আনোয়ারুল আজীম

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আনোয়ারুল আজীম

মোঃ আনোয়ারুল আজীম আনার (৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ — ১৩ মে ২০২৪)[১] ছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার একজন রাজনীতিবিদ। ২০১৪ সাল থেকে তিনি পরপর তিন বার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[২][৩]

দ্রুত তথ্য আনোয়ারুল আজীম, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ...
আনোয়ারুল আজীম
Thumb
ঝিনাইদহ-৪ আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
৫ জানুয়ারি ২০১৪  ২২ মে ২০২৪
পূর্বসূরীআব্দুল মান্নান
উত্তরসূরীশূন্য
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমো: আনোয়ারুল আজীম (আনার)
(১৯৬৮-০১-০৩)৩ জানুয়ারি ১৯৬৮
নিশ্চিন্তপুর গ্রাম, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ, পাকিস্তান,
বর্তমানে বাংলাদেশ
মৃত্যু১৩ মে ২০২৪(2024-05-13) (বয়স ৫৬)
সঞ্জিবা গার্ডেন, নিউটাউন, কলকাতা
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
সন্তানদুই মেয়ে
ডাকনামআনার
বন্ধ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

মো: আনোয়ারুল আজীমের জন্ম ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ বাজার এলাকার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে। তিনি কালীগঞ্জ সরকারি ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন।

আনার বিবাহিত এবং তার দুই মেয়ে রয়েছে। ছোট মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

কর্মজীবন

আনোয়ারুল ব্যবসায়ী ছিলেন। একসময়ের ফুটবল খেলোয়াড়।

রাজনৈতিক জীবন

১৯৮৮ সালে তৎকালীন বিএনপিনেতা ও পরে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯২ সালে কালীগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হলে আনোয়ারুল আজিম বিএনপি নেতা হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে আবদুল মান্নান বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তখন আনোয়ারুল আজীমও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তারা দুজনই এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।[৪][৫]

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে আনোয়ারুল আজীম ভারতে চলে যান। সেখানে দীর্ঘদিন অবস্থানকালে তিনি ২০০৪ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।[৪]

তিনি ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৫]

সর্বশেষ তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।[৫][৫][৬]

সমালোচনা

আনারের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল।[৭][৮]

আনোয়ারুল আনার ১৯৮৬ সালের দিকে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে আনার মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। ভারতের বাগদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের বাঘাভাঙ্গা সীমান্ত পথে চোরাচালান করতেন। এই মাদক কারবারের মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্তের মালিকও বনে যান।[৫][৮]

১৯৯১ সালে আনার ঝিনাইদহের আরেক চোরাকারবারি পরিতোষ ঠাকুরের সঙ্গে মিলে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৬ সালে আনার বিএনপি থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তখন মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালানের কারবারের সঙ্গে অস্ত্র চোরাকারবারে জড়ান।[৫][৮][৯]

মৃত্যু

আজীম ২০২৪ সালের ১২ মে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। ২০ মে পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।[১০] ২২ মে সকালে কলকাতার নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে তার শরীরের কিছু অংশ উদ্ধার হয়।[১১] তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ১৩ মে নিউটাউনের সেই বাড়িটিতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।[১২]

তথ্যসূত্র

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.