Loading AI tools
বাংলাদেশী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, চলচ্চিত্র পরিচালক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৩ জুলাই ১৯৪২[1] - ২১ আগস্ট ২০০৮[2]) একজন প্রসিদ্ধ বাংলাদেশী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক, চলচ্চিত্র পরিচালক।[3]
আবদুল্লাহ আল মামুন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | আগস্ট ২১, ২০০৮ ৬৬) | (বয়স
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | স্নাতকোত্তর (ইতিহাস) |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যকার |
দাম্পত্য সঙ্গী | ফরিদা খাতুন (মৃত্যু: ১৯৮৪) |
পুরস্কার |
আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৪২ সালের ১৩ই জুলাই জামালপুরে আমলা পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুনের পৈতৃক নিবাস শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে। তার পিতা অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস এবং মাতা ফাতেমা খাতুন। তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে এম এ পাস করেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন তার পেশাগত জীবন শুরু করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রযোজক হিসেবে। পরবর্তীকালে পরিচালক, ফিল্ম ও ভিডিও ইউনিট (১৯৬৬-১৯৯১), মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমী (২০০১) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[4]
অসংখ্য নাটক রচনায় যেমন নিজের প্রতিভা আর শক্তির পরিচয় দিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, তেমনি নিজের অপরিমেয় ক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন তার নির্দেশনায় ও অভিনয়েও৷ তার রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে 'সুবচন নির্বাসনে', 'এখন দুঃসময়', 'সেনাপতি', 'এখনও ক্রীতদাস', 'কোকিলারা', 'দ্যাশের মানুষ', 'মেরাজ ফকিরের মা', 'মেহেরজান আরেকবার' ইত্যাদি৷ নাট্যসংগঠন থিয়েটার-এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। নাটকের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র, টিভি সিরিয়াল। শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস 'সংশপ্তক' নিয়ে ধারাবাহিক নাটকের পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে তিনি পান প্রবাদপ্রতিম খ্যাতি। তার নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে 'সারেং বৌ' (১৯৭৮), 'শখী তুমি কার', 'এখনই সময়', 'জোয়ারভাটা', 'শেষ বিকেলের মেয়ে। তার পরিচালিত সর্বশেষ চলচ্চিত্র দুই বেয়াইয়ের কীর্তি।[5]
আবদুল্লাহ আল মামুন যুদ্ধবিরোধী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ‘শপথ’ নামে নাটক রচনা করেন ১৯৬৪ সালে। তিনি এ নাটকটি রচনা করেন মূলত বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি সংসদের জন্য।[6] প্রসঙ্গত উল্লেখ করা দরকার যে, মামুন ‘শপথ’ রচনার আগে ‘নিয়তির পরিহাস’, ‘বিন্দু বিন্দু রং’ শীর্ষক দুটো মৌলিক নাটক ছাড়া ক্রিস্টোফার মার্লোর ‘ডক্টর ফস্টাস’ বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন।[7] এছাড়াও তিনি নাট্যনিরীক্ষা করতে গিয়ে ‘ঋতুরাজ’ শীর্ষক এক কাব্যনাটক রচনা করেছিলেন।[8]
নাটকের নাম | প্রকাশকাল | প্রথম মঞ্চায়ন[6] |
---|---|---|
সুবচন নির্বাসনে | ১৯৭৪ | ১৯৭৪ |
এখন দুঃসময় | ১৯৭৫ | ১৯৭৪ |
এবার ধরা দাও | ১৯৭৭ | ১৯৭৭ |
সেনাপতি | ১৯৮০ | ১৯৭৯ |
অরক্ষিত মতিঝিল | ১৯৮০ | ১৯৮২ |
চারিদিকে যুদ্ধ | ১৯৮৩ | ১৯৭৬ |
এখনও ক্রীতদাস | ১৯৮৪ | ১৯৮৩ |
দূরপাল্লা | ১৯৮৮ | ১৯৮৮ |
কোকিলারা | ১৯৯০ | ১৯৮৯ |
বিবিসাব | ১৯৯১ | ১৯৮৬ |
মাইক মাস্টার | ১৯৯৭ | ১৯৯৯ |
মেহেরজান আরেকবার | ১৯৯৮ | ১৯৯৭ |
তাঁর লিখিত উপন্যাস গুলো হচ্ছে -
আব্দুল্লাহ আল মামুন শিল্প ও সাহিত্যে অবদানের জন্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | টীকা |
---|---|---|---|
১৯৭৮ | প্রথম জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার | টিভি নির্মাতা | নাটক - সংশপ্তক |
বাচসাস পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পরিচালক | চলচ্চিত্র - সারেং বৌ | |
১৯৭৯ | বাংলা একাডেমী পুরস্কার | সাহিত্য | |
১৯৮০ | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পরিচালক | চলচ্চিত্র - এখনই সময় |
১৯৮২ | অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার | সাহিত্য | |
১৯৮৮ | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার | চলচ্চিত্র - দুই জীবন |
১৯৯১ | মুনীর চৌধুরী সন্মাননা | সাহিত্য | |
২০০০ | একুশে পদক | নাট্যকলা |
দীর্ঘ রোগভোগের পর ২১শে আগস্ট, ২০০৮ তারিখে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ফেলেছেন নাট্যামোদী মানুষের প্রিয় এই ব্যক্তি। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।[10]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.