বাংলাদেশি উদ্যোক্তা ও প্রেরণাদায়ক বক্তা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আয়মান সাদিক একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা এবং টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা, যা একটি ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিনামূল্যে শিক্ষণীয় সামগ্রী প্রদান করে। তিনি কুইন্স ইয়াং লিডার পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন এবং ফোর্বসের ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০ এশিয়া’ তালিকায় স্থান পেয়েছেন।[১]
আয়মান সাদিক | ||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||
জন্ম | আয়মান সাদিক ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ কুমিল্লা, বাংলাদেশ | |||||||||
জাতীয়তা | বাংলাদেশি | |||||||||
শিক্ষা | ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | |||||||||
পেশা |
| |||||||||
ওয়েবসাইট | aymansadiq | |||||||||
ইউটিউব তথ্য | ||||||||||
চ্যানেল | ||||||||||
কার্যকাল | ২০১৬– বর্তমান | |||||||||
ধারা |
| |||||||||
সদস্য | ২.৩২ মিলিয়ন | |||||||||
মোট ভিউ | ১৩,০৬,৮৮,০৬৪ | |||||||||
সহযোগী শিল্পী | টেন মিনিট স্কুল | |||||||||
| ||||||||||
২৪ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সদস্য এবং মোট ভিউ সংখ্যা হালনাগাদকৃত |
আয়মান সাদিক ১৯৯২ সালের ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেছেন।[২] ছাত্রজীবনে সাদিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বেশ কয়েকটিতে বিজয়ী হন। বিজ মায়েস্ট্রোজ, ব্র্যান্ডউইথ এবং ফিউচার লীডার লীগ উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতার মধ্যে অন্যতম।[৩] শিক্ষার প্রতি তার প্রাথমিক ঝোঁক তাকে গৃহশিক্ষক হতে পরিচালিত করেছিল, যা পরবর্তীতে তার শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।[৪]
আয়মান সাদিক বাংলাদেশের বৃহত্তম ইন্টারনেটভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষণীয় ভিডিও কন্টেন্ট প্রদান করে, যার মধ্যে টিউটোরিয়াল ভিডিও, কুইজ এবং সরাসরি পাঠদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সরাসরি ক্লাসে প্রতিদিন ২,৫০,০০০-এর অধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে।[৫] সাদিক জানিয়েছেন যে, তিনি বাংলাদেশে মানসম্পন্ন শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ও ভৌগলিক বাধা অতিক্রম করার জন্য টেন মিনিট স্কুল শুরু করেছিলেন এবং তার লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার জন্য একটি ওয়ান-স্টপ সলিউশন অর্থাৎ "সমন্বিত সমাধান" প্রদান করা।[৬] টেন মিনিট স্কুলের কাছে দেশজুড়ে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর জন্য ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষণীয় ভিডিও এবং মিথস্ক্রিয় পাঠ রয়েছে।[৭]
আয়মান সাদিককে শিক্ষা ও উদ্যোক্তা হিসেবে তাঁর অবদানের জন্য বিভিন্ন বৈশ্বিক মঞ্চে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বাংলাদেশে ই-লার্নিং প্রচারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে আইডিএলসি-প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার লাভ করেন।[৮] তিনি ২০১৮ সালে ফোর্বসের "৩০ অনূর্ধ্ব ৩০ এশিয়া" তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন, যেখানে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তরুণ উদ্ভাবক ও পরিবর্তন আনয়নকারীদের তুলে ধরা হয়।[৯] এছাড়াও তিনি ২০১৮ সালে কুইন্স ইয়াং লিডার পুরস্কার অর্জন করেন, যা কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অসাধারণ তরুণ নেতাদের সম্মানিত করে।[১০] অতিরিক্তভাবে, তাঁর প্রতিষ্ঠান টেন মিনিট স্কুল এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যালায়েন্স (এপিক্টা) পুরস্কার অর্জন করে, যা প্রায়শই অস্কার্স অব আইসিটি নামে পরিচিত, সর্বোত্তম ই-লার্নিং উদ্যোগ হিসেবে।[১১] তাঁর প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসে গ্লোমো পুরস্কারও অর্জন করেছে।
আয়মান সাদিকের সহধর্মিণী মুনজেরিন শহীদ, যিনি নিজেও শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু তৈরি করেন। তারা ২০২৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।[১২]
তিনি দুইটি বই লিখেছেন। একটি "নেভার স্টপ লার্নিং" যা অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৮ এর বেস্টসেলার। অন্যটি " স্টুডেন্ট হ্যাকস।"
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.