শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
আবদুর রহমান বিন ফয়সাল
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
আবদুর রহমান বিন ফয়সাল আল সৌদ (১৮৫০–১৯২৮)[১] (আরবি: عبد الرحمن بن فيصل / ALA-LC: ‘Abd ar Raḥman bin Fayṣal) ছিলেন দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্রের শেষ শাসক। তিনি ফয়সাল বিন তুর্কির ছেলে এবং আধুনিক সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের বাবা।
Remove ads
গৃহযুদ্ধ
সারাংশ
প্রসঙ্গ
আবদুর রহমানের ভাই সৌদ ও আবদুল্লাহ ১৮৬৫ সালে ক্ষমতার লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিলেন।[২] ১৮৭১ সালে সৌদ রিয়াদ দখল করে নেয়ার পর আবদুর রহমান ও তার ভাই মুহাম্মদ তার সাথে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আবদুর রহমানকে উসমানীয়দের কাছ থেকে সাহায্য বিষয়ে আলোচনার জন্য বাগদাদে পাঠানো হয়েছিল তবে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। দুই বছর পর তিনি পূর্ব দিকের আল হাসা মরূদ্যান জয় করার চেষ্টা চালান তবে অভিযানে সফলতা আসেনি। এখানে এসময় আবদুল্লাহ অবস্থান করছিলেন। আবদুর রহমান রিয়াদ ফিরে যান। ১৮৭৫ সালে সৌদের মৃত্যুর পর আবদুর রহমানকে তার উত্তরসুরি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এক বছরের মধ্যে আবদুল্লাহ রিয়াদ দখল করে নেন। আবদুর রহমানকে ক্ষমতা ত্যাগ করতে হয়।
১৮৮৭ সালে সৌদ বিন ফয়সালের ছেলেরা আবদুল্লাহকে বন্দী করতে সক্ষম হন। হাইলের আল রশিদ আমিররা আবদুর রহমানে বিনিময়ে আবদুল্লাহর মুক্তি আদায় করতে সমর্থ হন। আবদুল্লাহকে হাইল নিয়ে যাওয়া হয় এবং একজন রশিদি আমির তাকে রিয়াদ শাসনের জন্য নিয়োগ দেন। ১৮৮৭ সালে একটি বিদ্রোহে আবদুর রহমানের উত্থান হয়। তিনি রিয়াদ দখল করেন। তবে সীমানা বৃদ্ধির জন্য তার চেষ্টা বিপর্যয় নিয়ে আসে। ১৮৮৯ সালে আবদুর রহমান আল সৌদের অবিসংবাদিত নেতা হলে তিনি পুনরায় রিয়াদ দখল করে নেন।[২] শেষপর্যন্ত সৌদি বাহিনী মুলায়দার যুদ্ধে পরাজিত হলে দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্রের পতন ঘটে এবং আবদুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।[২]
Remove ads
পরবর্তী সময় এবং মৃত্যু
আবদুর রহমানের পরিবার রাব আল খালি মরুভূমির দিকে মুরা বেদুইনদের এলাকায় চলে যান। পরে তারা বাহরাইনের আল খলিফা পরিবার ও চূড়ান্তভাবে কুয়েতের আল সাবাহ পরিবারের কাছে আশ্রয় লাভ করেছিলেন।[২] আবদুর রহমান কুয়েতে ওয়াহাবি মতাদর্শ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন।[৩]
১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের পর তিনি তার শাসন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা থেকে সরে আসেন।[১] পরের বছরগুলোতে তার ছেলে আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের গঠিত নতুন রাষ্ট্রে তিনি ইমাম হিসেবে সম্মানিত হতেন এবং দেশের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে বিবেচিত হতেন। অন্যদিকে আবদুল আজিজ শাসন ও সামরিক ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব দেন। ১৯২৮ আলে আবদুর রহমান রিয়াদে মারা যান।[৪]
Remove ads
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads