আবদুর রউফ মজুমদার

উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আবদুর রউফ মজুমদার

আবদুর রউফ মজুমদার (জন্ম: ১ মার্চ,১৯৩০ - মৃত্যু: ৫ নভেম্বর, ১৯৯৫) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। []

দ্রুত তথ্য আবদুর রউফ মজুমদার, জন্ম ...
আবদুর রউফ মজুমদার
Thumb
জন্ম০১ মার্চ,১৯৩০
পরশুরাম, ফেনী
মৃত্যু৫ নভেম্বর, ১৯৯৫
পরশুরাম, ফেনী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পরিচিতির কারণবীর প্রতীক
সন্তান০৪ ছেলে ও ০৩ মেয়ে
বন্ধ

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

আবদুর রউফ মজুমদার,তিনি ০১ মার্চ ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের জঙ্গলঘোনা গ্রামে। তার বাবার নাম আনু মিয়া মজুমদার এবং মায়ের নাম ফজিলাতুন নেছা। তিনি ১৯৫০ সালে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। তার স্ত্রীর নাম শামসুন নাহার। তাদের চার ছেলে ও তিন মেয়ে। []

কর্মজীবন

১৯৭১ সালে ইপিআর বাহিনীর নায়েক সুবেদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আবদুর রউফ মজুমদার। সে সময়ে তিনি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সীমান্ত এলাকায় কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম ইপিআরের হেডকোয়ার্টার্সে অ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন রফিকের বার্তা পেয়ে তিনি এক প্লাটুনেরও বেশি ইপিআর সৈনিক নিয়ে ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম শহরের ওয়াপদা গেস্ট হাউসে অবস্থানরত ইপিআর সৈনিকদের সঙ্গে মিলিত হন। পরে তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। সুস্থ হওয়ার পর আবদুর রউফ মজুমদার আবার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টর এলাকায়। বিলোনিয়া, মুন্সিরহাট, ফুলগাজীসহ আরও কয়েক স্থানে তিনি যুদ্ধ করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা

সারাংশ
প্রসঙ্গ

ইপিআর বাহিনীর নায়েক সুবেদার আবদুর রউফ মজুমদার ১৯৭১ সালে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় সীমান্ত এলাকায় কর্মরত ছিলেন। চট্টগ্রাম ইপিআরের হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন রফিকের বার্তা পেয়ে তিনি এক প্লাটুনেরও বেশি ইপিআর সৈনিক নিয়ে ২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম শহরের ওয়াপদা গেস্ট হাউসে অবস্থানরত ইপিআর সৈনিকদের সঙ্গে মিলিত হন। পরে তারা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন।

 ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ। ভোরবেলা। আবদুর রউফ মজুমদারের নেতৃত্বে একদল ইপিআর (স্বাধীনতার পরে বিডিআর, এখন বিজিবি) সৈনিক পাকিস্তানি সেনাদের অগ্রাভিযান রোধ করতে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল আটটায় তারা পাকিস্তানি বাহিনীর মুখোমুখি হন। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। লড়াই চলে টানা তিন ঘণ্টা। এই যুদ্ধে তারা সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তাদের পক্ষে পাকিস্তানিদের অগ্রাভিযান রোধ করা সম্ভব হয়নি। সেদিন যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর চারজন শহীদ ও আবদুর রউফ মজুমদারসহ দুজন আহত হন।শরীরে ১১টি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সহযোদ্ধারা তাকে উদ্ধার করে ফেনীতে নিয়ে যান। ফেনী তখন মুক্ত ছিল। পরে তিনি ভারতে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন।
 সুস্থ হওয়ার পর আবদুর রউফ মজুমদার আবার মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। তিনি পরে যুদ্ধ করেন ২ নম্বর সেক্টরের রাজনগর সাব-সেক্টর এলাকায়। বিলোনিয়া, মুন্সিরহাট, ফুলগাজীসহ আরও কয়েক স্থানে তিনি যুদ্ধ করেছেন। []

পুরস্কার ও সম্মাননা

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.