Loading AI tools
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী (২০১৯) মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আর্থার অ্যাশকিন (ইংরেজি: Arthur Ashkin; জন্ম: ২ সেপ্টেম্বর ১৯২২) হচ্ছেন একজন আমেরিকান বিজ্ঞানী ও নোবেল বিজয়ী, তিনি বেল ল্যাব ও লুসেন্ট টেকনোলজিতে কাজ করেছেন। অনেকে মনে করেন অ্যাশকিন অপটিক্যাল টুয়েজারের জনক,[1][2][3] একারণেই ২০১৮ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল অর্জন করেন।
আর্থার অ্যাশকিন | |
---|---|
জন্ম | ব্রুকলিন, নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র | ২ সেপ্টেম্বর ১৯২২
মাতৃশিক্ষায়তন | কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় |
পুরস্কার | পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল (২০১৮) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | বেল পরীক্ষাগার, লুসেন্ট টেকনোলজি |
বিভিন্ন পেশাদার সোসাইটির সদস্যের পাশাপাশি অ্যাশকিন অপটিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিক (OSA), মার্কিন ফিজিক্যাল সোসাইটির (APS) এবং ইন্সটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারসের (IEEE) ফেলো। ৪০ বছর কাজের পর ১৯৯২ সালে তিনি বেল ল্যাব থেকে পদত্যাগ করেন। সেসময়ে তিনি প্রায়োগিক পদার্থবিজ্ঞানে অনেক অবদান রাখেন। তিনি অনেক গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক ছিলেন এবং তার নামে ৪৭ টি পেটেন্ট আছে। তিনি ২০০৩ সালে জোসেফ এফ. কেইথলি এবং ২০০৪ সালে হার্ভার্ড পুরস্কার পান। তিনি ১৯৮৪ সালে ন্যাশনাল একাডেমী অব ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ১৯৯৬ সালে ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স প্রতিষ্ঠানে গবেষণার জন্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি তার ঘরের পরীক্ষাগারেই তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।[1][2]
অপটিক্যাল টুয়েজার ছাড়াও, আসকিন ফটোরিফ্র্যাকশন, সেকেন্ড হারমোনিক জেনারেশন, এবং ফাইবারে নন-লিনিয়ার অপটিকসের জন্য প্রখ্যাত[1][2]
আর্থার অ্যাশকিন নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে জন্মগ্রহণ করেন (১৯২২) [4] এবং সেখানে তিনি বড় হয়েছিলেন।
তার পিতামাতার নাম ইসাদোর এবং আনা অ্যাশকিন। তার আরো দুই ভাইবোন আছে, একজন ভাই জুলিয়াস যিনি নিজেই একজন পদার্থবিজ্ঞানী এবং অপর একজন বোনের নাম রুথ। বড় সহোদর গার্ট্রুড অল্প বয়সে মারা যায়। তাদের বাড়িটি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের ৯৮৩ ই ২৭ নং স্ট্রিটে অবস্থিত। ইসাদর ১৯ বছর বয়সে রাশিয়ার ওডেসা থেকে অভিবাসী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসেব। পাঁচ বছর বয়সী আন্না, ইউক্রেন থেকে এসেছেন। [5][6][7][8] নিউইয়র্কে থাকাকালীন সময়, ইসাডোর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন এবং দন্ত পরীক্ষাগার পরিচালনা করেন। তার পরীক্ষাগার ম্যানহাটনের ১৩৯ ডিলানসি সড়কে অবস্থিত ছিল।[9]
তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং কলম্বিয়া বিকিরণ পরীক্ষাগারে যন্ত্রবিদ হিসেবে কাজ করেছেন
তিনি কলম্বিয়া থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক অর্জন করেন এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউক্লিয়ার পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেন। এটি ছিল ম্যানহাটন প্রজেক্টের যুগের সূচনার সময় এবং তার ভাই জুলিয়াস আসকিন এই প্রজেক্টের অংশীদার ছিলেন। এভাবেই আর্থার অ্যাশকিনের সাথে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা হান্স বেথে, রিচার্ড ফাইনম্যান এবং অন্যান্যদের সাক্ষাৎ হয়।[1]
তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন এবং তার বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা সিডনি মিলম্যানের অনুরোধ ও সুপারিশে বেল ল্যাবে গবেষণা করতে যান। বেলে ১৯৬০-৬১ তিনি ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের উপর কাজ করেন, এবং পরবর্তীতে লেজার রশ্মির উপর গবেষণা করেন। তার গবেষণা এবং প্রকাশিত নিবন্ধ গুলো ননলিনিয়ার অপটিক্স, অপটিক্যাল ফাইবার, প্যারামেট্রিক অসকিলেটর ও প্যারামেট্রিক এমপ্লিফায়ারের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। ১৯৬০ সালে বেল ল্যাবে গবেষণাকালীন সময় তিনি পাইযোইলেক্ট্রিক ক্রিস্টালে ফটোরিফ্র্যাক্টিভ এফেক্টের সহ আবিষ্কারক ছিলেন।[1]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.