Loading AI tools
ইংরেজ ক্রিকেটার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আর্নেস্ট জর্জ হেইস, এমবিই (ইংরেজি: Ernie Hayes; জন্ম: ৬ নভেম্বর, ১৮৭৬ - মৃত্যু: ২ ডিসেম্বর, ১৯৫৩) লন্ডনের পেকহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আর্নি হেইস। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।
ক্রিকেট তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ |
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪৮টি সেঞ্চুরি সহযোগে ২৭৩১৮ রান ও ৫১৫ উইকেট পেয়েছেন। সচরাচর তিন নম্বর অবস্থানে থেকে ব্যাটিং করতেন আর্নি হেইস। ড্রাইভিং ও পুল শটে ভরপুর ছিল তার খেলোয়াড়ী জীবন। লেগব্রেক বোলিংও করতেন তিনি। দক্ষ স্লিপ ফিল্ডার হিসেবেও তার সুনাম ছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পূর্ব-পর্যন্ত সারে দলের পক্ষে নিয়মিতভাবে ১৫ বছর খেলেছেন। ১৮৯৯ থেকে ১৯১৪ সাল পর্যন্ত প্রত্যেক মৌসুমেই সহস্রাধিক রান তুলেছেন। ১৯০৬ সালে তার স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। এ সময়ে ইনিংস প্রতি ৪৫-এর বেশি গড়ে ২,৩০৯ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে ১৯০৭ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নামাঙ্কিত হন।[1][2]
১৯০৯ সালে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব সর্বোচ্চ ২৭৬ রান তুলেন। ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় জ্যাক হবসের সাথে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭১ রান সংগ্রহ করেন যা অদ্যাবধি সারের রেকর্ড হিসেবে টিকে রয়েছে।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ১৯০৫ সালে হেইসের বোলিং বেশ কার্যকরী ছিল। ঐ বছর ৭৬ উইকেট ও ১৯১২ সালে ৬০ উইকেট পেলেও অন্যান্য মৌসুমে খুব কমই উইকেট পেয়েছেন এবং রানও খরচ করেছেন বেশি। স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে ছয় শতাধিক ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন।
হেইসের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন সমৃদ্ধ ছিল না। ১৯০৫-০৬ মৌসুমে পেলহাম ওয়ার্নারের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। সিরিজের ৩ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঐ সিরিজটি প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকা জয়লাভ করে। তিনি মাত্র ৬৯ রান তুলেছিলেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। এছাড়াও ১৯০৭-০৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। কিন্তু দূর্বল ক্রীড়াশৈলীর কারণে কোন টেস্টেই তাকে খেলানো হয়নি।
নিজদেশে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। খেলায় তার দল জয়লাভ করলেও দুই ইনিংসে তিনি মাত্র ১৩ রান তুলতে পেরেছিলেন। অবশেষে ১৯১২ সালের ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। তবে তিনি মাত্র চার রান সংগ্রহ করেছিলেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেন আর্নি হেইস। যুদ্ধকালীন কর্মকাণ্ডে বর্ণাঢ্যময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এমবিই পদবীতে ভূষিত করা হয়।
১৯১৯ সালে শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে সারে দলের পক্ষে খেলেন। কিন্তু এক মৌসুম পরই এ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। ডানহাতের আঙ্গুলগুলো অস্বাভাবিক ছিল। ফলশ্রুতিতে ব্যাট ধরতে তাকে বেশ অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়তে হতো। তাস্বত্ত্বেও টম রিচার্ডসন ও উইলিয়াম লকউডের ন্যায় পেস বোলারদের ক্যাচ তালুবন্দী করার জন্য স্লিপ অঞ্চলে অবস্থান করতেন। এরপর লিচেস্টারশায়ারে চলে যান। সেখানে তিনি কোচের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দ্বিতীয় একাদশের দলনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য অব্যাহত রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯২৬ সালে ৪৯ বছর বয়সেও প্রথম একাদশের পক্ষে পাঁচটি খেলায় অংশ নিয়েছেন। তন্মধ্যে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে প্রথম খেলায় ৯৯ রান তুলেছিলেন ও কাউন্টি দলের পক্ষে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন।
খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর সারে এলাকায় কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৩৩ সালে আমৃত্যু মদের পানশালা পরিচালনায় অগ্রসর হন। পশ্চিম নরউডে প্যাক্সটন আর্মস খোলেন ও ২০ বছরের জন্যে ভূমির মালিক ছিলেন।[3] ২ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে লন্ডনের পশ্চিম ডালউইচ এলাকায় তার দেহাবসান ঘটে।
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.