Loading AI tools
ভারতীয় রাজনীতিবিদ উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
মুহাম্মদ আসরারুল হক (১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২—৭ ডিসেম্বর ২০১৮) যিনি মাওলানা আসরারুল হক কাসেমি নামেও পরিচিত, ছিলেন একজন ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, কলাম লেখক এবং কিশানগঞ্জ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। [2] তিনি জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের প্রাদেশিক সভাপতি, অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সহ-সভাপতি, দারুল উলুম দেওবন্দের শুরা সদস্য এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য ছিলেন। সীমাঁচল এর অনগ্রসর অঞ্চলের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য তিনি 'অল ইন্ডিয়া মিল্লি ও তালিমি ফাউন্ডেশন' প্রতিষ্ঠা করেন। সাথে সাথে কিশানগঞ্জের বিশাল জায়গাজুড়ে আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির শাখাও প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বেশিরভাগ সময় ভারতের উর্দু পত্রিকাগুলোতে সাপ্তাহিক কলাম লেখতেন।
আসরারুল হক কাসেমি | |
---|---|
সংসদ সদস্য লোকসভা কিশানগঞ্জ (লোকসভা নির্বাচন)[1] | |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ – ২০১৮ | |
পূর্বসূরী | তসলিম উদ্দীন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | তারাবরি গাঁও, কিশানগঞ্জ জেলা | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২
মৃত্যু | ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ৭৬) | (বয়স
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | সালমা খাতুন |
বাসস্থান | তারাবরি গাঁও, কিশানগঞ্জ জেলা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
ধর্ম | ইসলাম |
১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ অনুযায়ী |
মুহাম্মদ আসরারুল হক নিজ গ্রামেই প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। এরপর ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদিসের (মাস্টার্স) সনদ লাভ করেন।
১৯৬৫ সালের ১৬ই মে আসরারুল হক বিয়ে করেন। তার ঔরসে দুই ছেলে ও তিন মেয়ের জন্ম হয়। ২০১২ সালের ৯ই জুলাই তার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন।
২০০৯ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মনোনয়ন নিয়ে কিশানগঞ্জ আসন থেকে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেন এবং বিজয়লাভ করেন। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী দিলিপ জেসোয়ালের বিপক্ষে লড়ে এবারও নিজ আসন ধরে রাখেন এবং পুরো প্রদেশে সবচেয়ে বেশি ভোট লাভ করেন।
আসরারুল হক অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ এর দীর্ঘদিনের কর্মী এবং সেক্রেটারিও ছিলেন। তিনি অল ইন্ডিয়া মিল্লি কাউন্সিলের সহ সভাপতি -ও ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, পৃষ্ঠপোষক এবং সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
আসরারুল হক কাসেমির পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক মাদরাসা, স্কুল ও প্রতিষ্ঠান নিজেদের কাজ পরিচালনা করত। তার সময়েই কিশানগঞ্জে ২২৪ একর (৯১ হেক্টর) জমিতে আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি সীমাঁচলে আসা বন্যায় দুর্গতদের অনেক সেবা করেন এবং তাদেরকে সব ধরনের সহায়তা করেন। এছাড়াও সীমাঁচলে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটান এবং অনগ্রসর মানুষদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন। অল ইন্ডিয়া তালিমি ও মিল্লি ফাউন্ডেশনের অধীনে 'মিল্লি গার্লস কলেজ' তারই প্রচেষ্টার ফসল। এই কলেজে বর্তমানে ৫০০ মেয়ে পড়াশোনা করছে।
আসরারুল হক কাসেমি বিভিন্ন বিষয়ে কলম ধরেছেন এবং তার হক আদায় করেছেন। তার প্রবন্ধ-নিবন্ধ ভারতের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী ও পুস্তিকায় প্রকাশ পেত।
আসরারুল হক কাসেমি ভালো একজন বক্তাও ছিলেন। জনসাধারণের উদ্দেশে ধর্মীয় সভা-সেমিনারে এবং সংসদ ও অন্যান্য রাজনৈতিক প্রোগ্রামেও বক্তব্য রাখতেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০১৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর রাতে এক সীরাত মাহফিলে বক্তব্য রাখেন। কয়েক ঘণ্টা পর ভোর ৩টার দিকে মারাত্মক হৃদকম্প শুরু হয় এবং ৭ই ডিসেম্বর ২০১৮ ইংরেজি ৭৬ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। [2]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.