আজাদ রহমান

বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ও সঙ্গীতশিল্পী উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আজাদ রহমান

আজাদ রহমান (১ জানুয়ারি ১৯৪৪ - ১৬ মে ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালকসঙ্গীতশিল্পী। পাশাপাশি তিনি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও খেয়াল গানের চর্চা করেতেন।[১] বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের গানে অবদানের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[২]

দ্রুত তথ্য আজাদ রহমান, জন্ম ...
আজাদ রহমান
Thumb
জন্ম(১৯৪৪-০১-০১)১ জানুয়ারি ১৯৪৪
মৃত্যু১৬ মে ২০২০(2020-05-16) (বয়স ৭৬)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
শিক্ষাসঙ্গীত
মাতৃশিক্ষায়তনরবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
পেশা
পরিচিতির কারণসঙ্গীতজ্ঞ
পুরস্কারজাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
সঙ্গীত কর্মজীবন
ধরন
  • চলচ্চিত্রের গান
  • ফোক
  • খেয়াল
  • উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত
  • রাগ
বাদ্যযন্ত্র
বন্ধ

প্রাথমিক জীবন

আজাদ রহমান ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার নওয়াদা গ্ৰামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের রবীন্দ্র ভারতী কলেজ থেকে খেয়ালে অনার্স সম্পন্ন করেন।[৩] রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন তিনি ফোক গান, কীর্তন, ধ্রুপদী সঙ্গীত, খেয়াল, টপ্পা গান, তুমড়ি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, অতুল প্রসাদের গান, দিজেন্দ্র গীতি, রজনী কান্তের গান চর্চা করেন। একই সময়ে তিনি একজন খ্রিস্টান পুরোহিতের কাছ থেকে পিয়ানো বাজানো শেখেন।[৪]

আজাদ রহমান পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।[১]

সঙ্গীত জীবন

আজাদ রহমানের চলচ্চিত্রে আগমন ১৯৬৩ সালে কলকাতার মিস প্রিয়ংবদা চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে। সেই চলচ্চিত্রে তার সুরে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জিপ্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার সুরকৃত প্রথম চলচ্চিত্র বাবুল চৌধুরীর আগন্তুক[৩] তার সুরকৃত ও তার নিজেরই কণ্ঠে গাওয়া এপার ওপার চলচ্চিত্রের "ভালবাসার মুল্য কত", ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের "কারো মনে ভক্তি মায়ে", দস্যু বনহুর চলচ্চিত্রের "ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়" গানগুলো সত্তরের দশকে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি 'জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো'-এর মত উল্লেখযোগ্য দেশাত্মবোধক গানের সুর করেছিলেন।[৫]

ব্যক্তিগত জীবন

আজাদ রহমান ২০২০ সালের ১৬ মে হৃদরোগে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৬]

চলচ্চিত্রের গান

আরও তথ্য বছর, চলচ্চিত্র ...
বছর চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালক সুরকার গীতিকার কণ্ঠশিল্পী
১৯৬৭মিস প্রিয়ংবদা[৭]হ্যাঁহ্যাঁ
১৯৬৯আগন্তুকহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৭৩রাতের পর দিনহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৭৪মাসুদ রানাহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৭৫বাদী থেকে বেগমহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
এপার ওপারহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
মাস্তানহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৭৬আগুনহ্যাঁহ্যাঁ
দস্যু বনহুরহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
মায়ার বাঁধনহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৭৭অনন্ত প্রেমহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
যাদুর বাঁশিহ্যাঁহ্যাঁ
মতিমহলহ্যাঁহ্যাঁ
কুয়াশাহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৭৮ডুমুরের ফুলহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৭৯দি ফাদারহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৮৩নতুন বউহ্যাঁহ্যাঁ
আমার সংসারহ্যাঁহ্যাঁ
মায়ার সংসারহ্যাঁহ্যাঁ
পাগলা রাজাহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৯৩চাঁদাবাজহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
১৯৯৪দেশপ্রেমিকহ্যাঁহ্যাঁ
বন্ধ

পুরস্কার ও সম্মাননা

  • জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
    • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সুরকার - যাদুর বাঁশি (১৯৭৭)
    • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক - চাঁদাবাজ (১৯৯৩)
    • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পী - চাঁদাবাজ (১৯৯৩)
  • সংস্কৃতি কেন্দ্র আজীবন সম্মননা পুরস্কার - ২০১৬[৮]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.