Remove ads
বাংলাদেশের কবি ও সাহিত্যিক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আবু হাসান শাহরিয়ার (জন্ম: ২৫ জুন ১৯৫৯ ) বাংলাদেশের একজন আধুনিক কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক। তিনি দৈনিক পত্রিকা আমাদের সময়-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক মুক্তকণ্ঠ ও দৈনিক যুগান্তর সহ বিভিন্ন পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক সাহিত্য পুরস্কার বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[১] কাব্য ছাড়াও তার অন্যতম গ্রন্থ প্রামাণ্য শামসুর রাহমান।
আবু হাসান শাহরিয়ার | |
---|---|
জন্ম | সিরাজগঞ্জ | ২৫ জুন ১৯৫৯
পেশা | কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
সময়কাল | স্বাধীনতা উত্তর |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | প্রামাণ্য শামসুর রাহমান |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৬) |
দাম্পত্যসঙ্গী | মনিরা কায়েস |
তার জন্ম ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে জুন রাজশাহীতে। পৈতৃক নিবাস কড্ডাকৃষ্ণপুর, সিরাজগঞ্জ।[২] তার বাবা শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ সিরাজউদ্দীন ছিলেন একজন উদ্ভিদবিজ্ঞানী ও সরকারী কলেজের অধ্যাপক।[৩] তিনি পিতা এবং মাতা লেখিকা রাবেয়া সিরাজ-এর একমাত্র পুত্র, পরিণয়সূত্রে কথাসাহিত্যিক মনিরা কায়েস তার জীবনী সঙ্গিনী।[৪] তার শৈশব কেটেছে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং ঢাকা শহরে। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এস এস সি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণ হবার পর চিকিৎসক হবার ইচ্ছা নিয়ে তিনি ১৯৭০-এর শেষভাগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্র তাকে বেশি দিন আকর্ষণ করে রাখতে পারেনি। তিনি এক বছর পড়ার পর মেডিক্যাল কলেজ চিরতরে পরিত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন এবং সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। কিছু দিনের মধ্যে তিনি প্রকাশনা ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এরপর প্রবেশ করেন সাংবাদিকতায়।[২]
শাহরিয়ার মূলত: একজন লেখক এবং সাংবাদিকতার জগতে তিনি প্রধানত সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে খ্যাতিমান। তিনি বেক্সিমকো গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত দৈনিক মুক্তকণ্ঠের সাহিত্য বিভাগ খোলা জানালার সম্পাদক হিসেবে বিশেষ সুনাম অর্জন করেন।[২] এছাড়া তিনি দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় দীর্ঘকাল সাহিত্য সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে আমাদের সময় পত্রিকায় সম্পাদক পদে যোগদানের আগেও তিনি এ পত্রিকাটিতে দীর্ঘকাল কাজ করেছেন।[২]
ব্যক্তিজীবনে স্পষ্টবাদী, দৃঢ়চেতা ও আপসহীন হলেও তিনি রোম্যান্টিক কবিতার জন্য বিখ্যাত। তার কবিতা গীতল এবং ছন্দোময়তার কারণে শ্রুতিমধুর। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, লিটল ম্যাগাজিন এবং সংকলন গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ অন্তহীন মায়াবী ভ্রমণ ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়।[৩] এই প্রকাশনার মধ্য দিয়ে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার ভূবনে দৃঢ়পদক্ষেপে প্রবেশ করেন। তার জীবনী, মিডিয়া, সাহিত্য ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে তিনি রচনা করেন সমাত্মজীবনী।[৩] তার বেশিরভাগ কবিতা দৃষ্টান্তবাদ-সমর্থিত। কবিতা তার মূল বিচরণ ক্ষেত্র হলেও তিনি কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ এবং সাহিত্যের অন্যান্য শাখায়ও মেধাবী অবদান রেখেছেন। তার গদ্য একইসঙ্গে স্বাদু এবং বিশ্লেষণধর্মী।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] দীর্ঘ ত্রিশ বছরের ঘনিষ্ঠতার সুবাদে তিনি কবি শামসুর রাহমানকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। এ নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আমরা একসাথে হেঁটেছিলাম নামের একটি বই। এতে রয়েছে দুই প্রজন্মের দুই কবির মধ্যে চিন্তা-ভাবনা বিনিময়মূলক সংলাপ।[৫]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.