আবদুর রউফ (বিচারপতি)
সাবেক বিচারপতি ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ – ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫)[১] ছিলেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী ও বিচারপতি। তিনি অ্যাডভোকেট হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং তারপরে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। তারপরে তিনি আদালতের আপিল বিভাগের বিচারক হন। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বর্তমানে ফারিস্ট ইসলামিক লাইফ ইন্স্যুরেন্স কো লিমিটেড এবং প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শরিয়াহ উপদেষ্টা। তিনি জাতীয় শিশু সংগঠন ফুলকুঁড়ি আসরের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ | |
---|---|
![]() | |
বাংলাদেশের ৫ম প্রধান নির্বাচন কমিশনার | |
কাজের মেয়াদ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯০ – ১৮ এপ্রিল ১৯৯৫ | |
পূর্বসূরী | সুলতান হোসেন খান |
উত্তরসূরী | এ কে এম সাদেক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ময়মনসিংহ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪
মৃত্যু | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ৯১) | (বয়স
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | সরকারি কর্মচারী |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৪ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বৃত্তি পেয়ে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৫১ সালে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিকুলেশন, আনন্দ মোহন কলেজ থেকে আই, এস, সি ও বি, এস, সি ডিগ্রী; সরকারি বৃত্তি নিয়ে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,এড ও এম এ, ইন এডুকেশন ডিগ্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে এম,এ ও এল,এল,বি ডিগ্রী লাভ করেন।
কর্মজীবন
আবদুর রউফ জানুয়ারি ১৯৬২ সালে তদানীন্তন ঢাকা হাইকোর্টে আইন-ব্যবসায় নিয়োজিত হন। ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২৯ জানুয়ারি ১৯৮২ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি পদে থাকাকালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তাকে ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেন, তিনি বিচারপতি সুলতান হোসেন খানের স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন। ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনের পদ ত্যাগ করেন ও বিচারপতি এ কে এম সাদেক তার স্থলে স্থলাভিষিক্ত হন।
পরে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন ও জুন ১৯৯৫ সালে আপীল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসর’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি।[২]
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ হামদর্দ(ওয়াক্ফ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩]
মৃত্যু
তিনি ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.