Loading AI tools
রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, ১৯৭৭-১৯৮২ ঢাকা কর্পোরেশনের মেয়র উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আবুল হাসনাত (১৯৪০–১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের স্থায়ী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।[১] তিনি ঢাকার প্রথম মেয়র, সংসদ সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন।[২][৩]
ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত | |
---|---|
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ৩১ অক্টোবর ১৯৭৭ – ৯ মে ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্টি |
উত্তরসূরী | আব্দুল মালেক |
কাজের মেয়াদ ৩ ডিসেম্বর ১৯৯০ – ১২ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | নাজিউর রহমান মঞ্জু |
উত্তরসূরী | মির্জা আব্বাস |
বাংলাদেশের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ২৭ নভেম্বর ১৯৮১ – ১০ মে ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | জমির উদ্দিন সরকার |
উত্তরসূরী | আবদুল মান্নান সিদ্দিকী |
কাজের মেয়াদ ২০ অক্টোবর ১৯৯০ – ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | মোস্তফা জামাল হায়দার |
উত্তরসূরী | ওয়াহিদ উদ্দিন আহমেদ |
ঢাকা-৯ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | এম কোরবান আলী |
উত্তরসূরী | জমির উদ্দিন সরকার |
ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ – ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ | |
পূর্বসূরী | গাজী গোলাম মোস্তফা |
উত্তরসূরী | খান মোহাম্মদ ইসরাফিল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৪০ লালবাগ, ঢাকা |
মৃত্যু | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ লন্ডন, যুক্তরাজ্য |
সমাধিস্থল | আজিমপুর গোরস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জাতীয় পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | নাসরিন বেগম |
সন্তান | ২ |
পিতামাতা | গনি সর্দার (পিতা) |
ব্যারিস্টার হাসনাত ১৯৪০ সালে পুরান ঢাকা লালবাগে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা গনি সর্দার আজিমপুর ইউনিয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।[৪] তার স্ত্রী নাসরিন বেগম, এই দম্পতীর এক ছেলে রাজীব হাসনাত ও এক মেয়ে ফারাহ হাসনাত।[৪][৫]
আবুল হাসনাত কমিশনারদের দ্বারা ১৯৭৭-৮২ মেয়াদে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন।[৬][৭]
তিনি প্রথমে ১৯৭৮ সালে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন জাগো দলের ঢাকা মহানগরীর আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হলে যোগদান করে ঢাকা মহানগর দায়িত্ব নেন।[৭]
১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ত তৎকালীন ঢাকা-১৩ (ধানমন্ডি- লালবাগ) আসন হতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৮]
আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভায় তিনি ২৭ নভেম্বর ১৯৮১ থেকে ১০ মে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২][৯]
১৯৮২ সালে আব্দুস সাত্তার সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর সেনাশাসক এরশাদের সরকার তাকে বন্দী করে এবং মার্শা‘ল কোটে বিচার করে ১৪ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।[৭]
সামরিক শাসন প্রত্যাহার হলে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন চলে যান। ১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে আবার ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব নেন।[৭]
১৯৯০ সালে নভেম্বরের শেষ দিকে তিনি বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে ২৩ জুলাই ১৯৯০ সালে ঢাকা-৯ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য এম কোরবান আলীর মৃত্যু কারণে উপ-নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[১০][১১]
তিনি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় ২০ অক্টোবর ১৯৯০ থেকে ১৭ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২]
এবং আবার ঢাকার (তখন সরকার কর্তৃক মনোনীত) মেয়র হন। মাত্র দুই সপ্তাহ মেয়র থাকার পর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। তখন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে হাসনাতের লালবাগের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়। বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের তত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই তাকে আটক করা হয়। একটি দুর্নীতির মামলায় তার ৬ মাসের কারাদন্ড হয়।[৭]
১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আকস্মিকভাবেই আবার তিনি পুনরায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য হন এবং তৎকালীন ঢাকা-৮ (তৎকালীন লালবাগ-হাজারীবাগ-কামরাঙ্গীরচর) আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হাজী সেলিমের কাছে হেরে পরবর্তিতে রাজনীতিতে তিনি আর সক্রিয় ছিলেন না, আইন পেশায় ছিলেন।[৭]
আবুল হাসনাত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে লন্ডনে নিজের বাসায় স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় নিজের বাসায় মৃত্যুবরণ করেন। বার্ধ্যক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তাকে আজিমপুর কবরস্থানে তার পিতার কবরে সমাহিত করা হয়।[৪][৫]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.