Loading AI tools
ইসলামি পবিত্র দিন উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আখেরি চাহার সোম্বা হলো ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইরানের ইসলাম[1] ধর্মাবলম্বীদের একটি পবিত্র দিবস।[2] আখেরি চাহার সোম্বা একটি আরবি ও ফারসি শব্দ-যুগল; এর আরবি অংশ আখেরি, যার অর্থ “শেষ” এবং ফারসি অংশ চাহার সোম্বা, যার অর্থ “বুধবার”।[3]
আখেরি চাহার সোম্বা | |
---|---|
পালনকারী | ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশী, আফগানিস্তানি ও ইরানি মুসলিম[1] |
তাৎপর্য | মুহাম্মাদের সাময়িক সুস্থতা |
পালন | নফল নামায, দান, দোয়া |
তারিখ | সফর মাসের শেষ বুধবার |
সংঘটন | বার্ষিক |
১১ হিজরির শুরুতে মুহাম্মদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। ২৮ সফর বুধবার তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার।[4]
এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় তিনি গোসল করেন এবং শেষবারের মতো নামাজে ইমামতি করেন। মদিনাবাসী এই খবরে জানতে পারে[4] এবং দলে দলে এসে উনাকে দেখতে আসেন।[5] সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা, ধন্যবাদান্তে নামাজ আদায় ও দোয়া করেন।[4] নবির রোগমুক্তিতে অনুসারীদের কেউ কেউ খুশিতে নিজেদের দাস মুক্ত ও অর্থ বা উট দান করেন।[4] দিনটিতে আবু বকর ৫ হাজার দিরহাম, উমর ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলি ৩ হাজার দিরহাম এবং আবদুর রহমান ইবনে আউফ ১০০ উট দান করেন।[5]
ধর্ম-তত্ত্ববিদগণের মধ্যে এই দিবসটি পালন করা নিয়ে মতভেদ থাকলেও কিছু নির্দিষ্ট বিধি-বিধানের আলোকে এই দিবস পালন করা হয়।[5][6] দিবসটি মূলত ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসেবে পালিত হয়; যাতে সাধারণত গোসল করে দু’রাকাত শোকরানা-নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া ও দান-খয়রাত করা হয়।[2] বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, দরবার, খানকায় ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আজকার, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এই দিনটি পালন উপলক্ষে। এদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ রাখার পাশাপাশি অফিস-আদালতে ঐচ্ছিকভাবে ছুটির দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।[5]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.