Loading AI tools
উদ্ভিদের গণ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
ইউক্যালিপটাস (লাতিন: 'Eucalyptus') Myrtaceae পরিবারের একটি গণের নাম এটি মূলত একটি কাঠের গাছ যা প্রকৃতিগত ভাবে অষ্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। যদিও এর আবহাওয়াগত অভিযোজন ক্ষমতার কারণে প্রায় সব মহাদেশেই দেখতে পাওয়া যায়। সারা বিশ্বে ইউক্যালিপটাসের প্রায় ৭০০ প্রজাতি আছে তবে পাপুয়া নিউ গিনি ও ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত এর প্রাকৃতিক ভাবে বিস্তার রয়েছে। পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মাত্র ১৫টি প্রজাতি চালু করা উদ্ভিদ হিসেবে। দ্রুতবর্ধনশীলতা এবং অভিযোজন ক্ষমতার কারণে এটি অনেক দেশেই কাঠের গাছ হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে যদিও উল্লেখ্য যে এই ইউক্যালিপটাসের কোন প্রজাতিই তুষারপাত সহ্য করতে পারে না। এটা উষ্ণমণ্ডলীয় এবং উষ্ণ উভয় প্রকারের জলবায়ুর প্রদেশে বেচে থাকতে সক্ষম।
ইউক্যালিপটাস | |
---|---|
ইউক্যালিপটাস গাছের ফুল এবং শাখা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Myrtales |
পরিবার: | Myrtaceae |
উপপরিবার: | Myrtoideae |
গোত্র: | Eucalypteae |
গণ: | Eucalyptus L'Hér. |
আদর্শ প্রজাতি | |
Eucalyptus obliqua L'Hér. 1789 | |
বৈচিত্র্য | |
প্রায় ৭০০ প্রজাতি | |
Natural range | |
প্রতিশব্দ | |
Aromadendron Andrews ex Steud. |
ইউক্যালিপটাস হচ্ছে মোট তিনটি গণের একই উল্লেখিত নাম যাদেরকে এই "eucalypts" নামে ডাকা হয়। অন্য গণ দুটি হচ্ছে কোরিম্বিয়া এবং অ্যাঙ্গোফোরা।[2] ভারতীয় উপমহাদেশের বেশ কিছু জায়গায় উদাহরণস্বরুপ ভারতে, বাংলাদেশে ইউক্যালিপ্টাস গাছকে নীলগিরি বা নীলগিরি গাছ নামে ডাকা হয়। এই গাছের তেলের অনেক ব্যবহার রয়েছে,বিশেষত এন্টিসেপটিক ও পরিষ্কারক হিসেবে, মশা নিধনেও এই তেলের ভূমিকা রয়েছে। কাঠ হিসেবে এর রয়েছে ব্যবহার, বেশ সুদর্শন এর পাতা, মসৃণ কাণ্ড। এদের ফূল সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি ছাড়াও বেশ স্বাদিষ্ট মধূ প্রস্তুতে কাজে লাগে। বেশ কিছু ইউক্যালিপ্টাস এর প্রজাতিতে গাম নিঃসরণের কারণে এদেরকে gum tree হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তবে এর ক্ষতিকর কিছু দিক আছে। এই গাছটিতে অধিক পরিমাণে তেল থাকায় এটা বেশ দাহ্য এবং খোদ এর আবাসভূমি অস্ট্রেলিয়াতে একে অগ্নি সৃষ্টিকারী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। তাই আবাসিক এলাকায় বা ঘরবাড়ির কাছে এটাকে কম লাগানো হয়। তবে বড় বড় সড়কের ধারে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো থাকে আর বসন্তে এর চমক লাগানো ফূল দেখে প্রায় চেনাই যায় না যে সারাবছর অনাড়ম্বর থাকা এই বৃক্ষটিকে।
ইউক্যালিপ্টাস গাছ আশপাশের প্রায় ১০ ফুট এলাকার ও ভূগর্ভের প্রায় ৫০ফুট নিচের পানি শোষণ করে আকাশে উঠিয়ে দেয়। এই গাছ রাতদিন ২৪ ঘণ্টাই জল শোষণ করে বাতাসে ছাড়ে। এর ফলে মাটিতে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। তাই এই গাছ শুষ্ক বা মৌসুমী জলবায়ু যুক্ত পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এই গাছের আশপাশে অন্য প্রজাতির গাছ জন্মাতে পারে না কারন এই গাছের পাতায় প্রচুর টক্সিন থাকে যা গাছের গোড়ায় পড়ে আশেপাশের মাটিকে বিষাক্ত করে তোলে। এ গাছ মাটিকে শুষ্ক করার ফলে মাটিতে অবস্থিত মিনারেলগুলো আয়ন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসে যার ফলে দেশীয় গাছের বাঁচার ক্ষমতা কমে যায়। কারন দেশীয় যে গাছগুলি আমরা দেখি সেগুলি মাটির মিনারেলগুলোকে আয়ন হিসাবে গ্রহণ করে। মাটিতে মিনারেল গুলো আয়ন হিসাবে থাকলে আমরা তাকে উর্বর জমি বলি। ইউক্যালিপ্টাস গাছ কেটে ফেললেও মাটির উর্বরতা ফিরে আসতে দীর্ঘ সময় লাগে। ইউক্যালিপ্টাস গাছ বর্জন করা উচিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
উপকারীতা
ইউক্যালিপটাস কচি পাতা রৌদ্রে শুকিয়ে গুড়া করে রাখা দরকার। ঠান্ডা কাশি সর্দি জ্বর হলে উক্ত গুঁড়া এক চামচ করে চা বানিয়ে প্রতিদিন দুইবার খাওয়া দরকার। ঠান্ডা কাশি সর্দি জ্বর রোগের নিরাময় হয়।
ইউক্যালিপটাস গাছের পাতায় যে টক্সিনগুলি থাকে সেগুলি থেকে মশা বা বিভিন্ন কীট-পতঙ্গ নাশক তৈরি হয়। যা একদিকে উপকার করে অন্যদিকে এই তেলের ধোঁয়া মানুষের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.