আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপ

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট প্রতিযোগিতা উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ

আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপ (ইংরেজি: ICC Intercontinental Cup) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্রিকেট উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতাআইসিসি’র সহযোগী সদস্যদের একই মানের দলের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি ও টেস্ট ক্রিকেট মর্যাদা প্রাপ্তিতে সহযোগিতার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষেত্রভেদে এ প্রতিযোগিতায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ৮ থেকে ১৪টি সহযোগী দেশ অংশগ্রহণ করে।

দ্রুত তথ্য আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপ, ব্যবস্থাপক ...
আইসিসি আন্তর্মহাদেশীয় কাপ
ব্যবস্থাপকআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
খেলার ধরনপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
প্রথম টুর্নামেন্ট২০০৪
শেষ টুর্নামেন্ট২০১৫-১৭
প্রতিযোগিতার ধরনরাউন্ড-রবিননক-আউট
দলের সংখ্যাবিবিধ
(সর্বোচ্চ ১৪)
(বর্তমানে ৮)
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আফগানিস্তান (২য় শিরোপা)
সর্বাধিক সফল আয়ারল্যান্ড (৪টি শিরোপা)
সর্বাধিক রান স্টিভ টিকোলো (১,৯১৮)[]
সর্বাধিক উইকেট ট্রেন্ট জনস্টন (৮১)[]
বন্ধ

অক্টোবর ২০১৮-এ, আইসিসি টুর্নামেন্টের পূর্ববর্তী সংস্করণগুলিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলগুলির কাছ থেকে আগ্রহ প্রকাশের জন্য একটি আবেদনপত্র জারি করে।[] যাইহোক, যেহেতু তারপর থেকে নতুন সংস্করণ সংক্রান্ত আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তাই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।[][] এপ্রিল ২০২১-এ, আইসিসি একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) স্ট্যাটাস যুক্ত সহযোগী সদস্যদের মধ্যে এবং টেস্ট দলের মধ্যে বহু-দিনের ম্যাচের (প্রথম-শ্রেণী বা টেস্ট) সম্ভাবনা দেখেছিল যারা আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়।[]

ইতিহাস

আইসিসি আন্তঃমহাদেশীয় কাপের উদ্বোধনী আসরের শেষ খেলা ২২ নভেম্বর, ২০০৪ তারিখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় অনুষ্ঠিত হয়।[] চূড়ান্ত খেলায় স্কটল্যান্ড ইনিংস ও ৮৪ রানের ব্যবধানে কানাডাকে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা জয় করে। চারটি ভৌগোলিক অঞ্চল থেকে ১২ দলের অংশগ্রহণ ঘটে। চারটি গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত ৩টি দল একে-অপরের বিপক্ষে একবার প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় অবতীর্ণ হয়। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষদল সেমি-ফাইনালে উত্তরণ ঘটায় ও বিজয়ী দুই দল ফাইনালে খেলার সুযোগ পায়। প্রতিযোগিতামূলক খেলায় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বোনাস পয়েন্ট ব্যবস্থা রাখা হয়।

জানুয়ারি, ২০১৪ সালে ভারত, অস্ট্রেলিয়াইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডগুলো এক জোট হলে আইসিসি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় যে, প্রতিযোগিতার বিজয়ী দল টেস্টভূক্ত দেশগুলোর র‌্যাঙ্কিংয়ে সর্বনিম্নস্থান অধিকারী দলের বিপক্ষে ৪ টেস্ট খেলার সুযোগ লাভ করবে।[] কোন কারণে জয়লাভ করতে পারলে দলটি টেস্টভূক্ত দলের মর্যাদা পাবে।

দলীয় রেকর্ড

আসর ভিত্তিক

আরও তথ্য সাল, বিজয়ী ...
বন্ধ

দলসমূহের পারফরম্যান্স

আরও তথ্য সংকেত ...
সংকেত
  • × = অংশগ্রহণ করেনি
  • • = চ্যালেঞ্জ ম্যাচে পরাজিত
বন্ধ
আরও তথ্য দল, ২০০৪ ...
দল ২০০৪ ২০০৫ ২০০৬/০৭ ২০০৭/০৮ ২০০৯/১০ ২০১১/১৩ ২০১৫/১৭
 আফগানিস্তান × × × × ১ম ২য় ১ম
 বারমুডা গ্রুপ সেমি গ্রুপ ৮ম ১১শ × ×
 কানাডা ২য় গ্রুপ ২য় ৭ম ৭ম ৬ষ্ঠ ×
 কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ × গ্রুপ × × × × ×
 হংকং × গ্রুপ × × × × ৪র্থ
 আয়ারল্যান্ড গ্রুপ ১ম ১ম ১ম ৪র্থ ১ম ২য়
 কেনিয়া সেমি ২য় গ্রুপ ৩য় ৫ম ৭ম ×
 মালয়েশিয়া গ্রুপ × × × × × ×
 নামিবিয়া গ্রুপ গ্রুপ গ্রুপ ২য় ৮ম ৫ম ৮ম
 নেদারল্যান্ডস গ্রুপ গ্রুপ গ্রুপ ৫ম ৬ষ্ঠ ৮ম ৩য়
   নেপাল গ্রুপ গ্রুপ × × × ×
 পাপুয়া নিউগিনি × × × × × × ৭ম
 স্কটল্যান্ড ১ম গ্রুপ গ্রুপ ৪র্থ ২য় ৩য় ৬ষ্ঠ
 উগান্ডা গ্রুপ গ্রুপ × × ১০ম × ×
 সংযুক্ত আরব আমিরাত সেমি সেমি গ্রুপ ৬ষ্ঠ ৯ম ৪র্থ ৫ম
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রুপ × × × × × ×
 জিম্বাবুয়ে একাদশ × × × × ৩য় × ×
বন্ধ

সর্বকালের পয়েন্ট তালিকা

উৎস: ইএসপিএন ক্রিকইনফো

আরও তথ্য দল, অংশগ্রহণ ...
দল অংশগ্রহণ বিজয়ী খে হা ড্র জয়%
 আয়ারল্যান্ড ৩৯২৫১১৬৪.১%
 স্কটল্যান্ড ৩৩১১১৪৩৩.৩%
 নেদারল্যান্ডস ৩৩১৬১০২১.২%
 নামিবিয়া ৩৪১৫১৪৪৪.১%
 কেনিয়া ২৮১২৩২.১%
 সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৪১৪১২২৬.৫%
 কানাডা ২৯১৮২০.৭%
 বারমুডা ১৫১১১৬.৭%
 আফগানিস্তান ২২১৭৭৭.৩%
   নেপাল ৪০%
 উগান্ডা ২৮.৬%
 হংকং ২৫%
 জিম্বাবুয়ে একাদশ ৬০%
 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫০%
 পাপুয়া নিউগিনি ২৮.৬%
 মালয়েশিয়া ০%
 কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জ ০%
বন্ধ

আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ড

২০০৯ সালে একটি দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা, আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ড, ২০০৯ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৭ম থেকে ১০ম স্থানে থাকা চারটি দলের জন্য চালু করা হয়েছিল। ম্যাচগুলো প্রথম-শ্রেণীর এবং নিয়ম ও পয়েন্ট পদ্ধতি আন্তর্মহাদেশীয় কাপের মতোই। আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ডে সর্বশেষ ও একমাত্র আসরের দলগুলো হলো বারমুডা, নামিবিয়া, উগান্ডা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্মহাদেশীয় শিল্ড শেষ হওয়ার পর আইসিসি ঘোষণা করে যে এটি শিল্ড প্রতিযোগিতা বাতিল করবে এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমের ৮ দলের ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ ফরম্যাটে ফিরে আসবে। ফাইনালে নামিবিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে শিরোপা জয়লাভ করে।

আরও তথ্য বছর, বিজয়ী ...
বছর বিজয়ী রানার্স-আপ
২০০৯–১০  নামিবিয়া  সংযুক্ত আরব আমিরাত
বন্ধ

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Loading related searches...

Wikiwand - on

Seamless Wikipedia browsing. On steroids.