উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইন্দু মালহোত্রা একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ ব্যারিস্টার। তিনি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনোনীত দ্বিতীয় মহিলা।[৩] তিনিই প্রথম মহিলা অ্যাডভোকেট যিনি বার থেকে সরাসরি ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে উন্নীত হন।[৪] তিনি দ্য ল অ্যাণ্ড প্র্যাকটিস অফ আরবিট্রেশন অ্যাণ্ড কনসিলিয়েশন (২০১৪) -এর তৃতীয় সংস্করণও লিখেছেন।[৫]
ইন্দু মালহোত্রা | |
---|---|
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক | |
কাজের মেয়াদ ২৭শে এপ্রিল ২০১৮[১] – ১৩ই মার্চ ২০২১ | |
মনোনয়নকারী | দীপক মিশ্র |
নিয়োগদাতা | রামনাথ কোবিন্দ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [২] ব্যাঙ্গালোর, মহীশূর রাজ্য, ভারত | ১৪ মার্চ ১৯৫৬
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ক্যাম্পাস ল সেন্টার, আইন অনুষদ, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় |
ইন্দু মালহোত্রা ১৪ই মার্চ ১৯৫৬ সালে বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বরিষ্ঠ আইনজীবী ও লেখক ওম প্রকাশ মালহোত্রা এবং মা সত্য মালহোত্রা। তিনি পিতা মাতার কনিষ্ঠ সন্তান।[৬]
ইন্দু মালহোত্রা নতুন দিল্লির কারমেল কনভেন্ট স্কুলে পড়াশুনো করেন।[৭] এরপর তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেডি শ্রী রাম কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (অনার্স) এবং পরবর্তীকালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিরাণ্ডা হাউস এবং বিবেকানন্দ কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেন।[৮]
১৯৮২ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ক্যাম্পাস ল সেন্টার থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।[৮]
ইন্দু মালহোত্রা ১৯৮৩ সালে আইনী পেশায় যোগদান করেন এবং দিল্লির বার কাউন্সিলে নথিভুক্ত হন।[৮] ১৯৮৮ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টে একজন অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন এবং পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন।[৮] ৩০ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে আইনী পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করার পর, ইন্দু মালহোত্রাকে সর্বসম্মতিক্রমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।[৯] ২০১৮ সালের ২৬শে এপ্রিল সরকার কর্তৃক আদেশ দিয়ে তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছিল এবং তিনিই প্রথম নারী বিচারক যিনি সরাসরি বার কাউন্সিল থেকে বিচারক হিসেবে উন্নীত হন।[১০] ইন্দু মালহোত্রা ২০২১ সালের ১৩ই মার্চ অবসর গ্রহণ করেন।[১১]
মালহোত্রা যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় হাজির হয়েছিলেন তা হল:
বিখ্যাত শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের বিষয়ে ইন্দু মালহোত্রার ভিন্নমতের মন্তব্যটি ব্যাপক মনোযোগ পেয়েছে। প্যানেলে একমাত্র নারী বিচারক হিসেবে তিনি তাঁর ভিন্নমতের রায়ে উল্লেখ করেছেন যে "যা একটি অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন গঠন করে তার সিদ্ধান্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেওয়া উচিত" এবং আদালতের দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এমন কোন বিষয় নয়। তিনি যোগ করেছেন যে "আদালত দ্বারা ধর্মের বিষয়ে যুক্তিযুক্ততার ধারণাগুলি আহ্বান করা যায় না"।[১৩][১৪]
ইন্দু মালহোত্রা বিশাখা কমিটি সহ সময়ে সময়ে সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা গঠিত বিভিন্ন কমিটির সদস্য ছিলেন।[১৫]
ইন্দু মালহোত্রা ভারতে সালিশের আইন এবং অনুশীলনের উপর একটি মন্তব্য লিখেছেন, যা ২০১৪ সালের ৭ই এপ্রিল[১৬] ভারতের প্রধান বিচারপতি দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল।[১৭]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.