আলেপ্পি জেলা
কেরলের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
কেরলের একটি জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আলেপ্পি (দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কেরল রাজ্যের ১৪ টি জেলার একটি জেলা৷ এটি আয়তনের বিচারে কেরালার ক্ষুদ্রতম জেলা৷ [3] ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই আগস্ট তারিখে "আলেপ্পি জেলা"টি গঠন করা হয়৷ পরবর্তীকালে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে স্থানীয় উচ্চারণ অনুসারে জেলাটির সরকারিভাবে নামকরণ করা হয় "আলপ্পুড়" জেলা৷ [4] একইভাবে ২০১২ খ্রিস্টাব্দে জেলাসদর আলেপ্পির নামও বদল করে আলপ্পুড়া রাখা হয়, কিন্তু ঐ ইঙ্গকৃৃত নাম এখনো বেশকিছু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ জেলাটি দৃষ্টিনন্দন বদ্ধজলার উপস্থিতির জন্য বিখ্যাত৷
) হলোআলেপ্পি জেলা আলপ্পুড় | |
---|---|
কেরালার জেলা | |
কেরালায় আলেপ্পি জেলার মানচিত্র | |
স্থানাঙ্ক: ৯.৪৯° উত্তর ৭৬.৪৯° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | কেরল |
সদর | আলেপ্পি |
সরকার | |
• জেলা সমাহর্তা | এম. অঞ্জন, আইএএস[1] |
আয়তন[2] | |
• মোট | ১,৪১৪ বর্গকিমি (৫৪৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২১,২৭,৭৮৯ |
• জনঘনত্ব | ১,৫০০/বর্গকিমি (৩,৯০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | মালয়ালম, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫:৩০) |
ওয়েবসাইট | alappuzha.nic.in |
আলেপ্পি কেরালার বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে জলপথে সুসংযুক্ত৷ সম্পূর্ণ জেলাটিই পর্যটন ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নত, এছাড়াও কেরালার অন্যতম প্রসিদ্ধ কুমারকোম পর্যটনস্থলের সাথেও এটি জলপথে যুক্ত৷ আলেপ্পিতে রয়েছে নারিকেলের ছোবড়া থেকোতন্তু তৈরীর কারখানা, এটি মূলত সদর শহর কেন্দ্রিক শিল্প৷
জেলাটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আগ্রাসন নীতি ও সামন্ততন্ত্রের বিরোধে পুন্নাপ্রা বয়লার অভ্যুত্থানের আঁতুড়ঘর ছিলো৷
অষ্টম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে রাজা কেশবদাসের তৎপরতায় আলেপ্পি শহর এবং সমগ্র জেলা প্রথমবার সাহিত্যের পাতায় উঠে আসে। এর বহু পূর্বেই সঙ্গম রাজবংশের সময়ে বর্তমান কেরালার চাউলের পাত্র কুট্টনাড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক প্রমাণ অনুসারে খ্রিস্টপূর্বাব্দ সময়কালে এবং মধ্যযুগীয় সময় আলেপ্পি সাথে প্রাচীন গ্রিস এবং প্রাচীন রোমের ব্যবসায়িক সম্পর্ক সুদৃঢ় ছিল। [5]
চের রাজবংশের শুরুর দিককার শাসকদের মূল বাসস্থান ছিল এই কুট্টনাড়, কি কারনে তারা ওই সময় কুট্টুবন নামে পরিচিত ছিল। শিলালেখ, অনুশাসন, স্মৃতিস্তম্ভ, বিভিন্ন মন্দিরগাত্রের লিখন এবং "উন্নুনীলি সন্দেশম" নামক গ্রন্থে এই অঞ্চলের একাধিক পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। ওই রাজবংশকালীন সর্বাধিক জনপ্রিয় সাহিত্যিক কর্মকাণ্ড ছিল আশ্চর্য চূড়ামণি, এটি ছিল ছেঙ্গন্নুর বৈয়াকরণ শ্রী শক্তি ভদ্রের রচিত একটি সংস্কৃত নাটক। শ্রীমৎ ভাগবত গীতার প্রথম খণ্ডের ভাষ্য হিসেবে "বেদান্ত রত্নমালা"র রচয়িতা পণ্ডিত কবি শ্রী পূরাড়ম তিরুনাল দেবনারায়ণ অসময়ের সমসাময়িক চেম্পকাসেরি (চম্পাকেশরী) সাম্রাজ্য খ্যাতির ঊর্ধ্ব শিখরে ছিল। জনশ্রুতি রয়েছে যে, অম্বলপ্পিতে অবস্থিত অম্বলপ্পি শ্রীকৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ এবং মন্দিরের গর্ভগৃহে শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি স্থাপন এই সাম্রাজ্যের সময়েই হয়েছিল। মনে করা হয় মেলপাতুর নারায়ণ ভট্টদ্রী, নীলকণ্ঠ দীক্ষিতর এবং কুমারণ নাম্বুদ্রির মতো পণ্ডিত বর্গ ঐ সময়ে রাজার রাজসভা আলোকিত করে বিরাজ করতেন৷ [5]
সপ্তদশ শতাব্দীতে আলেপ্পি জেলার ওপর পর্তুগীজদের প্রভাব কমতে থাকে এবং ওলন্দাজরা আস্তে আস্তে প্রশাসনিকভাবে শক্তিশালী হওয়া শুরু করে। [4] জনশ্রুতি অনুযায়ী যিশুখ্রিস্টের ১২ জন অনুগামীর একজনের বংশধর সেন্ট থমাস দ্য অ্যাপস্লের নির্মিত সাতটি প্রধান গির্জার মধ্যে একটি হল কোকমঙ্গলমে অবস্থিত গির্জাটি। চিত্রশালা অনুসারে দক্ষিণ ভারতে নির্মিত একাধিক গির্জার মধ্যেএর পরবর্তী আলেপ্পি জেলায় অবস্থিত গির্জাটি আলেপ্পি শহরে অবস্থিত, যা মোটামুটি ভাবে ১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে থমাস নরটন নির্মাণ করেছিল। এটি পূর্বতন ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যে নির্মিত প্রথম অ্যাংলো গির্জা।
আধুনিক ত্রিবাঙ্কুর এর নির্মাতা মহারাজা মার্তণ্ড বর্মা ওই সময় আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত জেলার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আভ্যন্তরীণ উন্নতির জন্য মহারাজা মার্তণ্ড বর্মা একাধিক পদক্ষেপও নেন। কেরালা রাজ্য পুরাতাত্ত্বিক বিভাগের অধীনে রক্ষিত কায়মকুলামে অবস্থিত কৃষ্ণপুরম রাজপ্রাসাদটি এই সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই সময়ে প্রখ্যাত পণ্ডিত ও কবি শ্রী কুঞ্জন নাম্বিয়ার রাজার রাজসভায় অলংকৃত করতেন। তিনি আধুনিক আলেপ্পি নির্মাতা বলে পরিচিত এবং তারই তৎপরতায় ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যে অবস্থিত আলেপ্পোতে একটি বন্দর পত্তন করা হয়েছিল। [4]
মহারাজা বলরাম বর্মার সময়কালে, বেলু তাম্পি দলবা আলেপ্পি শহর এবং বন্দরের সার্বিক উন্নয়নের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তিনি পতিরামনল দ্বীপ অঞ্চলটিতে বহুল পরিমাণে নারিকেলের চাষ এবং রাজ্যের অন্যান্য স্থানে ধান চাষের ব্যাপক প্রচলন শুরু করেন। আলেপ্পি শহরের জন্য বেলু তাম্পি দলবা মহাশয় অবদান অনস্বীকার্য। উনবিংশ শতকের শুরু থেকেই জেলাটি আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করে। [4]
১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে আলেপ্পি শহরে নারকেলের দড়ি দিয়ে নির্মিত মাদুর এবং পট তৈরীর কারখানা স্থাপিত হয়। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে সার্বিক নগর উন্নয়ন সমিতিও গঠন করা হয়। [4]
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই জেলাটির যথেষ্ট অগ্রগামী অবদান রয়েছে। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সাংবাদিক টি কে মাধবন মহাশয় এর তৎপরতায় আলেপ্পিতে জাতিবিদ্বেষ বিরোধী একটি জনসভা করা হয়। তারা সড়কপথে প্রতিটি মন্দিরে মন্দিরে তাদের আদর্শ প্রচার করা শুরু করেন এবং ফলস্বরূপ তথাকথিত জাতিভেদ প্রথার অন্যতম আগার অম্বলপ্পি শ্রীকৃষ্ণ স্বামী মন্দির কর্তৃপক্ষ ওই মন্দিরটি সমস্ত জাতির হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এই জেলা ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে সাংবিধানিক দমন-পীড়ন নীতির বিরুদ্ধে জনসাধারণের "নিবর্তন" আন্দোলনের স্মরিক ছিল। কেরালার প্রথম রাজনৈতিক ধর্মঘট আলেপ্পি জেলায় ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়। [4]
আলেপ্পি জেলাটি পশ্চিমে আরব সাগর এবং পূর্ব দিকে নদী বিধৌত সমভূমি মধ্যবর্তী নিম্নভূমিতে অবস্থিত। এই জেলার পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত গুরুত্বপূর্ণ নদী গুলি হল মণিমালা, পম্পা এবং আচনকোয়িল নদী। জেলাটির উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত উল্লেখযোগ্য হ্রদটি হলো বেম্বনাড় হ্রদ।[6]
জেলাটির উত্তর দিকে রয়েছে এর্নাকুলাম জেলা, উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে কোট্টায়ম জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে পত্তনমতিট্টা জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে কোল্লাম জেলা এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে আরব সাগর।
আলেপ্পি জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর আলেপ্পি শহরে অবস্থিত। জিলাটির দুটি মহকুমায় বিভক্ত, এগুলি হল -আলেপ্পি এবং চেঙ্গন্নুর।[3]
আলেপ্পি জেলায় অবস্থিত পুরসভাগুলির তালিকা নিম্নরূপ:
আলেপ্পি মহকুমাতে অবস্থিত তিনটি তালুক হল যথাক্রমে:
চেঙ্গন্নুর মহকুমাতে অবস্থিত তিনটি তালুক হল যথাক্রমে:
ক্ষেত্রফল | ১,৪১৪ বর্গকিলোমিটার - সমগ্র কেরালার ৩.৬৪ শতাংশ |
জনসংখ্যা (২০১১) | ২১,২৭,৭৮৯ জন - সমগ্র কেরালার ৬.৬১ শতাংশ |
জনঘনত্ব (২০১১) | ১,৫০৪ প্রতি বর্গকিলোমিটার |
সাক্ষরতার হার (২০১১) | ৯৫.৭২% যেখানে কেরালার সাক্ষরতার হার ৯৪.২১% |
লিঙ্গানুপাত (২০১১) | প্রতিহাজার পুরুষে ১,১০০ জন নারী |
নগরায়ন | ২৯.৪৬% |
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ৫,০৯,৫৪৫ | — |
১৯১১ | ৫,৮৫,০৯৪ | +১.৩৯% |
১৯২১ | ৬,৯৩,৫৩৮ | +১.৭১% |
১৯৩১ | ৮,৬৫,২২২ | +২.২৪% |
১৯৪১ | ৯,৮৩,১৮৪ | +১.২৯% |
১৯৫১ | ১১,৬৫,৮৪৫ | +১.৭২% |
১৯৬১ | ১৪,০৪,২৬৯ | +১.৮৮% |
১৯৭১ | ১৬,৭১,২৮৬ | +১.৭৬% |
১৯৮১ | ১৮,৬৫,৪৫৫ | +১.১১% |
১৯৯১ | ২০,০১,২১৭ | +০.৭% |
২০০১ | ২১,০৯,১৬০ | +০.৫৩% |
২০১১ | ২১,২৭,৭৮৯ | +০.০৯% |
উৎস:[7] |
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে আলেপ্পি জেলার মোট জনসংখ্যা ছিলো ২১,২৭,৭৮৯ জন,[8] যা নামিবিয়া রাষ্ট্রের [9] বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো রাজ্যের জনসংখ্যার সমতুল্য৷ [10] ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে জনসংখ্যা বিচারে এই জেলাটি ২১৬তম স্থানাধিকার করেছে৷ [8] জেলাটির জনঘনত্ব ১,৫০১ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (৩,৮৯০ জন/বর্গমাইল), যা কেরালার অন্যান্য জেলার চেয়ে সর্বাধিক৷ [8] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দ অবধি আলেপ্পি জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৬১ শতাংশ৷ [8] জেলাটিতে প্রতিহাজার পুরুষে ১,১০০ জন নারী বাস করেন৷[8] জেলাটির সর্বমোট সাক্ষরতার হার ৯৫.৭২ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৭.৩৬ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৯৪.২৪ শতাংশ। [8] জনসংখ্যার বিচারে জেলাটি ২৯.৪৬ শতাংশ নগরায়িত। [11]
২০০১ জনগণনা অনুসারে আলেপ্পি জেলাতে ৬৯.০৮ শতাংশ হিন্দু, ২০.৯৪ শতাংশ খ্রিস্টান এবং ৯.৮৬ শতাংশ মুসলিম বাস করতেন৷
কিছু দিন আগে পর্যন্ত আলেপ্পি কেরালার একমাত্র জেলা ছিলো যেখানে কোনো রক্ষিত বনাঞ্চল ছিলো না৷ কিন্তু ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ দপ্তর এই জেলার বীয়পুরমের নিকট ১৪.৫ একর (৫.৯ হেক্টর) বনভূমিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করেন৷ [12]
আলেপ্পির বেম্বনাড় হ্রদে অবস্থিত পত্রামন দ্বীপ বিরল পরিযায়ী পাখির আগমনের জন্য খ্যাত৷ [13]
ভারতের দীর্ঘতর জাতীয় সড়কগুলির মধ্যে মুম্বাই থেকে কন্যাকুমারী অবধি ৬৬ নং জাতীয় সড়ক অন্যতম৷ জাতীয় সড়কটি আলেপ্পি জেলার সদর শহরের সাথে মুম্বাই, উড়ুপি, মাঙ্গলুরু, কণ্ণুর, কালিকট, এর্নাকুলাম, কোল্লাম এবং তিরুবনন্তপুরমের মতো একাধিক বড়ো শহরকে সড়কপথে যুক্ত করেছে৷ জাতীয় সড়ক বরাবরআলেপ্পি শহর অতিক্রম করার জন্য নির্মিত আলেপ্পি বাইপাসটি কোম্মাড়ি থেকে কালারকট অবধি বিস্তৃত এবং ভূগর্ভপথে দীর্ঘায়িত৷ অন্যান্য সড়কের পথেও আলেপ্পি বিভিন্ন শহরের সাথে যুক্ত৷ উপকুলবর্তী পার্বত্য পর্যটন বৃদ্ধির উপলক্ষে আলেপ্পি থেকে কোড়াইকানাল অবধি ১১ নং রাজ্য সড়কটি উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ [14]
আলেপ্পি জেলাতে আটটি রাজ্য সড়ক রয়েছে যার মধ্যে তিনটি রাজ্য সড়ক আলেপ্পি শহর থেকে উৎপন্ন। ১১ নং রাজ্য সড়কটি আলেপ্পির কালারকট থেকে শুরু হয়ে পেরুন্না, চেঙ্গনসেরি অবধি বিস্তৃত। এই ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি আলেপ্পি চেঙ্গনসেরি সড়ক নামে অধিক পরিচিত। এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যা আলেপ্পি শহরের সাথে কোট্টায়ম জেলার সংযোগ স্থাপন করেছে।
কেরলের ৪০ নং রাজ্য সড়কটি মূলত একটি আন্তঃরাজ্য সড়ক আলেপ্পি শহরের সাথে তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরের সংযোগ স্থাপন করেছে। আলেপ্পি জেলায় অবস্থিত এটি একমাত্র আন্তঃরাজ্য রাজ্য সড়ক। কেরলের ৬৬ নং রাজ্য সড়কটি আলেপ্পি শহর থেকে শুরু হয়ে এর্নাকুলামের তোপ্পুমপাড়ি অবধি দীর্ঘায়িত৷
কেরালার ত্রিবাঙ্কুর অঞ্চলের ধামনিক সড়ক এই সেণ্ট্রাল রোডটি৷ কেরল সড়ক দপ্তর এটিকে ১নং রাজ্য সড়কের মর্যাদা দিয়েছে৷ এটি আলেপ্পির চেঙ্গন্নুর শহরের সাথে কেরালার বিভিন্ন সদরশহরের সংযোগ স্থাপন করেছে৷ ৫ নং রাজ্য সড়কটি কায়মকুলামের নিকট থেকে শুরু হয়ে পালিমুক্কু জংশন অবধি ৪২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘায়িত৷ ৬ নং রাজ্য সড়কটি কায়মকুলাম থেকে তিরুবল্ল অবধি ৩০.৮ কিলোমিটার দীর্ঘায়িত৷ ১০ নং রাজ্য সড়কটি মাবেলিকরা থেকে কোলেঞ্চেরি অবধি ২৮.৭ কিলোমিটার দীর্ঘায়িত৷ ১২ নং রাজ্য সড়কটি আলেপ্পির অম্বলপ্পি থেকে তিরুবল্ল অবধি ২৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘায়িত৷ [15]
আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সমর্থিত আলেপ্পি জেলার যানবাহন নিবন্ধনগুলি হলো:
কেরালার আলেপ্পি জেলার পুরাতন যান নিবন্ধনগুলি ছিলো:-
একাধিক বদ্ধজলা, খাল ও নদী-নালা থাকার কারণে জেলাটি জল পরিবহনে উন্নত৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] জাতীয় জলপথ ৩ আলেপ্পি শহরে ওপর দিয়ে পরিকল্পিত৷ কেরালা রাজ্য সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন দপ্তরের বাসস্ট্যাণ্ডের বিপরীতেই রয়েছে রাজ্য জলপরিবহন দপ্তর (স্টেট ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেণ্ট)৷ জলপথে আলেপ্পি থেকে কোট্টায়ম, কোল্লাম এবং চেঙ্গনসেরির সাথে নিত্য পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে৷ [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
আলেপ্পি জেলায় দুটি রেললাইন রয়েছে৷ এর্নাকুলাম–কায়মকুলাম উপকুলীয় রেলপথ প্রাথমিকভাবে আলেপ্পি রেলওয়ে স্টেশন, চের্তলা রেলওয়ে স্টেশন এবং কায়মকুলাম জংশন রেলওয়ে স্টেশনকে যুক্ত করেছে৷ আবার এর্নাকুলাম-কোট্টায়ম-কায়মকুলাম রেলপথটি জেলার পূর্বদিকে অবস্থিত চেঙ্গন্নুর রেলওয়ে স্টেশন এবং মাবেলিকরা রেলওয়ে স্টেশনকে সংযুক্ত করেছে৷ [16]
আলেপ্পি শহর থেকে নিকটবর্তী বিমানবন্দরটি হলো শহর থেকে ৭৮ কিলোমিটার (৪৮ মা) দূরত্বে অবস্থিত কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর৷ অপর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলো তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, যা আলেপ্পি থেকে ১৫৯ কিলোমিটার (৯৯ মা) দক্ষিণে অবস্থিত৷ এছাড়া ২৩৬ কিলোমিটার (১৪৭ মা) দূরে রয়েছে কালিকট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং ২৫৪ কিলোমিটার (১৫৮ মা) দূরে রয়েছে কোয়েম্বাটুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর৷ আলেপ্পি শহরে অবস্থিত হ্যালিপ্যাডটি শুধু সরকারি কাজেই ব্যবহৃত হয়৷
আলেপ্পি জেলায় রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র, যথা: আলেপ্পি এবং মাবেলীকরা লোকসভা কেন্দ্র [17]
আলেপ্পি জেলাতে রয়েছে নয়টি বিধানসভা কেন্দ্র৷ [18]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.