শীর্ষ প্রশ্ন
সময়রেখা
চ্যাট
প্রসঙ্গ
আদ্রিয়ান বারাথ
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
Remove ads
আদ্রিয়ান বরিস বারাথ (ইংরেজি: Adrian Barath; জন্ম: ১৪ এপ্রিল, ১৯৯০) ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর কারোনি কাউন্টির চাগুয়ানাস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি।
Remove ads
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাবের পক্ষে খেলেছেন আদ্রিয়ান বারাথ।
Remove ads
প্রারম্ভিক জীবন
ব্রায়ান লারা’র প্রতিচ্ছবি তার মাঝে লক্ষ্য করা যায়।[১] ১৬ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে অভিষেক ঘটে। এরফলে রামনরেশ সারওয়ানের সর্বকনিষ্ঠের কৃতিত্ব ম্লান হয়ে যায়। উদ্বোধনী খেলায় গায়ানার বিপক্ষে ৭৩ রান তুলেন ও অধিনায়ক ড্যারেন গঙ্গা’র সাথে ১৭০ রানের জুটি গড়েন। এরফলে তারা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। দ্বিতীয় খেলায় নিজস্ব প্রথম শতরান করেন। এরফলে ১৯৪৭ সালেব্রুস পেয়ারডু’র পর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিবীয় ক্রিকেটে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন। পরের খেলাতেই নিজস্ব দ্বিতীয় শতরান করেন।[১]
২০০৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। জানুয়ারি, ২০০৯ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের সদস্যরূপে ১৩২ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস উপহার দেন। ২০০৯ সালে এয়ারটেল চ্যাম্পিয়ন্স লীগ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টি২০ অভিষেক ঘটে তার। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সদস্যরূপে ডায়মন্ড ঈগলসের বিপক্ষে ৪১ বলে ৬৩ রান তুলেন।
Remove ads
খেলোয়াড়ী জীবন
২৬ নভেম্বর, ২০০৯ তারিখে গাব্বায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ঐ খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেন।[২] প্রথম ইনিংসে ১৫ রান তুলে বিদায় নিলেও ফলো-অনে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রান তুলেন। ডোয়েন স্মিথের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির পর তার এ সেঞ্চুরিটি দ্বিতীয় ছিল। ১৯ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে এ সেঞ্চুরি করার ফলে জর্জ হ্যাডলির রেকর্ডটি ভেঙ্গে ফেলেন তিনি।[২]
৪ মার্চ, ২০১০ তারিখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় তার। ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ১৫-সদস্যের ওয়েস্ট দলের অন্যতম সদস্য হন। কিন্তু, ডানহাতে আঘাত পেলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। ডেভন স্মিথ তার স্থলাভিষিক্ত হন। তিন সপ্তাহ পর[৩] আরোগ্য লাভ করলেও দুই মাস পর আবারও খেলা থেকে বিরত থাকতে হয় তাকে।[৪] ২০১১ সালের জুনে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ-ওডিআইয়ের সিরিজের চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিয়ে দলে প্রত্যাবর্তন করেন।[৫]
তিন টেস্টের সিরিজে বারাথ ক্রেগ ব্রাদওয়েটের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন।[৬] ত্রিনিদাদ ও টোবাগো টুয়েন্টি২০ উৎসবে খেললেও বারাথকে টেস্ট সিরিজে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনুশীলনীর অভাব ও স্লিপের দিকে ব্যাটিং করার মানসিকতায় তাকে মাসুল গুণতে হয়।[৭] ছয় ইনিংসে তিনি ১৫০ রান তুলেন।[৮]
Remove ads
বাংলাদেশ গমন
সারাংশ
প্রসঙ্গ
অক্টোবর, ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাংলাদেশ সফরে যায়। সিরিজের প্রথম ওডিআইয়ে বারাথ হাতে আঘাত পান ও সফরের বাদ-বাকী খেলায় আর অংশ নিতে পারেননি। তার পরিবর্তে ঝরঝরে মেজাজে থাকা লেন্ডল সিমন্স খেলেন।[৯] পরের মাসে ভারত সফরে দলের সদস্য হন। সিমন্সের পরিবর্তে তিনি দলে অন্তর্ভুক্ত হন।[১০] দুই ওডিআইয়ে ১৭ রান তুলেন।[১১] তবে, টেস্ট সিরিজে বেশ সফল হন। দুই খেলায় দুই অর্ধ-শতকসহ ১২৮ রান তুলেন তিনি।[১২] আঘাতের কারণে শিবনারায়ণ চন্দরপল তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্ট খেলতে পারেননি। ফলশ্রুতিতে ধারণা করা হয় যে, অভিজ্ঞতাবিহীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং স্তম্ভ সমূহ সঙ্কটের মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় বারাথ ব্রাদওয়েটের সাথে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৩৭ রানে জুটি গড়েন। ২০০৬ সালের পর প্রথম ইনিংসে এটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল।[১৩]
মার্চ, ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায়। দলটি পাঁচ ওডিআই ও তিন টেস্ট খেলে। আঙ্গুলের আঘাতের ফলে বারাথকে প্রথম তিন ওডিআইয়ের বাইরে অবস্থান করতে হয়। তবে, আঞ্চলিক চারদিনের প্রতিযোগিতায় ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পক্ষে গায়ানার বিপক্ষে ১১৪ রানের মাধ্যমে নিজের শারীরিক সুস্থতার পরিচয় দিয়ে শেষ দুই খেলায় আহুত হন। তিন খেলায় বিশ রান করা সতীর্থ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কিরণ পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।[১৪]
তিন টেস্ট সিরিজের সবকটিতে অংশ নিয়ে বারাথ ৬৫ রান তুলেন।[১৫] কেবলমাত্র বারাথই অস্ট্রেলীয় বোলারদের বিপক্ষে প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হননি। অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি মন্তব্য করেন যে, পরিসংখ্যান মিথ্যা তথ্য তুলে ধরেনি। আমাদের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানগণ অস্ট্রেলিয়াকে রুখে দিতে পারেনি। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী আদ্রিয়ান বারাথ ও কিরণ পাওয়েলের উপর আস্থা রেখেছিলেন। তারা এখনও তরুণ, তারা এখনও শিখছে। হ্যাঁ, তারা মাঝে-মধ্যেই ব্যর্থ হয়েছে। তবে সেখানে একটি বিষয় রয়েছে যা আমরা করতে পারিনি ও দেয়ার মানসিকতা ছিল না।[১৬]
মে, ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ড গমন করে। ছন্দ হারিয়ে ফেললেও বারাথ, পাওয়েল ও কির্ক এডওয়ার্ডস - এ তিন শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানকে দলে রাখা হয় ও ইংরেজ পরিবেশে খুব কমই অভিজ্ঞতা ছিল দলটির এবং প্রতিকূলতার মুখোমুখির বিষয়টি প্রত্যাশিত ছিল।[১৭] জানুয়ারি, ২০০৮ থেকে মে, ২০১২ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটির গড় ছিল ২৮.৮৩ যা দশটি টেস্ট দলের মধ্য দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।[১৮]
Remove ads
তথ্যসূত্র
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
Wikiwand - on
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Remove ads