বাংলাদেশী আলোকচিত্রী ও চিত্রগ্রাহক উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আনোয়ার হোসেন (৬ অক্টোবর ১৯৪৮ – ১ ডিসেম্বর ২০১৮) ছিলেন বাংলাদেশের একজন আলোকচিত্রী, চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাফার।[১] বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে চিত্রগ্রহণে অবদানের জন্য তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
আনোয়ার হোসেন | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১ ডিসেম্বর ২০১৮ ৭০) ঢাকা, বাংলাদেশ | (বয়স
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ ফ্রান্স |
মাতৃশিক্ষায়তন | বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | আলোকচিত্রী এবং চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাফার |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডলি আনোয়ার (বি. ১৯৭৯; মৃ. ১৯৯১) মরিয়ম হোসেন (বি. ১৯৯৩) |
সন্তান | ২ |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৫ বার) |
আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ৬ অক্টোবর[২] পুরোন ঢাকার[১] আগানবাব দেউড়িতে। তার বাবা কাজ করতেন সিনেমা অফিসে। শৈশবে তিনি দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ালেখা চালিয়ে যান।[২] ১৯৬৫ সালে আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি নটরডেম কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৬৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩] ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের উপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভারতের পুনা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।
১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে মাত্র দুই ডলার (সমমান ৩০ টাকা) দিয়ে কেনা প্রথম ক্যামেরা দিয়ে তার আলোকচিত্রী জীবনের শুরু।[৪] প্রথম সাত বছর ধার করা ক্যামেরা আর চলচ্চিত্রের ধার করা ফিল্ম দিয়ে তিনি কাজ করেন। ঐ ফিল্মগুলো ছিল সাদাকালো। তিনি ৩৬ টাকা ব্যয়ে রঙিন ছবি তোলা শুরু করেন ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে। পরবর্তি ২০ বছর আলোকচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আবিষ্কারের চেষ্টা করেছেন।[১]
১৯৯১ সালে তার প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী ডলি আনোয়ার[৫] মারা যাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন ফ্রান্সে স্থানান্তরিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি এক ফরাসি নারীকে বিয়ে করেন এবং তাদের দুই পুত্র রয়েছে।
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।[৪][৬][৭][৮]
কর্মজীবনে তিনি অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। ছোটবেলায়ই পরপর দুবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন ছবি এঁকে।[২]
আনোয়ার হোসেনের আলোকচিত্রের সংকলন বেরিয়েছে এযাবৎ তিনটি:
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.