আরিয়ালুর জেলা
তামিলনাডুর জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
তামিলনাডুর জেলা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আরিয়ালুর জেলা দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত তামিলনাড়ু রাজ্যের ৩৮ জেলার একটি। জেলাটির সদর এবং প্রশাসনিক দপ্তর আরিয়ালুর শহরে অবস্থিত। জেলাটি ১৯৪০ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল জুড়ে বিস্তৃত।
আরিয়ালুর জেলা அரியலூர் மாவட்டம் | |
---|---|
তামিলনাড়ুর জেলা | |
তামিলনাড়ুতে আলিয়ালুর জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১১.১৩৭০৪° উত্তর ৭৯.০৭৫৮২১° পূর্ব | |
রাষ্ট্র | ভারত |
রাজ্য | তামিলনাড়ু |
প্রতিষ্ঠাতা | করুণানিধি মুথুবেল |
সদর | আরিয়ালুর |
তালুক | আরিয়ালুর, সেন্দুরাই, উদয়ারপালয়ম, আণ্ডিমড়ম |
সরকার | |
• জেলা সমাহর্তা | শ্রীমতি ডি. রত্না, আই এ এস[1] |
• পুলিশ সুপার | শ্রী ভি.আর. শ্রীনিবাসন, আই পি এস |
আয়তন | |
• মোট | ১,৯৪০ বর্গকিমি (৭৫০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[2] | |
• মোট | ৭,৫৪,৮৯৪ |
• জনঘনত্ব | ৩৯০/বর্গকিমি (১,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তামিল |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
যানবাহন নিবন্ধন | টিএন ৬১ (TN 61) |
ওয়েবসাইট | www |
চোল সাম্রাজ্যের রাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল কর্তৃক নির্মিত গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম মন্দিরটি এই জেলায় অবস্থিত একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রাপ্ত জীবাশ্মের জন্য এই জেলাটি ঐতিহাসিকদের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। জেলাটিতে বহু বৃহদাকার কম্বোজ প্রাণীর জীবাশ্ম অন্তত পক্ষে একটা জীবাশ্মকৃত ডাইনোসরের ডিম, সাউরোপোডা এবং থেরোপোডা ডাইনোসরের দেহের বিভিন্ন অংশের পৃথক পৃথক জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে।[3][4][5] প্রাপ্ত এই জীবাশ্মগুলি সংরক্ষণ করার জন্য উৎখনন স্থলের নিকটে কীলপাড়ুরে একটি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে।[6] আরিয়ালুর সিমেন্ট শিল্প এবং জয়ঙ্কোণ্ডম লিগনাইট আকরিকের খনির জন্য বিখ্যাত৷[7]
২০০১ খ্রিস্টাব্দের ১লা জানুয়ারি তারিখে পেরম্বালুর জেলা থেকে আরিয়ালুর জেলা পৃথক করা হলেও প্রশাসনিক কারণে ২০০২ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে মার্চ জেলা দুটিকে একত্রিত করা হয়৷ পুনরায় ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে নভেম্বর তারিখে পেরম্বালুর জেলা থেকে আরিয়ালুর জেলা গঠন করা হয়৷ জেলাটির উত্তর ও উত্তর-পূর্বে রয়েছে কডলুর জেলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে তাঞ্জাবুর জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে তিরুচিরাপল্লী জেলা এবং পশ্চিম দিকে রয়েছে পেরম্বালুর জেলা৷
দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর জয়ঙ্কোণ্ডমের গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরম অবস্থিত বৃহদীশ্বর মন্দিরটি শিবের নামে উৎসর্গীকৃত একটি হিন্দু মন্দির৷ ১০৩৫ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ প্রথম রাজেন্দ্র চোল দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরটি তার নতুন রাজধানীর একটি সৌন্দর্য৷ চোল সাম্রাজ্যের সময়কালে নির্মিত এই মন্দিরটি একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত জয়ঙ্কোণ্ডম থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে তাঞ্জোরের বৃহদীশ্বর মন্দিরের অনুরূপ ও একই নামবিশিষ্ট৷ গঙ্গাইকোণ্ড চোলপুরমে অবস্থিত মন্দিরটি তাঞ্জাবুরের বৃহদীশ্বর মন্দিরের থেকে আকৃতিতে ছোট হলেও সূক্ষ্ম ও পরিশীলিত৷ উভয়ই দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত দ্রাবিড়ীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বৃহত্তর শিবমন্দিরগুলির মধ্যে গণ্য৷
২০১১ খ্রিস্টাব্দের ভারতের জনগণনা অনুসারে আরিয়ালুর জেলার জনসংখ্যা ছিল ৭,৫৪,৮৯৪ জন,[9] যা মোটামুটি ভাবে গায়ানা রাষ্ট্রের[10] বা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা রাজ্যের জনসংখ্যার সমতুল্য।[11] জনসংখ্যার ভিত্তিতে এটি ভারতের ৬৪০ টি জেলার মধ্যে ৪৯১তম স্থান অধিকার করেছে।[9] জেলাটির জনঘনত্ব ৩৮৯ জন প্রতি বর্গকিলোমিটার (১,০১০ জন/বর্গমাইল)।[9] ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৫৪ শতাংশ।[9] প্রতি হাজার পুরুষে এই জেলায় নারী সংখ্যা ১০১৫ জন।[9] জেলাটির মোট সাক্ষরতার হার ৭১.৩৪ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৮১.২৩ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৬১.৭৪ শতাংশ।[9] মোট জনসংখ্যার ১০.৭৪ শতাংশ ৬ বৎসর অনূর্ধ্ব শিশু। জনসংখ্যা অনুযায়ী তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতির শতকরা ভাগ যথাক্রমে ২৩.৩ ও ১.৪। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে তামিলনাড়ুর তৎকালীন ৩২ টি জেলার মধ্যে এটি তৃতীয় ন্যূনতম জনসংখ্যা বিশিষ্ট জেলা।[9] জেলার সর্বাধিক জনবহুল শহর হল জয়ঙ্কোণ্ডম।
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯০১ | ২,৭১,৫০১ | — |
১৯১১ | ২,৯৪,৬২১ | +০.৮২% |
১৯২১ | ৩,০৬,৭৬৪ | +০.৪% |
১৯৩১ | ৩,০৮,৮৩৭ | +০.০৭% |
১৯৪১ | ৩,৪৮,৩৮১ | +১.২১% |
১৯৫১ | ৩,৯৮,২৩১ | +১.৩৫% |
১৯৬১ | ৪,৩৭,৬৯২ | +০.৯৫% |
১৯৭১ | ৫,১৩,৭০৪ | +১.৬১% |
১৯৮১ | ৫,৭২,৪৯৮ | +১.০৯% |
১৯৯১ | ৬,৩৬,৩৮১ | +১.০৬% |
২০০১ | ৬,৯৫,৫২৪ | +০.৮৯% |
২০১১ | ৭,৫৪,৮৯৪ | +০.৮২% |
উৎস:[12] |
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.