশিত উইজডেনের সংস্করণে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন। এছাড়াও টেস্টে অভিষেক ঘটে তার।
কাউন্টি ক্রিকেটে ইয়ান সলসবারি একেবারেই ভিন্নতর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেছেন। অধিকাংশ মৌসুমেই পঞ্চাশোর্ধ্ব উইকেট পেয়েছিলেন। সাসেক্স ছেড়ে সারে দলে চলে আসার পর তিনি লক্ষ্য করলেন যে, তার বোলিং উইকেট লাভে বেশ ভূমিকা রাখছে। উপর্যুপরী তিন মৌসুমে তার বোলিং গড়ের উত্তরণ বেশ লক্ষ্যণীয়। ৩১.২০, ২২.৮৯, ২২.১৯ গড়ে উইকেট লাভের পর ২০০০ সালে মাত্র ৮.৯২ গড়ে ৫২ উইকেট দখল করেন। এ পর্যায়ে ওভালে সমারসেটের বিপক্ষে খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং ৮/৬০ করেন ও খেলায় ১১/১০১ পান।
১৯৯৯ সালে সলসবারি প্রথমবারের মতো তিনটি প্রথম-শ্রেণীর শতক হাঁকান। সমারসেটের বিপক্ষে ঠিক অপরাজিত ১০০ রান তুলেন। নবম উইকেটে মার্টিন বিকনেলের সাথে ১২২ রানের জুটি গড়েন। ২০০৩ সালে লিচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১০১ রানের নিজস্ব দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন। ২০০৭ সালে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে তৃতীয় সেঞ্চুরি করেন অপরাজিত ১০৩ রান। এ পর্যায়ে আজহার মাহমুদের সাথে ১৭৭ রান তুলেছিলেন।
২০০৩ সালের পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে কম অংশগ্রহণ করেন। ২০০৪ সালে ৫০-এর অধিক রান খরচায় ১৪ উইকেট পান। ২০০৫ সালে প্রথম একাদশের তুলনায় দ্বিতীয় একাদশেই তাকে বেশি দেখা যায়। ২০০৬ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয় বিভাগে নিম্নমানের খেলা উপহার দেন। নয়ন দোশীর সাথে স্পিন জুটি গড়ে সারেকে অবনমনের হাত থেকে রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০০৭ সালের পর সারে দল থেকে অবমুক্তি পান ইয়ান সলসবারি। এরফলে ক্লাবে দশ বছর অবস্থানের অবসান হয়। একই মাসে সাসেক্স থেকে চলে আসা সাকলাইন মুশতাকের সাথে সারে দল পুনরায় চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। নভেম্বর, ২০০৭ সালে ওয়ারউইকশায়ারের সাথে দুই বছরের চুক্তিতে খেলেন। ঐ গ্রীষ্মে মুশতাক আহমেদের সাথে কাউন্টি দলটি চুক্তির চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয়।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পনেরো টেস্ট ও চারটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন তিনি।
জুন, ১৯৯২ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে লর্ডস টেস্ট খেলার জন্য ইংল্যান্ড দলের পক্ষে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করেন ইয়ান সলসবারি। তবে ঐ টেস্টে আশানুরূপ খেলা উপহার দিতে পারেননি। তৃতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ অর্ধ-শতকের সন্ধান পান। এরপর থেকে বাদ-বাকি গ্রীষ্মে দলের বাইরে অবস্থান করেন তিনি। প্রায়শই দলে আসা-যাওয়ার পালায় অবস্থান করতেন।
পনেরো টেস্ট খেললেও একাধারে তিন টেস্টের বেশি তাকে কখনো দলে রাখা হয়নি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্তরে অবস্থান করে তেমন সুবিধে করতে পারেননি। ৭৬.৯৫ গড়ে টেস্ট বোলিং করেছেন। ফলশ্রুতিতে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা বাজে বোলিং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে মূল্যায়িত হয়েছেন ইয়ান সলসবারি।[২] ২০০০-০১ মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন। করাচী টেস্টে একমাত্র উইকেট পেলে সমগ্র সিরিজে ১/১৯৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন।
মার্চ, ২০০৯ সালে ৩৯ বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন ইয়ান সলসবারি। ওয়ারউইকশায়ারের সাথে শুরুতে দুই বছরের নবায়ণ চুক্তিতে খেলার প্রস্তাবনা পেলেও সাবেক কাউন্টি সারের পক্ষ থেকে কোচের প্রস্তাবনা পান। তিনি দ্বিতীয় একাদশের কোচ দক্ষিণ আফ্রিকান নাদিম শহীদের স্থলাভিষিক্ত হন। ২০১২ সালে প্রথম একাদশের কোচ হিসেবে মনোনয়ন পান। ১৭ জুন, ২০১৩ তারিখে সারে দল ঘোষণা করে যে, প্রথম একাদশের ক্রিকেট পরিচালক ক্রিস অ্যাডামসের সাথে সলসবারিকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
মে, ২০১৭ সালে ইংল্যান্ড শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের জন্য তাকে মনোনীত করা হয়।
স্বল্পসংখ্যক লেগ স্পিনার হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নেয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, ১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে তার মনোনয়ন ক্রিকেটকে ধ্রুপদী আনন্দে অভিভূত করেছে। লর্ডসে খেলতে নামার ফলে ১৯৭১ সালে রবিন হবসের পর প্রথম লেগ স্পিনে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেন।[৩] তবে, বাস্তবতা হচ্ছে - ধারাবাহিকতাবিহীন টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে প্রাপ্ত ২০ উইকেট লাভের জন্য তাকে উইকেটপিছু প্রায় ৭৭ রান খরচ করতে হয়েছিল।[১]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.