Loading AI tools
উইকিপিডিয়া থেকে, বিনামূল্যে একটি বিশ্বকোষ
আইডিইএফ হল আইসিএএম ডেফিনিশন এর সংক্ষিপ্ত রূপ,যাকে ১৯৯৯ এ ইন্টিগ্রেটেড ডেফিনিশন নাম দেয়া হয়।[2] এর মাধ্যমে মূলত ব্যবস্থা ও সফটওয়্যার প্রকৌশল এর ক্ষেত্রে মডেলিং ভাষা বুঝানো হয়।এটি মূলত বিশাল ক্ষেত্র জুড়ে থাকে,ক্রিয়ামূলক মডেলিং থেকে তথ্য নকল,অব্জেক্ট অরিয়েন্ট বিশ্লেষণ/নকশা এবং জ্ঞানার্জন।এই "ডেফিনিশন ভাষা" ইউ এস এয়ার ফোর্স এর ফান্ড থেকে তৈরী হয়েছে এবংং তারাই এটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে,অন্যান্য মিলিটারি ক্ষেত্র এবং ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অফ ডিসেন্স এর গন ডোমেন এর ক্ষেত্রেও। আইডিএফ পরিবারের সর্বাধিক পরিচিত সদস্য হল আইডিইএফ০,এমন একটি ক্রিয়ামূলক মডেলিং ভাষা যা এসএডিটি আও আইডিইএফ1এক্স দ্বারা তৈরি।যা তথ্য মডেল ও ডাটাবেজ নকশা দেখায়।
আইডিইএফ একটি মডেলিং ভাষার পরিবার যা ক্রিয়ামূলক মডেলিং থেকে তথ্য নকল, অব্জেক্ট অরিয়েন্ট বিশ্লেষণ/নকশা এবং জ্ঞানার্জন পর্যন্ত তথ্য রাখে।
১৯৯০ এর দিকেআইডিইএফ0, আইডিইএফ1এক্স, আইডিইএফ2, IDEF3 এবং আইডিইএফ4 এর উন্নয়ন করা হয়।[10] অন্য আইডিইএফ তত্ত্বগুলোর কিছু প্রারম্ভিক নকশা থাকতে পারে।কিছু শেষ প্রচেষ্টা হল ১৯৯৫ সালে বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতি তৈরি হয় ব্যবসায়িক সীমাবদ্ধতার আবিষ্কার IDEF9, IDEF6, মনুষ্য ব্যবস্থা, মিথষ্ক্রিয়া ব্যবস্থা IDEF8, এবং নেটওয়ার্ক নকশা IDEF14.[1]
আইডিইএফ 7, আইডিইএফ10, আইডিইএফ11, আইডিইএফ12 and আইডিইএফ13 এগুলোর প্রাথমিক অবস্থার পর আর উন্নয়নও করা হয়নি।[11]
আইডিএএফ, আইসিএএম ডেফিনিশন এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যা ১৯৭০ সালে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী পদার্থ বিজ্ঞানাগার, ওহিওর রাইট-পিটারসেন বিমান বাহিনীর ডেনিস উইজনোস্কাই, ড্যান শ্যাঙ্ক এবং অন্যান্যরা মিলে তৈরি শুরু করে [12] ও ১৯৮০ তে শেষ করে। আইসিএএম ইন্টিগ্রেটেড কম্পিউটার এইডেড ম্যানুফেকচারিং (আইসিএএম) এর সৃষ্টি। পরবর্তীতে আইইইই আইডিএফকে "ইন্টিগ্রেশন ডেফিনিশন" নাম দেয়।[2] মূলত আইসিএএম এর প্রজেক্ট প্রায়োরিটি 111 ও 112 (পরে একে 1102 বানানো হয়) এর দ্বারা তৈরি। পরবর্তীতে ইন্টিগ্রেটেড ইনফরমেশন সাপোর্ট সিস্টেম (আইআইএসএস) প্রজেক্ট প্রায়োরিটি 6201,6202 ও 6203 একটা ইনফরমেশন প্রসেসিং এনভায়রনমেন্ট তৈরী করতে চায়,যা ফিজিকাল কম্পিউটিং এনভায়রনমেন্ট এর মত হবে। এসব নতুন মডেলিং প্রযুক্তি এর ব্যবহার থেকে যে অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়, তার অধীনে আইডিইএফ এর অনেক উন্নতি হয়। আইআইএসএস এর চেষ্টা ছিল 'জেনেরিক সাবসিস্টেম' বানানো যা সহযোগিতাপূর্ণ উদ্যোগ ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহারে লাগবে। আইসিএএম ১১০২ এর সময় অনেকগুলো বেমানান ডাটা মডেল মেথড ছিল কম্পিউটার ডাটা রাখার জন্য। সেগুলো হল সিকুয়েনশিয়াল (ভিএসএএম), হায়ারার্কিকাল (আইএমএস), নেটওয়ার্ক (সিনোম ও সিওডিএসওয়াইএল ও কুলিনেটের আইডিএমএস)। রিলেশনশনাল ডাটা মডেলটি সহজ,দক্ষ ও নিখুত এক্সেস এর জন্য তথ্য গঠন এর পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছিল।রিলেশনশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তখনও তথ্য নিয়ন্ত্রণের আদর্শ হয়ে উঠেনি। আইসিএএম প্রোগ্রাম মনে করল বৃহৎ পরিসরের সিস্টেমে তথ্য বর্ণনা করার "নিউট্রাল" পথ তৈরী করাই উচিত হবে। উত্থিত একাডেমীক লিটারেচার বলল ডাটা মুক্তভাবে প্রসেস করার জন্য ফিজিক্যালি স্টোরড পদ্ধতি দরকার। এভাবেই আইডিইএফ১ ভাষাটি আবিষ্কৃত হয় যা তথ্য গঠনের নিউট্রাল বর্ণনা তৈরি করে, যা ফাইল এক্সেস মেথডে ব্যবহৃত হয়। আইডিইএফ১, আইসিএএম প্রোগ্রাম প্রায়োরিটি ১১০২ এর অধীনে ডেভেলপ হচ্ছিল, যা করছিলেন হিউঘ এয়ারক্রাফট কোম্পানীর ডক্টর রবার্ট আর. ব্রাউন, সফটেক এর কন্ট্রাক্ট এ।যেখানে রবার্ট ব্রাউন এর আগেও রকওয়েল ইন্টারন্যাশনাল এ কাজ করার সময় আইএমএস এর উন্নয়ন করেন। রকওয়েল আইএমএস এর বদলে আইবিএম কে মার্কেটে ছাড়তে চাইল, কারণ অন্য কন্ট্রাক্টর এটিকে ডেভেলাপমেনটের সময় ফলাফল নিয়ে ফেলে ও মার্কেটে উন্নয়ন করে। ব্রাউন তার হিউঘের সহকর্মী টিমোথি র্যামেই কে আইডিইএফ এর প্রস্তুতকারক বলে আখ্যা দেন। দুইজন গবেষক তখন একটা পদ্ধতি দাড় করান।বআইডিইএফ এর নিন্মোক্ত পদ্ধতি ড্র করেঃ
আইডিইএফ১ এর উন্নয়ন করতে গিয়ে মডেলিং একটা নতুন পদ্ধতি ও এর "তৈরির রেফারেন্স ইনফরমেশন মডেলিং" তৈরিতে ব্যবহারের উদাহরণ তৈরি হয়ে যায়।এই উন্নয়ন করেন এপ্লেটন কোম্পানির (ডিএসিওএন) ডি.এস.কোলম্যান,যিনি হিউঘের সাবকন্ট্রাক্টর ও মি.র্যামেই এর পরিচালনায় এ কাজটি করেন।ডিএসিওএন এর পিয়ারসোনেল আইডিইএফ১ মডেলিং এ পারদর্শী হয়ে উঠেন ও একটি প্রশিক্ষণ কোর্স তৈরি করেন এবং আইডিইএফ মডেলিং পদ্ধতি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিশপত্র যোগাড় করেন। আইডিইএফ এর অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় প্রয়োজনীয় তথ্যকে ডাটাবেজ ডিজাইনে পরিণত করা ভাবনার চেয়েও কষ্টসাধ্য।আইডিইএফ এর লাভজনক দিক ছিল এই যে সেটি তথ্য প্রদর্শন করতে পারত তথ্য কোথায় রাখা ও ব্যবহার করা হবে তার থেকে স্বাধীন হয়েই।ফলে যারা তথ্য মডেল করত তারা প্রয়োজনীয় তথ্য সমষ্টিকরণ এর সময় প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদর্শন করতে পারত।ফলে প্রস্তুতকারীরা বুঝতে পারল কেমন তথ্যের জন্য কেমন ডিবিএমএস প্রয়োজন হবে।ফলে প্রয়োজনীয় তথ্যের বেমানান হওয়া এবং ডিবিএমএস এর সীমাবদ্ধতা কমে গেল।তবে আইডিইএফ মডেল থেকে ডাটাবেজ ডিজাইন করা কঠিন প্রমাণিত হল।
আইডিইএফ০ ফাংশনাল মডেলিং পদ্ধতি অর্গেনাইজেশন অথবা ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত,কার্য ও সক্রিয়তা বর্ণনা করে।[13] এটি ডগলাস টি.রস এবং সফট্যাক এর লং স্ট্রাইকারড এনালাইসিস এন্ড ডিজাইন টেকনিক (এসএডিটি) এর তৈরী গ্রাফিকাল মডেলিং। এর মূল রূপে আইডিইএফ০, গ্রাফিক্যাল মডেলিং ভাষার (সিনট্যাক্স ও সিমেনটিক্স) সংজ্ঞা ও মডেল উন্নয়নের জন্য সমন্বিত নিয়মবিদ্যার বর্ণনা দেয়।[14] যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী এসএডিটির উন্নয়নকারীদের পরীক্ষন ও একটি ব্যবস্থার ফাংশনাল দৃষ্টিকোণের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি ফাংশন মডেল তৈরী করতে বলেন। আইডিইএফ০ সংঘটিত ব্যবস্থা পরীক্ষন ও পরীক্ষক ও ক্রেতার মধ্যে সহজ ব্যবস্থার গ্রাফিকাল যন্ত্র ব্যবহার করে স্থায়ী সুদূরপ্রসারী যোগাযোগ তৈরীতে সহায়তা করতে পারে।[13]
আইআইএসএস ৬২০২ প্রজেক্টে তথ্য মডেলিং এর যে বর্ধন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেখা গিয়েছে,তা পূরন করতে একটি উপঠিকাদার, ডিএসিওএন, লজিকাল ডাটাবেজ ডিজাইন টেকনিক (এলডিডিটি) এবং এর সহকারী সফটওয়্যার (এডিএএম) এর অনুমতি দেয়। এলডিডিটিকে ১৯৮২ সালে প্রস্তুত করেন রবার্ট ব্রাউন,যিনি আইডিইএফ প্রোগ্রামের বাইরে এবং আইডিইএফ১ এর কোন জ্ঞান নেই এমন ডাটাবেজ ডিজাইন গ্রুপে ছিলেন। এলডিডিটি রিলেশনাল ডাটা মডেল এর সব উপাদান, ই-আর মডেল একত্রিত করে এবং সকল মডেলিং ডাটা আলাদা করা, ও সব ডাটা মডেলকে ডাটাবেজ ডিজাইনে পরিনত করার লক্ষ্যে কাজ করে। এলডিডিটির সুদৃঢ় সাবসেটের গ্রাফিক সিনট্যাক্স ও সিমানটিক্স আইডিইএফ১ এর সাথে যতদূর সম্ভব মানানসই পরিভাষা ব্যবহার করে। ডিএসিওএন এই ফলকে আইডিইএফ১এক্স নাম দেয় ও আইসিইএম এর কাছে পাঠিয়ে দেয়। যেহেতু আইসিইএফ সরকারি ছিল, তাই সেই পদ্ধতিগুলো গন ডোমেন ছিল। এটিকে অনেক সিএএসই ডাটা মডেলিং এর পরিবেশনকারী পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করত, এডিএএম সফটওয়্যার এর সাথে এটি লেভারেজ নামে বিক্রি হত ডিএসিওএন থেকে। আইআইএসএস প্রজেক্টগুলো আসলে হেটারোজিনিয়াস কম্পিউটিং পরিবেশ চালানোর জন্য তথ্য পরিচালনা পরিবেশ এর প্রোটোটাইপ বানাচ্ছিল। জাভা ও জেডিবিসি হিসেবে এসব পদ্ধতির উন্নতি প্রথমে আইআইএসএস এর বর্ণীত কম্পিউটিং পরিবেশে সর্বব্যাপী ও বহুমুখী হয়ে পরে।[15][16]
৩য় আইডিইএফ (আইডিইএফ২) আসলে ব্যবহারকারী প্রাথমিক দশা মডেলিং পদ্ধতি। যা-ই হোক, যখন থেকে আইসিএএম এর সিমুলেশন মডেলিং দরকার পরল, আইডিইএফ২ এমন এক পদ্ধতি ছিল যা একটি প্রস্তুতকারী ব্যবস্থার খরচাদির সময়সাপেক্ষ আচরণ বের করতে পারত, গণিতভিক্তিক মডেল সিমুলেশন দেখিয়ে। এটি মেথডলজি প্রোগ্রামের ইন্টেন্ট ছিল আইসিএএমের ভেতরে সিমুলেশনটাকে পরিবর্ধন করা, কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার জন্য তা হয়নি।ফলে,একটি ব্যবস্থার ব্যবহারকারীর দর্শনের বর্ণনার গঠন আলাদা করতে পারা পদ্ধতির অভাব আইডিইএফ এর বিরাট গঠন ছিল।মেথডলজী দৃষ্টিকোণ এর সমস্যা ছিল যে একে একটি ব্যবস্থায় কি করা উচিত তার বর্ণনা ও ব্যবস্থাটি কি করবে তা বর্ণনাকারী সিমুলেশন এর মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে দিতে হত। পরেরটির ফোকাস ছিল আইডিইএফ২ ও আগেরটির ফোকাস ছিল আইডিইএফ৩।[17]
আইডিইএফ৪ এর উন্নয়নের চিন্তাটা এসেছে অবজেক্ট-অরিয়েন্ট প্রোগ্রামিং প্যারাডাইম এর ফলে যে মডুলারিটি,রক্ষনীয়তা ও কোড পুনর্ব্যবহারযোগ্যতার ঐতিহ্যগত তথ্য প্রক্রিয়াকরন ব্যবহার করা যাবে - এই ব্যপার থেকে। এই অবজেক্ট-অরিয়েন্ট প্রোগ্রামিং প্যারাডাইমের বৃহৎ জটিল বন্টিত ব্যবস্থাতে তথ্য লেভেল যোগজীকরণ করাটাও এই ঐতিহ্যবাহী তথ্য প্রক্রিয়াকরণ সম্প্রদায় থেকে পাওয়া প্রযুক্তির ব্যাপক আগ্রহের কারণ।[17] আইডিইএফ৪ সেসব নকশাকারীদের নকশাকারী বস্তু হিসেবে ব্যবহৃত হত যারা কমন লিস্প অবজেক্ট সিস্টেম, ফ্লেভার, স্মল টক, অবজেক্টিভ-সি, সি++ ইত্যাদি অবজেক্ট-অরিয়েন্ট ভাষা ব্যবহার করে।যদিও অবজেক্ট-অরিয়েন্ট প্যারাডাইম ব্যবহার করতে প্রচলিত কাজ বা ডাটাবেজ ভাষা ব্যবহার করলে হয়না, প্রমাণ পদ্ধতি যেমন গাঠনিক তালিকা, ডাটা ফ্লো ডায়াগ্রাম, এবং ঐতিহ্যগত ডাটা ডিজাইন মডেল (হায়ারার্কিকাল,রিলেশনাল ও নেটওয়ার্ক) পর্যাপ্ত না। আইডিইএফ৪ এ কিছু প্রয়োজনীয় সুবিধা দরকার অবজেক্ট-অরিয়েন্ট ডিজাইন সিদ্ধান্ত তৈরির ব্যবস্থা পৃথক করার জন্য।[17]
আইডিইএফ৫ অথবা ইন্টিগ্রেটেড ডেফিনিশন ফর অনটোলজি ডেস্ক্রিপশন ক্যাপচার মেথড একটি সফটওয়্যার প্রকৌশল ব্যবস্থা যা ব্যবহারযোগ্যতা, নির্ভুল, ডোমেইন তত্ত্ববিদ্যার উন্নয়ন করে ও বজায় রাখে।[18] কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তত্ত্ববিদ্যা ধারণা ও বস্তুকে একটি নির্দিষ্ট ডোমেইনে ধরে রাখে।আরো বললে, এই পরিভাষা প্রমিত করে এবং তথ্য পুনর্ব্যবহারের জন্য সুযোগ তৈরী করে তত্ত্ববিদ্যা নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেট করতে সাহায্য করে। [18] আইডিইএফ৫ অনটোলজি ক্যাপচার মেথড বিশ্বস্তসূত্রে এমনভাবে তত্ত্ববিদ্যা তৈরি করে যা মানুষের নির্দিষ্ট ডোমেইনে মানুষের বোঝার জায়গাকে প্রতিফলিত করে। আইডিইএফ৫ পদ্ধতি,এমন একটি তত্ত্ববিদ্যা যা বাস্তবিক বস্তু, তাদের বৈশিষ্ট্য এবনহ তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং বর্ণনা যা একটি প্রাকৃতিক ফর্ম ধারণ করে।এর ৩ টি প্রধান ভিক্তি আছে: রৈখিক ভাষা, যা ধারনাসঙ্গত তত্ত্ববিদ্যার ব্যবচ্ছেদ করতে সাহায্য করে; গাঠনিক লিখিত ভাষা,যা বর্ণিত তত্ত্ববিদ্যার বৈশিষ্ট্য প্রদান করে; একটি নিয়মানুগ প্রণালী, যা প্রভাব বর্ণনাকারী তত্ত্ববিদ্যা নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা দেয়।[19]
আইডিইএফ৬, অথবা ইন্টিগ্রেটেড ডেফিনিশন ফর ডিজাইন রেশনেইল ক্যাপচার, এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ডিজাইন রেশনেইল অর্জন, বিবরণ এবং দক্ষসহ চালনা সহজতর করতে সাহায্য করে, যা উদ্যোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কাজে লাগে। রেশনাইল হল কারণ, ন্যাযাতা, লুকানো প্রেরনা অথবা অজুহাত যা ডিজাইনার কে একটি নির্দিষ্ট স্ট্রেটেজি অথবা নকশার ফিচার বেছে নিতে দেয়। আরো সহজে বলতে গেলে, রেশনেইল হল "কেন এই বিষয়ে একটি নকশা বানানো হল?" এর উত্তর, যেখানে অন্য ডিজাইন নকশাটি কি শুধু সে বিষয়ে মনোযোগ দেয় (যা হল উৎপন্ন বস্তু)।[1] আইডিইএফ৬ এমন একটি পদ্ধতি হবে যা
এ দুটির ধারণা ও ভাষাবিদ্যাগত যোগ্যতা ধারণ করে। আইডিইএফ৬ প্রারম্ভিক ও বর্ণিত ডিজাইন এক্টিভিটির মাধ্যমে শুরুর যুক্তি থেকে সকল তথ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন সূচীর সকল দশার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেহেতু বর্ণিত ডিজাইনের সিধান্ত কোডিং দশার সাথে সম্পর্কিত, সেহেতু এই পদ্ধতি সফটওয়্যার তৈরির সূচীতেও কাজে লাগতে পারে।[9]
আইডিইএফ৮, অথবা "ইন্টিগ্রেটেড ডেফিনিশন ফর হিউম্যান সিস্টেম ইন্টারএকশন ডিজাইন" হল এমন একটি পদ্ধতি যা ব্যবহারকারী ও তাদের ব্যবহৃত ব্যবস্থার মধ্যকার সম্পর্কের উচ্চ মানের ডিজাইন তৈরি করে। ব্যবস্থাটি কিছু বস্তুর সমষ্টি হিসেবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যসাধনের জন্য কাজ করে। এই ব্যবস্থাটি যেকোন ব্যবস্থা হতে পারে, কম্পিউটার প্রোগ্রাম হতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই। হিউমেন সিস্টেম ইন্টারেকশন আইডিইএফ৮ পদ্ধতির মধ্য ৩য় লেভেলের বিবরনী দিয়ে ডিজাইন করা। ১ম লেভেল ব্যবস্থাটি চালানোর দর্শন ব্যাখ্যা করে, একটি মডেলের সেট তৈরি করে ও সম্পূর্ণ সিস্টেমটির শাব্দিক বর্ণনা দেয়। ২য় লেভেল ব্যবস্থাটির ব্যবহারের কার্যকেন্দ্রিক দৃশ্য প্রদর্শন করে। ৩য় লেভেল হিউম্যান সিস্টেম ডিজাইন বর্ণনা করে। এই লেভেলে, আইডিইএফ৮ ব্যবহারকারীদের সাহায্যের জন্য মেটাফোর লাইব্রেরি তৈরি করে ও ডিজাইনাররা পরিচিত ব্যবহার্য বস্তুর সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবহার দেয়। মেটাফোর পরিচয়, বস্তু ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাস্তুক ধারনার মডেল দেয়।[1]
আইডিইএফ৯, অথবা ইন্টিগ্রেটেড ডেফিনিশন ফর বিজনেস কনস্ট্রেইন ডিসকভারি বানানো হয়েছে ব্যবসায়িক ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধতা বিশ্লেষণ ও খোজার ক্ষেত্রে সহয়তার জন্য। একটি প্রাথমিক প্রেরনা যা আইডিইএফ৯ তৈরিতে কাজ করছিল তা হল সীমাবদ্ধতার গুচ্ছ যা উদ্যোগ ব্যবস্থার নকল করছিল তাদের ঠিকভাবে স্বংজ্ঞায়িত না করতে পারা। এসব সীমাবদ্ধতা কি ও তা কীভাবে কাজ করে এসব সম্পর্কে সবারই অসম্পূর্ণ, অযুক্ত, বিভক্ত ও অজানা জ্ঞান ছিল। এটা ততটা প্রয়োজনীয় মারাত্মক ছিলনা। যেমনটা জীবীত প্রাণীদের তাদের জীন ও স্বশাসন সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা জানা প্রয়োজন নয়। একটি আন্দাজযোগ্য ব্যবস্থায় ব্যবসার পরিবর্তনের জন্য সেসব সীমাবদ্ধতা জানা জিন প্রকৌশলীর জিন সম্পর্কে জানার মতোই প্রয়োজনীয়।[1]
আইডিইএফ১৪, অথবা ইন্টিগ্রেটেড ডেফিনিশন ফর নেটওয়ার্ক ডিজাইন মেথড এমন একটি পদ্ধতি যা কম্পিউটার ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এর ডিজাইন ও মডেলিং নির্দেশ করে। এটি "এক্সিস্টিং" অথবা "এনভিশনড" নেটওয়ার্ক মডেল করতে পারে। এটি নেটওয়ার্ক ডিজাইনার কে সম্ভাব্য নেটওয়ার্ক ডিজাইন বের করতে ও ডিজাইন রেশোনেইল বানাতে সাহায্য করে। এর মূল লক্ষ্য হল উত্তম নেটওয়ার্ক ডিজাইন তৈরি যা জলদি ও নির্ভুলভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।[1]
Seamless Wikipedia browsing. On steroids.
Every time you click a link to Wikipedia, Wiktionary or Wikiquote in your browser's search results, it will show the modern Wikiwand interface.
Wikiwand extension is a five stars, simple, with minimum permission required to keep your browsing private, safe and transparent.