Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আলিপুর হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার একটি অঞ্চল এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সদর দপ্তর। আলিপুরের উত্তরসীমায় অবস্থিত টালির নালা, পূর্বে ভবানীপুর, পশ্চিমে ডায়মন্ড হারবার রোড এবং দক্ষিণে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বজবজ লাইনের রেলপথটি।
আলিপুর | |
---|---|
কলকাতার অঞ্চল | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
শহর | কলকাতা |
মেট্রো স্টেশন | যতীন দাস পার্ক |
সময় অঞ্চল | ভারত মান সময় (ইউটিসি+৫.৩০) |
এলাকা কোড | +৯১ ৩৩ |
আলিপুর অঞ্চলটি কলকাতার পত্তনের সময় থেকেই এই মহানগরীর অঙ্গ। সেই কারণে বহু ঘটনার সাক্ষী এই অঞ্চল ঐতিহাসিক দিক থেকে বিশেষ ঐতিহ্য বহনকারী।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে ফোর্ট উইলিয়াম ও ডালহৌসি স্কোয়ারের বাইরে রেস কোর্সের ওপারে ইংরেজরা বসতি স্থাপন করতে শুরু করে। এই সময়ে নির্মিত বেলভেডর এস্টেট ছিল এই আলিপুর তথা এই শহরের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম। তৎকালীন গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস নিজের বসবাসের উদ্দেশ্যে এটি নির্মাণ করেন। গভর্নরস হাউস বা লাটভবন নির্মিত হওয়ার পূর্বাবধি এই বাড়িটিই ছিল ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেলদের সরকারি বাসভবন। আবার এই সময় থেকেই একের পর এক ব্রিটিশ এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করতে থাকেন। অবিলম্বে প্রাসাদ, বাংলো ও বাগানে ভরে উঠে আলিপুর হয়ে ওঠে কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় ও দ্রষ্টব্য অঞ্চল।
১৮২০ সালে মিশনারি উইলিয়াম কেরি বেলভেডর এস্টেটের পিছনে স্থাপনা করেন এগ্রি হর্টিকালচারাল গার্ডেন। এই উদ্যান এই অঞ্চলের সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। বেলভেডর এস্টেটেরই একাংশে ১৮৫২ সালে উঠে আসে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি, যার বর্তমান নাম জাতীয় গ্রন্থাগার। এই বছরেই আলিপুর টাঁকশালের উদ্বোধন সম্পন্ন হয়। ১৮৭৫ সালে আলিপুর পশুশালা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গেও এই অঞ্চলের যোগ অত্যন্ত গভীর। এই অঞ্চল সাক্ষী বিখ্যাত আলিপুর বোমার মামলার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা-সদর আলিপুর থেকে সরিয়ে কলকাতার অদূরে বারুইপুর শহরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আলিপুর অঞ্চলের সুদীর্ঘ প্রশাসনিক গুরুত্বও অনেকাংশে খর্বিত হবে।
কলকাতার অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে বাস পরিষেবার দ্বারা আলিপুর অঞ্চলটি সুসংযুক্ত।
কলকাতা শহরতলি রেলওয়ের বজবজ শাখার মাঝেরহাট ও নিউ আলিপুর স্টেশনদুটি আলিপুরের নিকটস্থ রেলস্টেশন।
আলিপুরের নিকটস্থ মেট্রো স্টেশনগুলি হল কালীঘাট ও যতীন দাস পার্ক ।
রাজ্য বিধানসভার ২০০১ ও ২০০৬ সালের নির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী বিশিষ্ট অভিনেতা তাপস পাল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) (সিপিআইএম) মনোনীত যথাক্রমে মীরা ভৌমিক ও বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে পরাস্ত করেন। তার পূর্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী সৌগত রায় সিপিআইএম-এর রবীন্দ্রনাথ রায় (১৯৯৬), সিপিআইএম-এর তুহিন রায়চৌধুরী (১৯৯১) ও সিপিআইএম-এর অশোক বসুকে (১৯৮৭) পরাস্ত করেছিলেন। তারও পূর্বে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী অণুপ কুমার চন্দ্র সিপিআইএম-এর অশোক বসুকে (১৯৮২) পরাস্ত করেছিলেন। সিপিআইএম-এর অশোক বসু ১৯৭৭ সালে পরাস্ত করেছিলেন জনতা পার্টির বলাই বরন চট্টোপাধ্যায়কে। [১]
আলিপুর বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত একটি বিধানসভা কেন্দ্র। এই লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। [২]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.